আমার বাংলা ব্লগ||রেসিপি:-ঐতিহ্যবাহী দুধ পুলি পিঠা তৈরি//তা:১৩/১২/২০২১ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
💖আমার নতুন একটি পোস্টে আপনাদের সবাইকে সুস্বাগতম জানাচ্ছি💖
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ দয়ায় অনেক ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। চলছে হেমন্ত ঋতুর অগ্রহায়নণ মাস। নতুন ধানের আতপ চালের গুড়া দিয়ে নবান্ন উৎসব শুরু হয়ে গেছে বাংলার গ্রামাঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে। পুরো হেমন্ত ঋতু এবং শীত ঋতু জুড়েই নবান্ন উৎসব চলমান থাকে আমাদের গ্রাম বাংলার প্রতিটি বাড়িতে।
নবান্ন উৎসবের এই চলমান ধারায় আজ আমি আপনাদের নিকট বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা দুধ পুলি পিঠা তৈরির রেসিপি শেয়ার করছি। দুধ পুলি পিঠা আমাদের সকলের নিকট অতি পরিচিত এবং খুবই প্রিয়। আমি ইউনিক ভাবে দুধ পুলি পিঠা তৈরি করতে চেষ্টা করেছি। আমি প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি আমাদের ঐতিহ্যবাহী যেকোনো একটি পিঠা তৈরীর রেসিপি শেয়ার করতে। তাই আমি এ সপ্তাহে' দুধ পুলি পিঠা নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির হয়েছি। তবে চলুন দেখে আসি দুধ পুলি পিঠা তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো এবং প্রসেস গুলো। আমি আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
💖 দুধ পুলি পিঠা তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলো নিম্নে দেওয়া হল💖
বিভিন্ন উপাদানের নাম | পরিমাণ |
---|---|
আতপ চালের গুড়া | এক কেজি |
গরুর খাঁটি দুধ | দুই কেজি |
চিনি | এক কেজি |
নারিকেলের ঝুরি | দুই বাটি |
বাদাম | পরিমাণমতো |
এলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি | পরিমাণমতো |
লবণ | পরিমাণমতো |
দুধ পুলি পিঠা তৈরির প্রসেস গুলো নিম্নে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হলো 💖
⬇️ ধাপ-০১:⬇️
প্রথমে নারিকেলের ক্ষীর তৈরি করার জন্য এক কেজি পরিমাণ গরুর দুধ কড়াইয়ে ঢেলে দিয়ে কড়াইটি চুলার উপর বসিয়ে দিলাম।
⬇️ ধাপ-০২:↙️
এক বাটি নারিকেলের ঝুরি দুধের ভিতর ঢেলে দিলাম।
⬇️ ধাপ-৩:⬇️
আধা কেজি পরিমাণ চিনি দুধের ভিতর ঢেলে দিলাম। তারপরে কয়েকটা এলাচ ও লবঙ্গ,বাদাম এবং পরিমাণ মত লবণ ও সামান্য পরিমাণে দারচিনি দিয়ে দিলাম যাতে ফ্লেভার হয়। চুলার আগুন মাঝামাঝি পর্যায়ে রেখে আগুনের জ্বালা দিতে শুরু করলাম।
♣️ ধাপ-০৪:♣️
১৫ মিনিটের মধ্যেই তৈরি হয়ে গেল নারিকেলের ক্ষীর।
👇 ধাপ-০৫:👇
কড়াইয়ের ভিতরে পরিমাণমতো পানি দিয়ে চুলার উপর বসে দিলাম। চুলার আগুন মাঝামাঝি পর্যায়ে রেখে পানিগুলো গরম করে নিলাম।
↘️ ধাপ-০৬:↙️
গরম পানির মধ্যে আতপ চালের গুড়া গুলো ঢেলে দিলাম। আতপ চালের গুঁড়া গুলোর মধ্যে পরিমাণমতো লবণ দিয়ে দিলাম। চুলার আগুন মাঝামাঝি পর্যায়ে রেখে আতপ চাউলের গুড়া গুলো ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিলাম
⬇️ ধাপ-৭:⬇️
সিদ্ধ করা আতপ চালের গুড়াগুলো দিয়ে রুটি বানিয়ে নিলাম।
⬇️ ধাপ-৮:↙️
একটি স্টীলের গ্লাস দিয়ে রুটিগুলো ছোট ছোট গোল গোল করে কেটে দিলাম। এগুলো দেখতে লুচির মত হয়ে গেল।
⬇️ ধাপ-৯:⬇️
গোলাকার ছোট ছোট লুচি গুলো সাজিয়ে নিলাম। লুসি গুলোর মাঝখানে পরিমাণ মত নারিকেলের ক্ষীর দিয়ে দিলাম।
♣️ ধাপ-১০:♣️
লুসি গুলোর মুখ ভালোভাবে লাগিয়ে দিলাম। তৈরি হয়ে গেল পুলি পিঠা।
👇 ছবি-১১:👇
