লোকাল বাস সমাচার!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ঢাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ শহর। বাংলাদেশের প্রায় আড়াই কোটি মানুষ এই ঢাকা শহরে বসবাস করে। যা বাংলাদেশের মোট সংখ্যার প্রায় ১২%। বাংলাদেশে সবকিছু ঢাকা কেন্দ্রিক। এইজন্য ঢাকার এই অবস্থা। ঢাকা শহরে সবচাইতে কঠিন কাজ হচ্ছে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা মুভ করা। অর্থাৎ অফিস আওয়ারে বা বিভিন্ন কাজে রাস্তায় যানজট আমার আপনার চিন্তার বাইরে চলে যায়। ঢাকার রাস্তায় চলাচল করার জন্য মানুষ প্রধানত লোকাল বাস ব্যবহার করে থাকে। আর এই ঢাকা শহরের লোকাল বাসের কর্মকাণ্ড মোটামুটি আমাদের সবার জানা। এই গাড়ি গুলোর না আছে ফিটনেস না আছে কোন টাইম টেবিল। এরা এদের নিজেদের সুবিধামতো চলে থাকে।
আর এই লোকাস বাসে উঠে বিভিন্ন ধরনের মানুষ। মাঝে মাঝে বেশ অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়তে হয়। গত শুক্রবারের কথা। তখন বাজে সকাল ৮ টা। যথারীতি ইউনিভার্সিটি যাওয়ার জন্য গুলিস্তান থেকে একটা বাসে উঠলাম। সাধারণত শুক্রবার সকালে রাস্তায় খুব একটা যানজট থাকে না এই যা স্বস্তি। কিন্তু তারপরও এই ৬ কিলোমিটার রাস্তা যেতে বাসগুলো ২৫ মিনিট সময় নিয়ে নেয়। এরা দুই মিনিট যাওয়ার পরে দাঁড়ায় এবং যাএী তোলে। এদের নির্দিষ্ট কোন স্টপেজ নাই। অনেক সময় যাএী না থাকলে রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে যাএীদের ডাকে। বাসে জায়গা না থাকলেও এরা যাএী তুলবে। তো ঐদিন বাসে সিট সংখ্যার চেয়েও যাএী সংখ্যা বেশি। আমি নিজেও দাঁড়িয়ে আছি। ।
কিছুক্ষণ পরে গিয়ে একজন যাএী উঠল বাসে। মূলত ঐ যাএী টা দাঁড়িয়ে ছিল এবং কন্টাকটার বলল ভাই আসেন সিট আছে আসেন। এই কথা বলে যাএীটা কে বাসে তুলল কন্টাকটার। কিন্তু ঐ যাএী বাসের মধ্যে এসে দেখে সিট খালি নেই অনেকে আগে থেকেই দাঁড়িয়ে আছে। তখন ঐ যাএী একটু রেগে গিয়ে কন্টাকটার কে বলল এই ব্যাটা বললি সিট আছে, সিট কোথায় । কোথায় বসব দেখা। কন্টাকটার বলল ভাই আমি বলছি সিট আছে, আমি কী কখনও বলছি সিট খালি আছে। কন্টাকটারের এমন কথা শুনে ঐ যাএী বেশ রেগে গেল। প্রচণ্ড জোরে এক ধমক দিল কন্টাকটার কে। এবং শুরু হলো দুজনের মৌখিক যুদ্ধ। বেশ কিছুক্ষণ চলল। কেউ থামার নামই নিচ্ছে না। এদিকে এতো সকালে এইরকম চিল্লাচিল্লিতে আমার মতো বাসের অনেকেই বিরক্ত।
এরপর বেশ কিছু সাধারণ যাএী যুক্ত হয়ে গেল ঐ ক্যাচালে। কয়েকজন নিল কন্টাকটারের পক্ষ এবং কয়েকজন নিল ঐ যাএীর পক্ষ। এরপর দুপক্ষের মধ্যে পাকাপাকি ভাবে কথা কাটাকাটি শুরু হলো। এ যেন ঝগড়ার ব্যাটেল গ্রাউন্ড। আমি কিন্তু একটা কথাও বানিয়ে বলছি না। তাদের কথা কাটাকাটির অবস্থা এমন এ বলে আমায় দেখ তো ও বলে আমি কম কিসে। একপর্যায়ে গিয়ে আমি লক্ষ্য করলাম যারা দুজন এটার শুরু করেছিল ঐ যাএী এবং কন্টাকটার তারা দুজনে চুপ কিন্তু পরে যোগ দেওয়া যোদ্ধাগণ চালিয়ে যাচ্ছে। অতঃপর আমার স্টপেজ এসে পড়ায় আমি নেমে পড়ি বাস থেকে। কিন্তু ক্যাচাল কথা কাটাকাটি বন্ধ হয়নি ঐটা চলছিল। ঐটা কোথায় গিয়ে শেষ হয়েছিল এটা জানি না। ঢাকা শহরে লোকাল বাসে এগুলো নতুন কিছু না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily Task
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কলকাতাতেও দৈনন্দিন জীবনে এমন হয় ভাই। লোকাল বাস এবং ট্রেনে ঝামেলা লেগেই আছে। আর আজকাল মানুষের ধৈর্য বড় কম। অল্প কিছুতেই মানুষ খুব ধৈর্য হারিয়ে ফেলে। মূল্যবোধের যুগ চলে গেছে ভাই। বর্তমানে এসব সমস্যা সমস্ত জায়গাতেই রয়েছে। তবু পড়ে খারাপ লাগলো। এসব ঝামেলা নিয়েই পথ চলতে হয় আমাদের সকলকে।