ময়না ভাবির বিবাহবার্ষিকী shy-fox 10%| abb-school 5%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার, আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন? ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি।
আমাদের বাসায় মোটামুটি প্রতিমাসেই কোন না কোন ছোট খাটো অনুষ্ঠান লেগেই থাকে, আসলে এই বিল্ডিং এ আমার ১৭ টা ভাড়াটিয়া তাই জনসংখ্যা অনেক বেশি সবমিলিয়ে প্রায় ২২ টা বাচ্চা প্রতিমাসেই দুই তিনটা করে জন্মদিন হয়েই থাকে। কম বেশি প্রতি মাসে দুই তিনটা দাওয়াত খাওয়া হয়।
ময়না ভাবি আমাদের বিল্ডিং এর তিনতলায় থাকেন ভাই ভাবি দুজনেই পুলিশের চাকরি করেন ওনাদের বাড়ি দিনাজপুর এ চাকরির সুবাদে এখানে থাকেন। আড়াই বছর ধরে আমরা একসাথে আছি। ভাবি ব্যস্ত মানুষ তার উপরে ওনার কয়েকমাস আগে টুইন বেবি হয়েছে এখন ব্যস্ততা আরও চরম পর্যায়ে কারো বাসায় ঘুরতে যাওয়ার মতো কোন সময় তার নেই। হঠাৎ করেই এক সন্ধ্যায় ভাবির আগমন আমার বাসায় সাথে আরও দুই ভাবি ছিল সবাই মিলে বসে চা খেলাম অনেকক্ষণ আড্ডা দিলাম অনেকদিন পর ওনার সাথে আড্ডাটা বেশ ভালোই জমেছিল ভাবি ভুলেই গেছিলো যে ওনার বাচ্চারা বাসায় আছে। ভাবির আগমন ছিল দাওয়াত দেওয়ার উদ্দেশ্যে দাওয়াত দিলো তার বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে ১ তারিখ রাতে তার বাসায় খাওয়ার জন্য পরে আমাকে সাথে নিয়ে আরও কয়েক বাসায় দাওয়াত দিতে গেলো যেখানেই যাচ্ছি সেখানেই কম বেশি আড্ডা হলো বাসায় আসতে আসতে রাত সাড়ে ১১ টা বেজে গেলো। খেয়েদেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরেরদিন সকালে সব ভাবিরা মিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো ওনাকে কিছু গিফট দেওয়ার বিষয়ে পরে আমরা সবাই মিলে বাজারে গিয়ে একটা ডিনার সেট কিনে নিয়ে আসলাম।
সন্ধ্যায় আমরা সবাই রেডি হয়ে ময়না ভাবির বাসায় চলে গেলাম। আমরা বাদে আরও অনেক লোকজন ছিল ভাই ভাবির কলিগরা আরও আত্মীয় স্বজন বেশ লোকের সমাগম ছিল তার বাসায়।
প্রথম পর্ব ছিল কেক কাটা। ভাই এবং ভাবি রেডি হয়ে কেক কাটার জন্য আসলো সব বাচ্চাদের সাথে নিয়ে কেক কাটা হলো।
এবার খাওয়ার পর্ব। সবাই এক এক করে খেতে বসে পড়লো আমাদের জন্য আলাদা আয়োজন করা হয়েছিল কারন আমরা একমাত্র হিন্দুধর্মাবলম্বী ছিলাম বাকি সবাই মুসলি ছিল তাই ভাবি আমাদের জন্য আলাদা ভাবে রান্না করেছেন এবং আমাদেরকে আলাদা জায়গায় খেতে দেওয়া হলো।খাবারের আয়োজন বেশ ভালোই ছিল। সাদা পোলাও, মুরগির রোস্ট, খাসির মাংস,ডিম,বেগুন ভাজা,সালাদ,দই পরে কোল্ড ড্রিংকস, মিষ্টি, পায়েস ছিল সেগুলোর ছবি তুলতে ভুলে গেছি 🙂
খাওয়াদাওয়া শেষে মিষ্টি পান খেতে খেতে সব ভাবিরা মিলে গল্প আড্ডা। তারপর শুরু হয়ে গেলো নাচ গান, প্রথমে আমার মেয়েদের গান দিয়ে শুরু হলো ওরা দুজন বেশ কয়েকটি গান পরিবেশন করলো তারপর শুরু হলো নাচ ময়না ভাবির বোনের মেয়ে খুব ভালো নাচ করে ওর নাচ দিয়ে শুরু হলো তারপর একে একে সব ভাবি বাচ্চারা নাচানাচি শুরু করলো এক পর্যায়ে এমন পরিস্থিতি শুরু হয়ে গেলো যে মনে হয় বিল্ডিং ভেঙে পড়বে ওদের লাফালাফিতে কেউ যেন আর থামতে চায় না। সবচেয়ে ভালো নাচ হয়েছে সাদা সাদা কালা কালা এই নাচটি যে যা পেয়েছে তাই বাজিয়েছে কেউ হাতা বাটি,কেউ প্লাস্টিকের বোতল কেউবা প্লাস্টিকের টুল কি যে এক দৃশ্য যা মনে পড়লে এখনো হাসতে হাসতে অবস্থা খারাপ হয়ে যায় এসব করতে করতে কখন যে রাত ১ টা বেজে গেছে কেউ টেরটি পাইনি।সকালে বাচ্চাদের স্কুল আছে তাই আর বেশি সময় থাকতে পারলাম না অবশেষে বাসায় চলে আসতে হলো। সবাই মিলে খুবই আনন্দঘন সময় কাটিয়েছি। বাচ্চারা খুব আনন্দ পেয়েছে। মাঝে মাঝে এরকম অনুষ্ঠান হলে খারাপ হয়না। সবকিছুই খুব ভালো ছিল আয়োজনের কোন কমতি ছিল না মোটামুটি ঘরোয়া ভাবে বেশ বড়সড় একটা অনুষ্ঠান হয়েছে খুবই সুন্দর একটা রাত উপভোগ করেছি। ভাই ভাবিকে এর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা জানাই। ওনাদের বিবাহিত জীবন সুখসাচ্ছন্দ্যে ভরে উঠুক এই প্রার্থনা করি।
আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন কিছু নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
তাহলে তো খুবই আনন্দঘন মুহূর্ত পার করে থাকেন ।প্রতি মাসে তিন চারটা অনুষ্ঠান যেটা অনেক বড় ব্যাপার । আসলে সম্মিলিতভাবে এতগুলো পরিবারের সাথে থাকলে অনুষ্ঠান হওয়াটাই স্বাভাবিক। আপনার ময়না ভাবীর বিবাহ বার্ষিক উপলক্ষে কাটানো মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ময়না ভাবীর শুভ বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে তাকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হচ্ছে আপনি ময়না ভাবীর বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে অনেক আনন্দ করেছেন এবং উপভোগ করেছেন। আপনার জন্য এবং ময়না ভাবে জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ময়না ভাবির বিবাহ বার্ষিকীর অনুষ্ঠান আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ময়নারে বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।