এবার দুধের শিরা বা রস তৈরি করার জন্য এক কেজি পরিমাণ গরুর খাঁটি দুধ কড়াইয়ে ঢেলে দিলাম।
↘️ ধাপ-১২:↙️
দুধের মধ্যে আধা কেজি পরিমাণ চিনি এবং এক বাটি নারিকেলের ঝুরি ঢেলে দিলাম। পরিমাণমতো লবণ এবং কয়েকটা এলাচ ও লবঙ্গ এবং সামান্য পরিমাণ দারচিনি দিয়ে দিলাম। চুলার আগুন মাঝামাঝি পর্যায়ে রেখে আগুনের জ্বালা দিলাম।৮-১০ মিনিটের মধ্যেই তৈরি হয়ে গেল দুধের রস।
⬇️ ধাপ-১৩:⬇️
দুধের রসের মধ্যে পুলি গুলো সব ঢেলে দিলাম। ০৫ মিনিট সময় ধরে পুলি গুলো দুধের রসের মধ্যে ডুবিয়ে রাখলাম।
⬇️ ধাপ-১৪:↙️
আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমাদের ঐতিহ্যবাহী দুধ পুলি পিঠা। দুধ পুলি পিঠা গুলো খেতে অবশ্যই খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার হবে।
⬇️ ধাপ-১৫:⬇️
♣️ দুধ পুলি পিঠা হাতে নিয়ে আমার একটি সেলফি♣️
👇 পরিবেশন👇
শীতকালীন মজাদার দুধ পুলি পিঠা পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য পরিবেশন করা হবে।
camera: infinix hot 11 S
[Location:]
(https://w3w.co/stepladder.midweek.abacus)
দুধপুলি খেতে খুবই ভালো লাগে ছোটবেলায় অনেক খেয়েছি ভাইয়া। অনেক আনন্দ উৎসব করে এগুলো তৈরি করা হতো। বাড়িতে আপনি আবারও আমাদের মাঝে প্রিয় দুধ পুলি পিঠা নিয়ে হাজির হলেন। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সঠিক মাত্রায় দিয়েছেন। আমার অনেক ভাল লাগলো আর প্রতিটি ধাপে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন ভাইয়া। আপনার রান্নার ধরন খুবই ভালো আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া এখনও গ্রাম বাংলার প্রতিটি বাড়িতে আনন্দ উৎসবের সাথেই পিঠা তৈরি করা হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আমার পোস্টটি পড়ে খুবই সুন্দর মতামত দিয়েছেন।
আমার পছন্দের পিঠা গুলোর মধ্যে এটি একটি।আপনার পিঠা বানানোর পদ্ধতিটি অনেক সুন্দর হয়েছে।দেখে মনে হচ্ছে খাবারটা অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনার জন্য রইলো শুভ কামনা।
জি ভাইয়া। দুধ পুলি পিঠা আসলেই খুবই মজাদার পেয়েছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খুবই সুস্বাদু এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাইয়া দুধ পুলি পিঠা বরাবরই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে বিশেষ করে এই ঠান্ডার সময় সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দুধ পুলি পিঠা খেতে অনেক অনেক বেশি মজা লাগে এরকম রেসিপি দেখলে সত্যিই নিজেকে আর কন্ট্রোল করা যায় না আপনার এই দুধ পুলি পিঠার রেসিপি টা দেখে আমার জিভে জল এসে গেল এত মজাদার এবং লোভনীয় আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া
ভাইয়া আপনিও বাড়িতে দুধ পুলি পিঠা তৈরি করতে পারেন। সত্যি ভাইয়া অতি লোভনীয় একটি পিঠা হলো দুধ পুলি পিঠা। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য।
ভাই আপনার দুধ পুলি পিঠা তৈরীর রেসিপি টা অনেক সুন্দর হয়েছে প্রত্যেকটা স্টেপ ধাপে ধাপে বর্ণনা করেছেন আমার অনেক ভালো লেগেছে এরকম একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার পোস্টটি পড়ে আপনি খুবই সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করেছেন।
আসলে দুই পুলি পিঠা আমাদের দেশের সাধারণ একটি পিঠা। শীতকালে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পিঠা তৈরি করা হয়।
তবে আপনার উপকরণের মধ্যে একটু অন্যরকম ভাব ছিল। যেগুলো ফটোগ্রাফি রেসিপি তৈরি করতে সাহায্য করে অন্যরকম ভাবে।
