শৈশবকালের সময় গুলো || ১০ % আমাদের সবার প্রিয় @shy-fox এর জন্য
image sourcehere
🥰আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যেরা🥰
আমি বাংলাদেশ থেকে @emonv
আজ শনিবার , অক্টোবর ০৮/২০২২
আসসালামালাইকুম প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন আমিও অনেক ভালো আছি আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারো নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার শৈশবকালের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করতে যাচ্ছি আমি আশা করছি আপনাদের এই পোস্টটি অনেক ভালো লাগবে। যখন ছোট ছিলাম তখন এই দুনিয়ার সম্পর্কে তেমন একটা অজ্ঞ ছিলাম না তবে আমার মনে হয় সেই দিনগুলোই অনেক সুন্দর ছিল কেননা তখন মাথায় কোন চিন্তা ছিল না তখন খুব আরামেই ঘুম দিতাম। তবে আরেকটু বেশি খুশি হতাম যখন স্কুল ফাঁকি দিতাম। 🥰😅 আমার ছোটবেলার স্কুলের সময় গুলো খুব সুন্দর ছিল বিশেষ করে আমার বন্ধুবান্ধবগুলো আসলে অনেক ফ্রেন্ডলি এবং তাদের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমার বন্ধুদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আকবর, রাফিদ, মুস্তাক এর মত আমার অনেকগুলো বন্ধু ছিল এরা হচ্ছে আমার অস্ত্র ছিল বলা যায় কেননা আমরা সব বন্ধু মিলে একটা দল ছিলাম যখন আমের সময় হয় তখন আম পারতাম তেতুলের সময় তেতুল এবং যখন নতুন কোন ফলের মৌসুম হতো আমরা সবাই একসঙ্গে ফল পেড়ে খেতাম।
image sourcehere
এখন এই বিষয়গুলো বুঝতে পারি যে অন্যের গাছের ফল না বলে পেড়ে খাওয়াটা ঠিক না তবে তখন এইসব বিষয়গুলো অনেক ইনজয় করেছি। 🥰আমরা বন্ধুরা মিলে আম খাওয়ার মুহূর্তগুলো আমার এখনো চোখে ভাসে যখন রাফিদ বাসা থেকে ঝাল এবং লবণ মাখিয়ে আনতো এবং আমি এবং আমার আরেকটা বন্ধু আম গাছে উঠে সেখান থেকে কচি আম পারার জন্য তারপর যখন আম পারা হয়ে যাবে তখন ওই আম আর শুকনো ঝাল এবং লবণ একসঙ্গে মাখিয়ে সবাই মিলে খেতাম তখন এই বিষয়গুলো আমরা আসলে অনেক ইনজয় করতাম। এখন যখন আমের মৌসুম আসে তখন ওই দিনগুলোর কথা খুবই মনে পড়ে তবে জানি ওই দিনগুলো হয়তো বা পাওয়া সম্ভব না তবে আসলে ওইসব সময় গুলো এখনো অনেক মিস করি। আমার বন্ধু গুলোর মধ্যেও সবাই হয়তো আর আমাদের এই এলাকায় নেই অনেকে অনেক জায়গায় তাদের জীবিকার তাগিদে তারা চলে গেছে এছাড়াও অনেক বন্ধুরা লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে দূর দূরান্তে চলে গেছে তবে ত এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আমার অনেক ভালো সম্পর্ক।
image sourcehere
ছোটবেলা থেকে আমি গাছে উঠতে অনেক ভালোবাসি তবে গাছে উঠে অনেকবার ধুপ, ধাপ করে পড়েওছি বিশেষ করে একবার আম গাছ থেকে পড়ে নাজেহাল অবস্থা অনেক ব্যথা পেয়েছিলাম তবে জাম গাছে উঠতে আমি অনেক পছন্দ করি । কেননা জামের ডালগুলো অনেক শক্ত পক্ত হয় যার ফলে অনেক চিকন ডালেও অনেক আরাম করে ওঠা যায় এবং সহজে গুলো ভাঙতে চায় না । তো জাম গাছে ওঠার আরেকটি ভালো দিক হচ্ছে জাম গাছে ওঠার পরে জামগুলো নিজের মনের মতো করে খাওয়া যায় এবং যে জাম গাছে উঠবে সেই হচ্ছে জামের রাজা বলা যায় , আমাদের বন্ধুদের মধ্যে আমি মাঝেমধ্যে জাম গাছে উঠতাম তখন আগে নিজের ইচ্ছে মত মোটা এবং বেশি কালো জাম গুলো পেরে খেতে শুরু করে দিতাম খাওয়া শেষ হলে তারপরে জামগুলো পেরে নিচের দিকে বন্ধুদেরকে দিতাম শুধু আমি বলে কথা না যেই জাম গাছে প্রথম উঠবে সেই,সেরা জামগুলো প্রথম এসে খাবে তারপরে তারপরে যা থাকে তা বন্ধুদের কাছে পাস করবে
