স্কুল জীবনের হাস্যকর একটি ঘটনার গল্প ১০% @shy-fox এর জন্য
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আপনাদের সাথে আমাদের এসএসসি পরীক্ষার সময় ঘটে যাওয়া একই ঘটনা তুলে ধরার চেষ্টা করব। স্কুল জীবনে তো আমরা সবাই অনেক হইচই আর মজা করে কাটিয়ে দিয়েছি। স্কুল মানেই তো বন্ধু-বান্ধ ব সবাইকে নিয়ে ঘুরাঘুরি আর মজা মাস্তি করা। তাই আজকে স্কুল জীবনে সবচেয়ে হাস্যকর গল্পটাই আপনাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার চেষ্টা করলাম। আশা করি আপনাদের সকলের আমার এই গল্পটা খুবই ভালো লাগবে।
এটা হচ্ছে আমাদের এসএসসি পরীক্ষার সময় একটি সুন্দর ঘটনা। স্কুল জীবনে তো সবাই বন্ধুবান্ধব মিলে অনেক মজা মাস্তি করে। তেমনি আমরাও স্কুল জীবনে অনেক খাওয়া-দাওয়া আর মজা করেই কাটিয়ে দিলাম। এইভাবে সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে কাটাতে একদিন পরীক্ষার তারিখ চলে আসলো। সবাই মিলে অনেক পড়াশোনা করে পরীক্ষার হলে চলে গেলাম পরের দিন। স্যার ম্যাডামদের সাথে সুন্দর ভাবে আলোচনা করে করে আমরা কয়েকটি পরীক্ষা দিয়ে দিলাম। সবগুলোই পরীক্ষা মোটামুটি খুবই ভালো হয়েছিল। একদিন আমাদের বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা চলতেছিল। সবাই খুব খুশি মনে পরীক্ষার হলে চলে আসলাম।
তারপর দুটি চার আর দুটি ম্যাডাম আমাদের ক্লাসে ওই দিন পড়েছিল। তারপর এক এক করে ঘন্টা পড়ে গেলে আমাদের সবাইকে কাগজ দেওয়া শুরু করল। তারপর প্রথমে আমরা সবাই হাসিখুশি ভাবে নিজের নাম ঠিকানা আর রোল নাম্বার লেখা শুরু করলাম। তারপর আমাদের ক্লাসের একটি ছেলে তার খাতায় নাম-ঠিকানা লিখতেছিল। তখন একটি স্যার তার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে তার লেখাগুলো দেখতে ছিল। তখন ছেলেটি তার নামটা খাতার মধ্যে লিখে ছিল। তারপর যখন ঠিকানার মধ্যে মোহাম্মদ লিখেছিল তখনই স্যার ছেলেটির কাছ থেকে খাতাটি টেনে নিয়ে গেল।
তখন ছেলেটি কিছু না বুঝতে পেরে স্যারকে জিজ্ঞেস করল খাতাটি কেন টেনে নিয়ে গেল। তখন স্যার ছেলেটিকে খুবই বকাঝকা করতে শুরু করলো। ছেলেটি তখনো কিছু বুঝতে পারলো না স্যার কেন তাকে বকাঝকা করতেছে। তখন স্যারকে জিজ্ঞেস করল কেন বকাঝকা করতেছে। তখন স্যার বলল এসএসসি পরীক্ষা দিতে চলে এসেছ এখনো নাম ঠিকানা কোথায় লিখবে তা জানো না। তখন ছেলেটি বলল আমি কি ভুল করলাম স্যার আমি তো ঠিকমতই লিখতে ছিলাম। তখন স্যার ছেলেটিকে বকাঝকা করে বলল ঠিকানার জায়গায় কেন মুহাম্মদ লিখেছ। মোহাম্মদ তো তোমার নামে প্রথমে বসবে। তখন ছেলেটি একটু জোরে চিৎকার করে উঠে বলল আমার নামে প্রথমে কোন মোহাম্মদ নেই।
মোহাম্মদ নগর তো আমাদের গ্রামের নাম। তখন স্যার ছেলেটির দিকে 😲 হা হয়ে তাকিয়ে ছিল। তখন পুরো পরীক্ষার হলের মধ্যে সবাই এইসব কথা শুনে খুবই হাসতে শুরু করলো। তখন স্যার বুঝতে পারল যে ছেলেটি ঠিক নামটাই লিখতে ছিল। তখন স্যার খুব লজ্জা পেয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গেল। এইভাবে তাড়াতাড়ি সবাই পরীক্ষাটা শেষ করে নিল। পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে এটা নিয়ে ক্লাসের সামনে সবাই খুবই হাসাহাসি। স্যার খুবই বোকা হয়ে গেল। এইভাবে পরের দিন থেকে এটা নিয়ে সবাই পরীক্ষার হলে খুবই হাসাহাসি করতো। আমার তো এটি মনে পড়লেই খুবই হাসি পেত। এইভাবে এই সুন্দর হাসির গল্পটা আপনাদের সাথে ভাগ করে নিলাম। আশা করি এই গল্পটি আপনাদের সকলের খুবই পছন্দ হবে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | গল্প |
---|---|
ডিভাইস | Samsung galaxy a7 |
ফটোগ্রাফার | @bdwomen |
লোকেশন | ফেনী |
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
আসলেই বেশ হাসির ছিলো।স্যার ও বেশ লজ্জা পেয়েছে। হা হা।ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন আপনি স্যার খুবই লজ্জা পেল
আমরা সবাই তো হাসতে হাসতে একেবারে শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম
আসলেই স্যার লজ্জা পেয়েছে। সেজন্যই কোন কিছু ভালোভাবে না দেখে কিছু বলা উচিত না। যাইহোক খুব ভালো লেগেছে এবং বেশ মজা পেয়েছি আপু। আমার স্কুল জীবনে এমন অনেক কাহিনী রয়েছে। একদিন শেয়ার করবো আপনাদের মাঝে।
ঠিক বলেছেন আপু স্যারকে ছেলেটি অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করল কিন্তু স্যার বুঝার চেষ্টা করল না
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
সত্যি খুবই হাসির একটি গল্প ছিল এটি। স্যার না বুঝেই বোকা হয়ে গেল। এই গল্পটি পড়ার সময় আমার অনেক হাসি পেয়েছিল। আমাদেরই সবার জীবনে এইরকম স্কুল জীবনের কিছু মজার এবং আনন্দের সময় আছে। তোমার এরকম একটি গল্প শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া