|| ভালো থেক(শেষ পর্ব)||

সবকিছু শুনে অদিতি কিছু বিশ্বাস করতে পারেনি। অদিতির সহজ সরল কথা অরিএ এইরকম করতেই পারে না। তোমরা ভুল বলছ। অদিতির কথার জবাবে প্রিতম বলে আপনার কাছে আমি আমার বন্ধুর সম্পর্কে মিথ‍্যা বলব কেন। কিন্তু অদিতি বিশ্বাস করে না। সরাসরি অরিএের কাছে যায় প্রিতম এবং রাহুল।

প্রিতম বলে অরিএ এসব কী। তুই তো অদিতি কে নিয়ে অনেক সিরিয়াস ছিলি। এখন কী হলো নেহার সঙ্গে তোর কী। তুই তো এইরকম ছিলি না।

অরিএ বলে আমার যা ইচ্ছা আমি সেটাই করব। তোদের থেকে শুনতে হবে কী করব আর কী করব না।

এই কথা শুনে প্রিতম এবং রাহুল বলে দেখ ভাই অরিএ তুই ভুল করছিস। অদিতি কে ধোঁকা দিস না। এর ফল তুই একদিন পাবি। এখনো সময় আছে ফিরে আয়। অরিএের জবাব তোদের থেকে কোনো জ্ঞান চাইনি। আজ থেকে তোরা আর আমার বন্ধু না। আমার সঙ্গে আর যোগাযোগ করবি না।

অদিতি কল দিচ্ছে কিন্তু অরিএ ধরছে না ম‍্যাসেজ দেখছে কিন্তু রিপ্লাই করছে না। একপর্যায়ে অদিতি অনেক ভেঙে পড়ে। অন‍্যদিকে অরিএ তার বাবা মা কে দিয়ে নেহার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাই। অরিএ ভালো ছেলে ভালো চাকরি করে এবং দুজনের সম্পর্ক আছে তাই সবাই মেনে নেয়। অদিতি বিজয় এবং রাহুলের মাধ্যমে কথা টা শুনে। কিন্তু অরিএ অদিতির ফোন কোনোভাবেই ধরছে না।।

---

---

source

---

---

পরেরদিন অদিতি চরে আসে অরিএের বাড়ি। না বাড়িতে যায়নি। অরিএ অফিস যাবে রাস্তায় রিক্সার জন্য দাঁড়িয়ে। অদিতি এসে বলছে অরিএ তোমার সঙ্গে আমার কথা আছে চলো। অরিএ বলে কী কথা এখানেই বলো কোথাও যেতে পারব না। অদিতি বলছে শুনলাম তোমার বিয়ে ঠিক। অরিএ বলে কী বলব বলো বাড়ি থেকে ঠিক করছে। মিথ‍্যা বলছ কেন অদিতি মেয়েটার সাথে তোমার সম্পর্ক ছিল। এটা কখনো আমাকে বলো নাই কেন।।

অরিএ বলে দেখ অদিতি তুমি আমার বয়সে বড়। আমি তখন ছোট ছিলাম একটা ভুল করছিলাম পরে বুঝতে পেরেছি। তুমি কিছু মনে করো না আমার জীবন থেকে সরে যাও। অরিএের এই কথা শুনে মাথার উপর আকাল ভেঙে পড়ে অদিতির। অদিতি বলে আমি তোমাকে আটকাবো না। আমি চাইব তুমি সুখে থাক। দোয়াকরি ভালো থেক। সারাজীবন সুখি থেক। এটা বলে কান্না করতে করতে চলে যায় অদিতি। কিন্তু অরিএের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনুশোচনা ছিল না।।

এরপর ধার্য করা দিনে অরিএ এবং নেহার বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক মাস বেশ ভালো যায়। কিন্তু এরপরেই শুরু হয় অশান্তি। নেহার অরিএের সাথে সম্পর্কের আগে একটা সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর আবার ঐ ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে নেহা। এটা নিয়ে অরিএ এবং নেহার নিয়মিত ঝগড়া হতো। অরিএ তার এই জীবন নিয়ে অসহ‍্য হয়ে যায়। সে আর সহ‍্য করতে পারছিল না। তখন অরিএের মনে পড়ে অদিতির বলে যাওয়া কথাগুলো। ভালো থেক অরিএ। কিন্তু অরিএ ভালো নেই। অরিএ বুঝতে পারে আসলেই কাউকে দুঃখ দিয়ে সুখে থাকা যায় না। এরপর অরিএ অদিতির খোঁজ করে কিন্তু না পাইনি। অদিতির কোনো হদিস পাইনি অরিএ। হয়তো অনেক দূরে কোথাও আছে। এভাবেই অরিএ তার দিনগুলো কাটাতে থাকে। অদিতির কথা ভেবে সে অনেক আফসোস করে। হয়তো কোনো একদিন এসব সহ‍্য না করতে পেরে আত্মত্যাগ এর পথ বেঁছে নেবে।।।।

---

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

---

---

---

---

---

---

---

---