আমি যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন আমাদের এলাকায় মোবাইল ফোনের তেমন একটা প্রচলন ছিল না সবাই বাটন ফোন ইউজ করত এবং তখন অনেক লোডশেডিং হতো । তো লোডশেডিং হলে মানুষ সবাই বাইরে চলে আসতো তখন আমরা একসঙ্গে গাদি খেলতাম লুডু খেলতাম এছাড়াও বন্ধুরা মিলে ঢং খেলা খেলতাম তো ঢং খেলার সঙ্গে আপনারা হয়তোবা সবাই পরিচিত থাকতে পারেন আবার অনেকে নাও থাকতে পারেন আমি ছোট করে একটু বুঝিয়ে দিই এই খেলাটি মূলত একজন ১ ২ ৩ করে চোখ বুজে গুনতে থাকবে এবং বাকি সাথীরা গোপন জায়গায় পালিয়ে যাবে এবং সেই খুঁজতে থাকবে । এবং যে প্রথমে ধরা পড়বে সে আবার পুনরায় এই কাজটি করতে থাকবে তো এইভাবে এই খেলাটি খেলা হয়। একদিন আমার মনে আছে এই ঢং খেলা খেলার তাগিদে একবার গাছে উঠে বসে ছিলাম তাও আবার ডাব গাছে তো সবাইকে পেয়ে গেছে শুধুমাত্র আমাকেই পায় না 😁 শেষ পর্যন্ত আমি তাদের ঢং দেই সেদিন অনেক মজা হয়েছিল। আসলে এইগুলোই ছিল আমার ছোটবেলার স্মৃতি এগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করে আমার অনেক ভালো লাগছে ।
- বেনিফিসার প্রিয় @shy-fox কে দেওয়া হয়েছে।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ব্লগিং ডিভাইস | Infinix hot 11s |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
প্রথমে যে কথা বলব, আমার ভাইয়ের নাম রাফিদ। কিন্তু আমি এই নাম আর কখনো কোথাও শুনিনি। আজ আপনার পোষ্টের মধ্যে আপনার ফ্রেন্ডের নাম রাফিদ তা দেখতে পেলাম। এখনই স্ক্রিনশট দিয়ে আমি এটি আমার ভাইয়াকে দেখাবো। 😂
সাধারণত গ্রামের ছেলেরাই এমন হয়। গাছে উঠে এবং ধুপস করে পড়ে। আমি মেয়ে হয়েও গাছে কম উঠেনি। বিশেষ করে আম এবং জাম গাছে বেশি উঠেছি। আসলে আপনার পোস্টটি দেখে শৈশবের কথাগুলো মনে পড়ে গেল।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। শৈশবে যখন আমরা স্কুল ফাকি দিতাম সেই সময়টা কিন্তু খুব আনন্দে কাটাতাম।এবং আমরাও যখন ছোট ছিলাম তখন তেমন মোবাইল ফোন এর প্রচলন ছিল না।তবে এটা ঠিক সেই সময় বেশ লোডশেডিং হয়েছিল। আপনারা যেমন লুডু খেলতেন অন্যান্য খেলাগুলো খেলতেন। আমরাও কিন্তু অনেক কিছু করেছি এই লোডশেডিং এর সময়। সব মিলিয়ে শৈশবটা জন্য আসলেই মধুময়।♥♥
ঠিক বলেছেন ভাই আমাদের ছোটবেলার বেশ মজার মজার স্মৃতি রয়েছে। স্মৃতিগুলো যদি এখনো মনে করি বেশ হাসি পায়। ছোটবেলায় স্কুল ফাঁকি দেওয়ার বেশি ইচ্ছে ছিল কিন্তু আম্মুর জন্য কখনো পারতাম না। আর অন্যের গাছের ফল চুরি করে কখনো খাওয়া হয়নি ।তবে ঠিক বলেছেন সেই বয়সেই ব্যাপার গুলো বেশ মজার ছিল। যারা স্কুল ফাঁকি দেয়নি চুরি করে খাওয়া খায়নি আড্ডা দেয়নি তাদের স্মৃতির ময় সময় গুলো অন্যরকম। যাই হোক আপনার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে বেশ মজা পেলাম।
আপনার কথাটা শুনেই যেন জিভে জল চলে আসলো। আমিও এইভাবে আম খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আসলে আপনার কথাগুলো শুনে ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়ে গেল। এটা ঠিক আম চুরি করে খাওয়াটা ঠিক নয় সেটা এখন বুঝতে পারছেন। কিন্তু আসলে ছোটবেলায় এগুলো করতেই বেশি আনন্দ হয়। বেশ কিছু স্মৃতি তুলে ধরেছেন। আপনার লেখাগুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।
শৈশবের সোনালী দিন আর সেই সোনালী দিনের হাজার স্মৃতি জড়িয়ে থাকে সবার জীবনে। আপনার জীবনের শৈশবের সোনালি দিন অতিক্রমণ জেনে খুবই ভালো লাগছে। আপনার মত গাছে উঠার লাফ দিয়া, দৌড়াদৌড়ি থেকে মারামারি করা লুডু খেলা কাঁদিবেদে জড়ো হওয়া এগুলো ছিল নিত্যদিনের কাজ। আমাদের সাথে আপনার অনুমতি গুলো শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।