"অক্টোপাস ফ্রাই"|রেসিপি ভিডিও|
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
সি ফুড’-এর প্রচলন সীমাবদ্ধ ছিল কোরিয়া, জাপান, চিন, ইন্দোনেশিয়ার মতো পূর্ব-এশিয়ার দেশগুলিতে। তবে ক্রমশ বদলেছে সেই ছবি। ভারত তো বটেই বিশ্বজুড়ে চাহিদা বেড়েছে অক্টোপাসের।বাংলাদেশের মানুষের কাছেও এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে অক্টোপাস।সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গেলে অক্টোপাস খাওয়া একটা ট্রেন্ড এর মতো হয়ে গেছে।অক্টোপাস না খেলে মনে হয় যাত্রা শুভই হয় না এরকম অবস্থা।আমার মেয়েরা বিভিন্ন রকমের ভিডিও গুলোতে অক্টোপাস দেখে আর ওদেরও খাওয়ার স্বাদ জাগে।কিন্তু আমাদের সেরকম ঘুরতে যাওয়া হয়না কোথাও তাই ওদের ইচ্ছেটাও পূরণ করতে পারি না।
সেদিন হঠাৎ করেই স্বপ্ন সুপারশপে কেনাকাটা করতে গেছিলাম তখন বড় মেয়ের চোখে পড়েছে অক্টোপাস।ও তো সেই বায়না ধরেছে কিনে দিতেই হবে।আমি তো এসব জিনিস একদম দেখতে পারি না কিন্তু মেয়ের আবদারে কিনতে হলো।কিন্তু শর্ত একটাই ওটা আমি কিছুতেই ধরবো না রান্না সে-তো বহু দূরের কথা।মেয়ে বললো ঠিক আছে তোমাকে কিছু করতে হবে না আমি একাই সবকিছু করবো।সেই শর্তে কিনে দিলাম।বাসায় এসে ও নিজে নিজেই সবকিছু করেছে এবং একাই পুরোটা খেয়েছে।ছোট মেয়ের আগ্রহ ছিলো কিন্তু বাসায় আসার পর আর কিছুতেই খাবে না।আর আমি তো ওর ধারে কাছে নাই।ও যখন রান্না করছিলো আমি তখন রুমের দরজা দিয়ে বসে ছিলাম।রান্না শেষে ওকে দিয়ে পুরো রান্নাঘরে জিনিসপত্র ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে নিয়েছি।ক'দিন ওর থালা গ্লাসে আমরা কিছু খাইনি।
আমি খাবারের ব্যাপারে খুবই শুচিবাই টাইপের।একবার যদি মনে একটু সন্দেহ জাগে তাহলে শেষ সেই খাবার আর খেতে পারিনা।আমি বাজারে গিয়ে আগে দেখি মাছ টা চেনা কি-না যদি একটু অপরিচিত মাছ হয় তাহলেই সেই মাছ আর আমার হাড়িতে উঠবে না আর সেখানে সি ফুড বাপরে বাপ মাফ চাই।🙏মেয়ে পুরো রান্না টা করেছে এবং স্মৃতি ধরে রাখার জন্য ভিডিও করে রেখেছে।সেই ভিডিও টি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
উপকরণ |
---|
অক্টোপাস |
রসুন কুঁচি |
আদাগুঁড়া |
গোলমরিচগুঁড়া |
মরিচের গুঁড়া |
লবণ |
টমেটো সস |
সয়াসস |
অরিগানো পাউডার |
লেবু |
বেকিং পাউডার |
তেল |
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে অক্টোপাস টির উপরের কালো চামড়া টা ফেলে দিয়েছে। তারপর লেবুর রস বেকিং পাউডার ও লবণ দিয়ে ভালো করে ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছে।তারপর গরম জলের মধ্যে দিয়ে অনেক সময় ধরে ফুটিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছে।তারপর জল ঝড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপঃ
কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে অক্টোপাস গুলো ভেজে তুলর নিয়েছে।তারপর রসুন কুঁচি গুলো দিয়ে হালকা করে ভেজে নিয়েছে।তারপর টুকরো করা অক্টোপাস গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছে।এবার একে একে সব মসলা গুলো দিয়ে তার মধ্যে সস অরিগানো পাউডার দিয়ে অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে ভাজা ভাজা করে তুলে নিয়েছে।
একটা প্লেটে তুলে নিয়ে লেবুর স্লাইস দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছে।
আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।
Twitter link
আমাদের বাসার প্লেট আপনার বাসায় গেল কিভাবে 😁😁
আসলেই এখন যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের খাবারের টেস্ট পরিবর্তন হচ্ছে তাই এই অক্টোপাস এখন বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তবে অক্টোপাস কখনো খাওয়া হয়নি আপনি অক্টোপাস ফ্রাই রেসিপি শেয়ার করেছেন। ইউনিক রেসিপি হওয়ায় টেস্ট করার আগ্রহটা একটু বেশি।
আপনার বাসার প্লেট উড়ে উড়ে আমার বাসায় চলে এসেছে।🤣দেখতে বেশ লোভনীয় হয়েছে কিন্তু আমি ওর ধারে কাছে নাই।আপনার ভাগ্নি রান্না করে একাই খেয়েছে।ধন্যবাদ।
