পোস্টার রঙ দিয়ে ঝর্ণার পেইন্টিং। ১০% বেনিফিশিয়ারী @লাজুক-শিয়াল এর জন্য।
আসসালামুআলাইকুম
আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, সবাই প্রতিদিনই তাদের দক্ষতা আমাদের সাথে শেয়ার করে থাকেন। আমিও চেষ্টা করি আমার সর্বোচ্চটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার করা একটি নতুন পেইন্টিং শেয়ার করার জন্য এসেছি। আমি আশা রাখি আমার এই পেইন্টিং আপনাদের সবার কাছেই ভালো লাগবে। আজকের এই পেইন্টিং কিছুটা সময় নিয়েই করতে হয়েছে।
প্রথমত আমি উপকরণসমূহ দেখাতে চাই।
ড্রয়িং খাতা পোস্টার রঙ তুলি
ধাপ-১
তাই আমি ড্রয়িং খাতাকে লম্বালম্বিভাবে করে নিলাম। তারপরে আমি আকাশী রঙ তুলিতে নিয়ে নিলাম। উপরের দিকের অংশ রঙ করে নিলাম।
ধাপ-২
কিছুটা অংশ রঙ করে নেয়ার পর আমি এর নিচের দিকের অংশ হলুদ রঙ করতে থাকলাম। তবে হলুদ রঙের উপরে কিছুটা অংশ সাদা রেখে দিলাম। আর হলুদ রঙ দিয়েও অল্প কিছু অংশ রঙ করলাম।
তারপরে তুলি মুছে নিয়ে নীল আর হলুদের মাঝের সাদা অংশ মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ-৩
এরপরে আমি নীল রঙ নিলাম, এর সাহায্যে আমি নিচের দিকে মাঝের অংশে রঙ করে নিলাম।
ধাপ-৪
মাঝের অংশে নীল রঙ করার পর আমি তুলিতে কালো রঙ নিলাম। কালো রঙ দিয়ে নীল রঙের ২ পাশে কালো রঙ করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এরপরে আমি আকাশী আর সাদা রঙ মিশিয়ে তুলিতে রঙ নিয়ে নিয়েছি। এর সাহায্যে আমি নীল রঙের উপর থেকে পানির প্রবাহ নিচের দিকে আসতেছে এভাবে রঙ করলাম। এভাবে আমি নীল রঙের উপরে ঝর্ণা একে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এরপরে আমি তুলিতে সবুজ রঙ নিলাম। সবুজ রঙ দিয়ে আমি কালো রঙের উপরে সবুজ রঙ দিয়ে কিছু পাতা একে নিলাম। এভাবে ২ পাশেই একইভাবে আমি সবুজ রঙ দিয়ে পাতা একে নিলাম।
ধাপ-৭
এরপরে আমি অন্য একটি তুলিতে সাদা রঙ দিয়ে আবারও ঝর্ণার কাজ শুরু করলাম। পূর্বে করা সেই আকাশী রঙের উপরে সাদা রঙ করে নিলাম। আর পড়ন্ত পানির মত করে রঙ করে নিলাম।
এরপরে আমি তুলিতে হলুদ রঙ লাগিয়ে নিলাম। হলুদ রঙ দিয়ে সেই সবুজ পাতাগুলোর উপর রং করে নিলাম।
ধাপ-৮
এরপরে আমি গাঢ় বাদামী রঙ দিয়ে ঝর্ণার মধ্যে কিছু পাথর একে নিলাম। পাথরগুলো একে নেয়ার পর আমি ২ পাশেই কিছু গাছের কান্ড একে নিলাম।
পাথরগুলোকে উজ্জ্বল করার জন্য সাদা রঙ ব্যবহার করে পাথরের উপরে রঙ করলাম।
ধাপ-৯
এরপরে সবুজ রঙ দিয়ে গাছের উপরের অংশে সবুজ রঙ করে নিলাম। ২ পাশের গাছগুলোকেই সবুজ রঙ করে নিয়েছি। হালকা হলুদ রঙ দিয়ে সেই সবুজের উপরে রঙ করে নিলাম।
এইখানেই আমি আমার পেইন্টিং এর কাজ শেষ করে নিলাম। পুরো পোস্টে আমি আমার সম্পূর্ণ কাজ তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
সবাই সবার মতামত জানাবেন,আর ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।অনেক ধন্যবাদ জানাই সবাইকে।
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
ঝর্ণার পেইন্টিং দারুণ হয়েছে আপু। উচু পাহাড় দিয়ে সুন্দর নীল জলরাশির ঝর্ণা বইছে। দারুণ ছিল ঝর্ণাটি।
এবং খুবই সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে এটি অংকন করেছেন এবং সেটা উপস্থাপন করেছেন। বেশ ভালো ছিল পোস্ট টা। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
পোস্টার রং দিয়ে ঝর্ণার পেইন্টিং অসাধারণ হয়েছে আপু। আপনি দারুন একটি পেইন্টিং আমাদের মাঝে উপহার দিয়েছেন। অনেক ভালো লাগছে দেখতে আপনার পেইন্টিংটি। ধন্যবাদ আপনাকে এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপু
পোস্টার রং দিয়ে ঝরণার পেইন্টিংটি দেখে আমি মুগ্ধ। আপনি খুবই সুন্দরভাবে চিত্রটি অঙ্কন করেছেন। আপনার ধাপে ধাপে উপস্থাপন দেখে চিত্রটি অঙ্কন করা আমি শিখতে পারলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ রইল ভাইয়া
কি বলবো আপু এতটা সুন্দর হয়েছে যে যত প্রশংসা করবো ততই কম হবে। আপনার আগের পেন্টিং গুলো আমি দেখেছি সবগুলোই আপনার অনেক সুন্দর হয় এবং কালার কম্বিনেশন গুলো অনেক ভাল হয়। দেখে মনে হচ্ছে সত্যি কারের কোন ঝর্ণা। অনেক সুন্দর হয়েছে আপু শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু
ঝরনার পেইন্টিং টি অনেক চমৎকার হয়েছে আপু দেখতে। বিশেষ করে পাথরের সাথে ঝর্ণার পানির ধাক্কা লাগার ব্যাপারটি খুবই নিখুঁত করে এঁকেছেন আপনি। অনেকটাই রিয়েলিস্টিক মনে হচ্ছে এবিষয়টি। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি পেইন্টিং আমাদের মাঝে উপস্থাপনের জন্য। শুভকামনা রইল আমার পক্ষ থেকে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
পোস্টার রং দিয়ে স্বর্ণার পেইন্টিং দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। এত সুন্দর ভাবে আপনি করেছেন। সত্যি আমার অনেক ভালো লেগেছে।
মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
আপু আপনার ঝরনার ছবিটা এক কথায় বলতে গেলে চমৎকার হয়েছে ।আপনি আকার প্রতিটা ধাপ সুন্দরভাবে দেখিয়ে দিয়েছেন । ৬ নাম্বার ধাপে একদম ম্যাজিকের মতন ছবি টা চেঞ্জ হয়ে গেল।দুই পাশে গাছ আর মাঝে বিশাল জলরাশি বয়ে যাচ্ছে দেখতে ভালো লাগছে ।ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি আর্ট আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য
আপনার পোস্টে ঝরনার পেইন্টিং টি দেখে আমি সম্পূর্ণ অবাক হয়ে গেছি। অসাধারণ প্রতিভা আপনার। পাহাড় থেকে জলরাশি ঝরনা নিচে নামছে অসাধারণ অঙ্কন করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিটি ধাপের উপস্থাপনা খুবই চমৎকার হয়েছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।