জনদরদীর অকাল মৃত্যু (প্রথম পর্ব)

কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


ভর দুপুর বেলায় ইমরানকে তড়িঘড়ি থেকে ঘর থেকে বের হতে দেখে তার মা পেছন থেকে জিজ্ঞেস করে এখন আবার কোথায় চললি? ইমরান একটু দাঁড়িয়ে মার দিকে তাকিয়ে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো আমাদের পাশের এলাকার একটা রাস্তার দুই পাশে বৃক্ষরোপন করা হবে। সেখানে যেতে হবে মা। আমার জন্য অনেকে সেখানে অপেক্ষা করছে। ইমরানের মা ইমরানকে বললো সন্ধ্যার আগেই বাড়িতে ফিরিস। ইমরান পেছনে না তাকিয়ে জবাব দিলো চেষ্টা করবো মা। এই কথা বলে দ্রুত সাইকেল চালিয়ে পাশের এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। ইমরান অনার্সে পড়া একটা ছেলে।

Black and Gold Fancy New Year Card_20240911_192617_0000.png

ইমরানের আরো দুটো ভাই বোন রয়েছে। ইমরানের বাবা একজন চাকরিজীবী। তবে বাবা মায়ের ইমরানকে নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। তার ভিতরে সবচাইতে বড় অভিযোগ হচ্ছে নিজের দিকে না তাকিয়ে সব সময় শুধু মানুষের জন্য ছোট ছুটি করা। ইমরানের বাবা তাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছে। আগে নিজের পায়ে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে। তারপর মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। ইমরান সব কথাই চুপচাপ শোনে। তবে যখন কেউ তাকে কোনো কাজের জন্য ডাকে। তখন আর সে না করতে পারে না। ইমরান এখন অনার্সে পড়ালেখা করছে।

এমনিতেই পড়ালেখার অনেক চাপ। সে যতটুকু সময় পায় পুরো সময়টা জনকল্যাণে ব্যয় করে। ইমরানের এই মানবসেবার কারণে এলাকার মানুষজন সবাই তাকে খুব পছন্দ করে। অবশ্য পছন্দ করবেই বা না কেনো? বিপদে ডাকলে ইমরান সবচাইতে আগে এগিয়ে যায়। এলাকায় ইমরানের কোনো শত্রু নেই। সবার সাথে তার ভালো সম্পর্ক। এমনকি এলাকার খারাপ লোকজন যারা তারাও ইমরানকে পছন্দ করে। এভাবে ইমরান দিনরাত আশেপাশের মানুষ জনের সেবা করে বেড়ায়। (চলবে)

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


PUSS_Banner2.png



ধন্যবাদ

Coin Marketplace

STEEM 0.30
TRX 0.31
JST 0.049
BTC 99526.72
ETH 3945.93
SBD 4.10