কখনো অক্টোপাস খাওয়া হয়নি। তবে অনেক সময় অক্টোপাস এর অনেক রেসিপি এবং অনেক ভিডিও দেখেছি। আজকে আপনার থেকেও একটা অক্টোপাস রেসিপি এর ভিডিও দেখে নিলাম এবং আপনি যে সকল ধাপে এই অক্টোপাসটি রান্না করেছেন সে সকল ধাপে আমিও রান্না করে দেখার চেষ্টা করব৷
হ্যাঁ আপনি খুব সহজেই রান্না করে এর টেস্ট নিতে পারেন।তবে আমার মনে হয় এসব আজব জিনিসের টেস্ট গ্রহণ না করাই ভালো।😁সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি তো দেখছি একেবারে আমার মত। অপরিচিত কোন মাছ দেখলে আর কিনতে ইচ্ছে করে না।অক্টোপাস ফ্রাই খাওয়ার কথা তো কল্পনাই করতে পারি না। যাইহোক মেয়েদের বায়না ইচ্ছে পূরণ হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। মামনি প্রথমবার এটা রান্না করেছে তাই ভিডিওগ্রাফি করে রেখেছে। ভিডিওগ্রাফিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু।
হ্যাঁ আপু আমি অপরিচিত কিছু একদম খেতে পারিনা।মেয়ের শখ পূরণ করার জন্য এসব জিনিস আমার হাঁড়িতে তুলতে হয়েছে।ভিডিও টি আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম আপু।অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অক্টোপাস ফ্রাই, বারবিকিউ, তরকারি কতো ভাবে যে খেয়েছি দক্ষিণ কোরিয়াতে,তার কোনো হিসাব নেই। অক্টোপাস আমার খুব পছন্দ। যেকোনো ভাবে খেতে দারুণ লাগে। তবে অনেকদিন হলো খাওয়া হয় না। গতবছর কক্সবাজারে অক্টোপাস খেতে চেয়েছিলাম,তবে আমার ওয়াইফ বলে যে আমি যদি খাই, তাহলে একমাস আমার সাথে কথা বলবে না। তারপর খাওয়া হয়নি আর।আপনার মেয়ে দারুণ একটি কাজ করেছে। রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমি জানতাস এটা আপনি খেয়েছেন তার কারন আপনি কোরিয়াতে ছিলেন। ভাবি একদম ঠিক বলেছে,আমিও মেয়ের থালা গ্লাসে অনেদিন কিছু খাইনি।😁 এরপর মেয়ে যখন রান্না করবে তখন আপনাকে দাওয়াত দিবো।😁ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমার কাছে পুরাই ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন কারণ আমি তো গ্রামে থাকি তাই এভাবে কখনো কোন আত্মীয়ের বাসা বা রেস্টুরেন্টে দেখা হয়নি খাওয়া হয়নি। যাই হোক বেশ ভালো লাগলো নতুন একটি রেসিপি সম্পর্কে ধারণা লাভ করে।
আপু আপনি তো সত্যি একটি ইউনিক পোস্ট শেয়ার করেছেন। আমার কাছে একদম ভিন্ন রকমের রেসিপি ছিলো। আমি কোনদিন অক্টোপাস খাইনি। জানিনা খেতে কেমন লাগে। আপনার রান্না দেখে মনে হচ্ছে অক্টোপাস রান্না খুবই সুস্বাদু হয়েছে হয়েছে। ইচ্ছা আছে অক্টোপাস খাওয়ার।
আপু আপনার মত আমারও তো একই অবস্থা কিছু দেখলে যদি মনে সন্দেহ লাগে সেই খাবার আর কখনোই খেতে পারি না। তাছাড়া আমিও কোনদিন অক্টোপাস খাইনি আর খাওয়ার কথা কখনো চিন্তাও করছি না আপাতত। যাই হোক আপনার মেয়ে শখ করে অক্টোপাস রান্না করেছে দেখতে কিন্তু অনেক লোভনীয় লাগছে। তাছাড়া ডেকোরেশন টাও খুবই সুন্দর ছিল লেবু দিয়ে খুবই সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করেছে। ধন্যবাদ খুবই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অক্টোপাস খাওয়ার কথা তো আমি ভাবতেই পারি না। দেখতেই তো কি ভয়ংকর।ফোনে দেখতাম বিদেশীরা এটা খুব পছন্দ সহকারে খেতো কিন্তু এখন বাংলাদেশও দেখছি অক্টোপাস খুব জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কিন্তু যাই হোক আপনার মেয়ে শখ করে যে এটা রান্না করে সুন্দরভাবে ডেকোরেশন করেছে দেখে খুব ভালো লাগছে। এত ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু আমিও এগুলো খাওয়ার কথা ভাবতেই পারি না,কিন্তু আমার মেয়েটা কেনো যে এমন হলো বুঝলাম না।ও একা রান্না করে একাই খেয়েছে।ধন্যবাদ আপু।অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
অক্টোপাস ফ্রাই শুনতে ভালোই লাগে। কিন্তুু দেখতে আর খেতে ভালো লাগে না। তবে যায় বলেন আপনার মেয়ের অক্টোপাস ফ্রাইটা কিন্তুু দারুন হয়েছে। কেউ যদি এমন করে ফ্রাই করে দেয় আমি মিস করবো না। আপনার মেয়ের রান্নার হাত পাঁকা। ধন্যবাদ।
তাহলে তো এবার অবশ্যই আপনাকে দাওয়াত দিতে হবে ভাইয়া।ঠিক বলেছেন মেয়ে বেশ ভালোই রান্না পারে।দোয়া করবেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।