কোয়ান্টাম মেকানিক্স:পর্ব:০২:ইতিহাস।।২২ মার্চ ২০২৪
কোয়ান্টাম তত্ত্ব হলো নিঃসন্দেহে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের একটি ভিত্তি যা ২০ শতকের গোড়ার দিকে একটি যুগান্তকারী কাঠামো হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল।এই তত্ত্ব মৌলিকভাবে প্রাকৃতিক বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের বুঝতে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছিল।এর ঐতিহাসিক বিবর্তন তত্ত্ব, পরীক্ষা এবং দার্শনিক অনুসন্ধানের একটি আকর্ষণীয় ইন্টারপ্লে প্রতিফলিত করে যার বিভিন্ন সময় জুড়ে অনেক উজ্জ্বল প্রমাণ সাপেক্ষ উদাহরণ আছে।
১৯ শতকের শেষের দিকে কোয়ান্টাম তত্ত্বের বীজ বপন করা হয়েছিল ক্রমবর্ধমান প্রমাণের মাধ্যমে যে ধ্রুপদী পদার্থবিদ্যা নির্দিষ্ট ঘটনা ব্যাখ্যা করতে পারে না।ব্ল্যাকবডি বিকিরণ সমস্যা ছিল এমনই একটি রহস্য।শাস্ত্রীয় তত্ত্বগুলি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে একটি ব্ল্যাকবডি স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যে অসীম শক্তি নির্গত করে যার ফলাফল পরীক্ষামূলক পর্যবেক্ষণের সাথে স্পষ্টতই বিপরীত ছিলো।১৯৯৯ সালে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক একটি বৈপ্লবিক সমাধান প্রস্তাব করেছিলেন যে শক্তি পরিমাপ করা হয় এবং শুধুমাত্র বিচ্ছিন্ন পরিমাণে কোয়ান্টায় নির্গত বা শোষিত হতে পারে।এই অনুমান তাকে একটি সূত্র তৈরি করতে সাহায্য করেছিলে যা পর্যবেক্ষণ করা ব্ল্যাকবডি বর্ণালীকে সঠিকভাবে বর্ণনা করে।এটাই কোয়ান্টাম তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করে।
১৯০৫ সালে কোয়ান্টাম তত্ত্ব টি আলবার্ট আইনস্টাইনের ফটোইলেক্ট্রিক প্রভাব ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে আরও আকর্ষণ অর্জন করেছিল। আইনস্টাইন প্রস্তাব করেছিলেন যে আলো কণা বা ফোটন নিয়ে গঠিত শক্তিগুলি তাদের ফ্রিকোয়েন্সি অনুসারে পরিমাপ করা হয়।এই হাইপোথিসিস ব্যাখ্যা করে যে একটি নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের নীচে আলোক তীব্রতা একটি উপাদান থেকে ইলেকট্রন বের করতে পারে না। ফটোইলেক্ট্রিক প্রভাবের উপর আইনস্টাইনের কাজ যার জন্য তিনি পরে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।আলোর কোয়ান্টাম প্রকৃতির জন্য পরীক্ষামূলক অনেক উদাহরণ পেশ করা হয়েছিল।
এদিকে ১৯১৩ সালে নিলস বোর পারমাণবিক কাঠামোতে কোয়ান্টাম ধারণা প্রয়োগ করেন।তিনি প্রস্তাব করেন যে ইলেকট্রনগুলি পৃথক শক্তি স্তরে নিউক্লিয়াসকে প্রদক্ষিণ করে এবং এই স্তরগুলির মধ্যে যাতায়াত এর সাথে সাথে শক্তি নির্গত বা শোষণ করে।বোর মডেল পারমাণবিক স্থিতিশীলতা এবং বর্ণালী রেখার রহস্য সমাধান করেছে।এটা নিঃসন্দেহে কোয়ান্টাম তত্ত্বের জন্য আরেকটি বড় অগ্রগতি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ম্যাক্স প্লাঙ্ক বর্ণালী ব্যাখ্যা করতে না পারার পর যখন বোর মডেলটা প্রস্তাবিত হয় তখন শক্তি স্তর আর বর্ণালী রেখা সম্পর্কে দারুণ ধারণা পাওয়া গিয়েছে।কারণ এর আগ অব্দি যেহেতু শক্তিস্তর সম্পর্কেই জানা যেতো না,সেহেতু অর্ধেক ভুল পড়তো ই ধরা যায়।
তবে ১ম যখন ৮ম শ্রেণীতে ২ টা মডেল পর পর মুখস্ত করতাম তখন মনে হত ২জন এর লেখা কেনো পড়তে হচ্ছে! কিন্তু মাধ্যমিকে উঠে বুঝলাম যে আগের মডেলের চেয়ে বর্তমান মডেল বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
বোরের পরমাণু মডেল সেই সময়ে এক যুগান্তকারী অনুসন্ধান ছিলো। ইলেকট্রন তরঙ্গ ও কনার যে ধারণা উনি দিয়েছিলেন তা আধুনিক পদার্থবিদ্যায় এক অন্য মাত্রা নিয়ে আসে।
ইলেকট্রন তরঙ্গ আর কনার ধারণা দিয়েছিলেন তা আধুনিক পদার্থবিদ্যায় এক অন্য মাত্রা নিয়ে আসেছে।আর পরমাণু মডেলের অনুসন্ধান ও ধারণা ও সাধারণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেইসময়ের।দাদা আজকে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে অনেক তথ্য জানতে পারলাম। যেগুলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এই জ্ঞান অর্জন করা এবং জ্ঞান সম্পর্কে ধারণা রাখা উচিত।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর দ্বিতীয় পর্ব পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আর এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন আপনি দাদা। সব থেকে ভালো লেগেছে কোয়ান্টাম তত্ত্বের অগ্রগতির বিষয়টি জানতে পেরে।
আসলেই কোয়ান্টাম মেকানিক্স হচ্ছে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের একটি শাখা। পোস্টটি পড়ে যতটুকু বুঝলাম ১৯৯৯ সালে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক কোয়ান্টাম তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপন করেন। এর আগে আলবার্ট আইনস্টাইন এবং নিলস বোর যে কোয়ান্টাম ধারণা প্রয়োগ করেন,তার চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক এর কোয়ান্টাম তত্ত্ব। যাইহোক বেশ তথ্যমূলক একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দাদা। এই ধরনের পোস্ট পড়লে অনেক কিছু জানা যায়। যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন সবসময়।
এক নিমিষেই দ্বিতীয় পর্ব টাও পড়ে ফেললাম, মজার ব্যাপার হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় পদার্থবিদ্যায় বোর তত্ত্ব পড়েছিলাম ভাই।
বেশ ভালো লাগলো ব্লগটি।
বোর মডেল এর মাধ্যমে যে পারমাণবিক স্থিতিশীলতা এবং বর্ণালী রেখার রহস্য সমাধান হয়েছে, এটা নিঃসন্দেহে কোয়ান্টাম তত্ত্বের জন্য আরেকটি বড় অগ্রগতি দাদা। তোমার কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর প্রথম পর্বটা পড়ে বেশ ভালো লেগেছিলো। আজকেও অনেক বেশি ভালো লাগলো। তোমার প্রত্যেকটা পোস্টই অনেক বেশি শিক্ষামূলক। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা, এত সুন্দর কিছু তথ্য আমাদের জানার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।