পুলিশের দুর্নীতি ও এর প্রতিকার (প্রথম পর্ব)
তার সবগুলো সম্পদের মূল্য কম দেখানো রয়েছে। সেখানে মূল্য কম দেখানোর পরেও প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার সম্পদ এখন পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশন খুঁজে পেয়েছে। হয়তো আরও একটু খোঁজখবর করলে বেনামে আরো অনেক সম্পদের খোঁজ পাওয়া যাবে। অথচ এই ট্রাফিক সার্জেন্টের বেতন আর কতই বা হবে? সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে তাকে চলতে হয়, তার ফ্যামিলি মেইনটেইন করতে হয়, তার বাচ্চাদের স্কুলের খরচ রয়েছে এর ভেতরে। সমস্ত খরচ মেটানোর পর আর কত টাকা অবশিষ্ট থাকতে পারে?
সেই টাকায় কি কখনো এত সম্পদ করা সম্ভব? আমরা সকলেই উত্তরটা জানি। কিছুতেই সেটা সম্ভব না। ব্যাপারটা এমন না যে শুধু ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত এই ব্যক্তি অসৎ। বরং ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকমের। পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত শতকরা ৯৫ ভাগ পুলিশ একই রকম। অবস্থানগত কারণে কেউ ঘুষ খাওয়ার সুযোগ কিছুটা কম পায় আবার অবস্থানগত কারণে কেউ ঘুষ খাওয়ার সুযোগ পায় অনেক বেশি। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
একেবারে যথার্থ বলেছেন। বাংলাদেশের বেশিরভাগ পুলিশ ঘুষ ছাড়া কিছুই বুঝে না। জনগণের সার্ভিসের ব্যাপারে তারা একেবারেই উদাসীন। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।