কেমন ছিল আমার ছেলেবেলা (প্রথম পর্ব) । 10% for shy-fox and 5% for abb-school
আসসালামুয়ালাইকুম। আদাব-নমস্কার। আমি শান্ত চন্দ্র দাস। আমার ইউজার আইডি @bloggershanto। আশা করি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্য ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি কেমন ছিল আমার ছেলেবেলা এর প্রথম পর্ব। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
ছোটবেলায় আমি অনেক চঞ্চল প্রকৃতির ছিলাম। সারাদিন খেলাধুলা আর হৈ হুল্লোড় করে বেড়াতাম।স্নান করার জন্য পুকুরে নামলে যতক্ষণ না চোখ লাল হত ততক্ষণ উঠতাম না। বৃষ্টির দিন বৃষ্টির পানিতে না ভিজলে আমার ভাল লাগতো না। বৃষ্টির সমর পিচ্ছিল পিচ্ছিল খেলা আর মাঠে ফুটবল খেলার মজাই ছিল আলাদা। এছাড়াও বৃষ্টির দিনে পুকুরে পানিতে স্নান করারও অন্যরকম মজা রয়েছে। কারণ বৃষ্টির সময় পুকুরের পানির নিচের অংশ গরম থাকত। ছোটবেলায় তো বুঝতাম না যে পানির আপেক্ষিক তাপ ধারণ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় কারণে পানি ঠাণ্ডা বা গরম হতে বেশি সময় নেয় তাই বৃষ্টির সময় পুকুরের পানির নিচের অংশ গরম থাকত।
ছোটবেলায় ক্রিকেট আমার অনেক প্রিয় খেলা ছিল।যদিও ছোটবেলায় বাবা আমার খেলাধুলা একদমই পছন্দ করত না।বাবা চাইত সারাদিন যেন আমি পড়াশোনা করি।খেলাধুলা করার জন্য অনেক উত্তম মাধ্যম সহ্য করতে হয়েছে।তারপরও আমি প্রতিদিন ক্রিকেট খেলতাম। স্কুল থেকে এসে খেয়ে খেলায় লেগে পড়তাম। ছুটির দিনে আমার বন্ধুরা অনেক সকাল সকাল খেলা শুরু করে দিত। তাই বাবা যখন স্নান করতে যেত তখন আমি চুপচাপ ঘর থেকে বের হয়ে খেলায় চলে যেতাম। পকেটে গেঞ্জি ঢুকিয়ে খালি গায়ে বেড় হতাম যাতে ধরা পড়লেও বুঝতে না পারে।
পড়াশোনার কথা বলতে গেলে প্রথমে যে মানুষটির কথা বলতেই হবে তিনি হলেন আমার বাবা।বাবাই আমার জীবনের প্রথম এবং প্রধান শিক্ষক। ছোটবেলায় বাবা সকালে আমায় হাঁটতে নিয়ে যেতেন। তখন আমাকে বিভিন্ন বর্ণমালা, ছড়া ইত্যাদি শিখাতেন। এছাড়াও তিনি আমাকে প্রধান যে শিক্ষাটি দিয়েছেন তা হলো আদর্শ মানুষ হওয়ার শিক্ষা। আমার বাবা ব্যবসার কাজে সারাদিন অনেক ব্যস্ত থাকতেন তারপরও পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত আমাকে নিজে গাইড করেছেন।
Source
তো বন্ধুরা কেমন ছিল আমার ছেলেবেলা এর প্রথম পর্বটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে এবং কোন কোন বিষয় আপনাদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ রয়েছে অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানিয়ে দিবেন। আপনাদের সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার ছোটবেলা প্রায় আপনার মতই কেটেছে। আমিও ছিলাম বেশ চঞ্চল প্রকৃতির। বৃষ্টিতে ভিজা মেয়ে হয়েও ছোট ভাইদের সাথে খেলা দৌড় ঝাপ সহ বিভিন্ন ভাবে সময় কাটতো। আর আমার প্রধান গার্ডিয়ান ছিল আম্মু। সে আমাকে পড়াতো। সব কিছুই দেখছি মিল।
আপনার ছেলেবেলার এই স্মৃতি কাহিনী পড়ে বেশ ভালো লাগলো। নিজের সাথেও কিছু মেলাতে পারলাম। খুবই সুন্দর লিখেছেন আজকের এই বিশেষ পোস্টটি।
আপনার পোস্টটি পড়ে ভাই আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। সেই দিনগুলো আর তো ফিরে পাবো না। আসলে ছোটবেলায় আমিও এরকম খেলাধুলায় আসক্ত বেশি ছিলাম, পড়ালেখা খুব একটা করতাম না আপনার মত উত্তম মাধ্যম খাওয়া হত বেশিরভাগ সময়ে। তবে শুনে ভালো লাগলো আপনার বাবা আপনার প্রধান শিক্ষক আসলে সব বাবা মার ইচ্ছা ছেলেমেয়ে ভালো লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশ ও জাতির মঙ্গল করুক। ধন্যবাদ ভাই ভালো লাগলো পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
দাদা ছোট বেলাটা এমনি হয় ৷ ছোট বেলার সেই দিনগুলো আমারও এমনি কেটেছে ৷ বৃষ্টির দিনে ফুটবল খেলা , পুকুরে স্নান করা , পিচ্ছিল পিচ্ছিল খেলা আমিও খেলেছি ৷ ছোট বেলার সেই দিনগুলি অনেক মজার ছিলো ৷ এখনো মাঝে মাঝে মনে পড়ে সেই ফেলে আসা দিনগুলির কথা ৷
ভাই শৈশবের স্মৃতিগুলো আসলেই ভুলার মতো না। আমি মাঝে মাঝেই সেই স্মৃতিগুলো মনে করি। আবার ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দূরন্ত শৈশবে। আপনার পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভাল লিখেছেন। পড়তে পড়তে নিজের ছেলেবেলায় চলে গেলাম। এরপরে আপনার গ্রাম নিয়েও পড়তে চাই।