দুধ পুলি পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
ভাইয়া আমি চেষ্টা করেছি দুধ পুলি পিঠা একটু ইউনিক করে তৈরি করতে। কিন্তু আমি জানিনা কতটি ইউনিক হয়েছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
একদম পারফেক্ট ভাবে তুলে ধরেছেন। সাথে পর্যায় গুলো খুব ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ প্রাণপ্রিয় ভাইয়া।
আপনার দুধ পুলি পিঠার রেসিপি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন, দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার। আর যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আমার দুধ পুলি পিঠা তৈরীর রেসিপি টা আপনার ভালো লেগেছে জানতে পেরে আমারও খুব ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার মধ্যে দুধ পুলি পিঠা অন্যতম। দুধ পুলি পিঠা গ্রাম অঞ্চলে অনেক জনপ্রিয়। সবাই এই পিঠা খেতে ভালোবাসে। আপনার রেসিপি টা খুবই সুন্দর হয়েছে। ধাপে ধাপে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন ।চাইলেই যে কেউ আপনার রেসিপি ফলো করে পরবর্তীতে এটি তৈরি করতে পারবে ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার পোস্টটি পড়ে আপনি খুবই সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করেছেন। দুধ পুলি পিঠা সত্যি আমাদের সকলের খুবই প্রিয়।
চারিদিকে পিঠার সমারোহ দেখে মনে হচ্ছে শীত সত্যি চলে এসেছে তার সব রকমের আয়োজন নিয়ে। শীত আসা মানে সবদিকে পিঠা উৎসব। শীতকালে যতগুলো পিঠা বানানো হয় তার মধ্যে দুধ পুলি পিঠা অন্যতম ।আমার বাসায় রাতের বেলা পিঠা বানানো হতো এবং দুধের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে আমরা সকালে ঠান্ডা পিঠা খুব মজা করে খেতাম। এত সুন্দর একটি পিঠা বানানোর সম্পূর্ণ ধাপ এত নিখুত ভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শীত আসা মানেই নবান্ন উৎসব শুরু হওয়া। বিভিন্ন পিঠা পুলির সমারোহ। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার পোস্টটি পড়ে গঠনমূলক মতামত দিয়েছেন।
আপনার ঐতিহ্যবাহী দুধ পুলি পিঠা টি অসাধারণ একটা রেসিপি হয়েছে যা সত্যিই লোভনীয়। যদিও আমি মিষ্টি খুব কম পছন্দ করি কিন্তু আপনার এই পুলি পিঠা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করছে। জানি যত ইচ্ছে করোক না কেন খাওয়া সম্ভব নয়। যেহেতু আমরা ভার্চুয়াল জগতে আছি। তবুও আপনার রেসিপিটি দেখে শিখে নিলাম। মন যদি চায় তখন খেয়ে নেব। যাইহোক আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার পোস্টটি পড়ে খুবই সুন্দর মতামত দিয়েছেন । সত্যি ভাইয়া পুলি পিঠা খুবই লোভনীয়।
শীতকালে পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। এ সময়ে বা শীতকালের চারিদিকে নানান রকমের পিঠা দেখতে পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো পুলি পিঠা।
পুলি পিঠা আমার খুবই পছন্দের একটি পিঠা।
আপনার রেসিপিটি খুব সুন্দর হয়েছে। তৈরি করার পদ্ধতি ও খুব সহজে উল্লেখ করেছেন। এটি দেখে যে কেউ খুব সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারবে।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল🙂🙂
জ্বী আপু আপনি ঠিকই বলেছেন শীতকালীন পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। দুধ পুলি পিঠা সত্যিই অনেক মজাদার। আমার পোস্টটি পড়ে খুবই সুন্দর মতামত দিয়েছেন আপনি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।