🥰 হ্যালো বন্ধুরা 🥰

---

সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে খুবই ভাল আছি। আপনারা অনেকেই তো জানেন আমরা চট্টগ্রামে বড় আপুদের বাসায় বেড়াতে এসেছি। সেখানেই আমরা নানা জায়গায়ও ঘুরতে গিয়েছিলাম। কালকে সকালে আমরা বায়েজিদ বোস্তামীরে ঘুরতে গিয়েছি। রাত্রিবেলা সবাই বলাবলি করতেছিল ওইখানে ঘুরতে যাবে। তাই সকাল হতে না হতে আমরা ওখানে ঘুরতে চলে আসলাম। আমার তো ঘুরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। তাই আজকে আমাদের এই সুন্দর মুহূর্তটা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম।

https://w3w.co/coder.mailboxes.haggling

সকালেই সবাই তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে বেরিয়ে গেলাম। প্রায় ২০-৩০ মিনিটের মধ্যে ওখানে গিয়ে পৌঁছে গেলাম। সেখানে যাওয়ার পথে দেখতে পেলাম অনেক মানুষই ওখানে যাচ্ছে। তারপর সবাই জুতা খুলে ওখানে ঢুকতে শুরু করলাম। কয়েক বছর আগে যখন আমি ওখানে গিয়েছিলাম সেখানে আমরা জুতা লাইন করে রেখে দিতাম। এখন একজন লোক জুতাগুলো পাহারা দেয়। সেটি আমার কাছে বিশেষ করে অনেক ভালো লাগলো দেখে। তারপর সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় আমি একটা সেলফি নিলাম। কারণ সিঁড়িটা অনেক বিশাল ছিল। সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে সবার বারোটা বেজে যাচ্ছিল। এইভাবে অনেক কষ্টে সবার উপরে উঠে পড়লাম।

তারপর উপরে গিয়ে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করেছিলাম সবাই মিলে।তারপর উপরে যাওয়ার পরে দেখতে পেলাম দেখতে পেলাম সবাই একটা গাছের মধ্যে তাদের ইচ্ছে গুলো পূরণ হওয়ার জন্য একটা সুতা বাদতেছে। তারপর আমারও ইচ্ছা জাগলো সেই গাছের মধ্যে একটি সুতা বাধার জন্য। তারপর আমি একটা লোকের থেকে একটি সুতা নিয়ে নিলাম। তারপর আমি ও আমার ইচ্ছে গুলো মনে মনে বলে সে গাছের মধ্যে সুতাটা বাঁধতে শুরু করলাম। মনে মনে বলতেছিলাম যেন নিজের ইচ্ছাটা পূরণ হয়ে যায়। সুতা বাধার সময় নিজের একটা ছবি আর গাছেরও একটি ছবি তুলে নিলাম।

তারপর উপরে কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করার পরে নিচে নেমে চলে আসলাম আমরা। সেখানে নেমে একটি বড় দিঘির সামনে চলে গেলাম সবাই মিলে। সেখানে দীঘিটার মধ্যে অনেক ধরনের মাছ আর বড় বড় কচ্ছপ ছিল। সবাই কচ্ছপগুলোকে নানা ধরনের রুটি অথবা কলা খেতে দিচ্ছিল। তখন আমরাও সবাই মিলে দোকান থেকে রুটি আর কলা নিয়ে এসে কচ্ছপগুলোকে খেতে দিচ্ছিলাম। কয়েক বছর আগে যখন গিয়েছিলাম তখন কচ্ছপগুলোকে অনেকটাই ছোট ছোট দেখেছিলাম। এখন যখন কচ্ছপগুলোকে দেখেছি তখন কচ্ছপগুলো একেবারে বুড়ো আর সাদা সাদা হয়ে গেছে। কচ্ছপগুলোকে দেখে খুব কষ্ট হচ্ছিল। আমার কচ্ছপগুলোকে খাওয়ানোর সময় মেজ আপু আমার কিছু ফটোগ্রাফি আর আমার হাজবেন্ডের কিছু ফটোগ্রাফি করে দিল।

নিজের তোলা ছবির সাথে সাথে ও কিছু কচ্ছপগুলোর ফটোগ্রাফিও করে নিলাম। কচ্ছপগুলোকে দেখে যে কারণে অনেকটা মায়া হয়। যাবে আমার তো কচ্ছপগুলো দেখে খুব খারাপ লাগলো। আমার তো কচ্ছপগুলো দেখেই চোখে পানি চলে আসলো। এইভাবে কচ্ছপগুলোর অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। ফটোগ্রাফি গুলো করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে এরকম সুন্দর জায়গায় ঘুরতে গিয়েও অনেক ভালো লাগে। এইভাবে ঘুরাঘুরি করার আমাদের এই সুন্দর মুহূর্তটা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। আশা করি আপনাদের সকলের আমাদের ঘুরাঘুরি করা এই সুন্দর মুহূর্তটা অনেক ভালো লাগবে।

---

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণী	সুন্দর মুহূর্ত
ডিভাইস	Samsung galaxy a7
ফটোগ্রাফার	@bdwomen
লোকেশন	চট্টগ্রাম