আমাদের দেশ বাংলাদেশ। আমাদের দেশে এমন অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে যেগুলো অনাদর এবং অবহেলায় পড়ে থাকে। আজ আমি আপনাদের মাঝে এমন কিছু জায়গার চিত্র আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। কিছুদিন আগে আমি আমার গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম।
আমাদের বাড়ির পাশে ঘুরতে গিয়েই আমি এই চিত্রগুলো আমার ক্যামেরায় ধারণ করেছিলাম। আর আমার ক্যামেরায় ধারণ করা চরিত্রগুলোই আজ আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করছি। জানিনা সবার কেমন লাগবে। তবে আশা করি সবার ভালো লাগবে ইনশাআল্লাহ। চলুন বন্ধুরা তাহলে শুরু করা যাক আজকের পোস্টেটি-
চিত্রঃ সবগুলো চিত্রের সম্মিলিত আয়োজন। |
পোস্ট ক্যাটাগরিঃ সাধারণ পোস্ট। |
পোস্টের নামঃ গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য। |
পোস্টের তারিখঃ ২ রা অগ্রহায়ণ ২৪২৯ খ্রিস্টাব্দ(বাংলা)। |
|
চিত্র নাম্বার - এক। |
এই চিত্রটা আমি তুলেছিলাম আমাদের বাড়ির পাশের একটি আবাদি জমি থেকে। জমিতে তখন ধান লাগানো ছিলো। এবং ধানের চারাগাছগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছিল। মনে হচ্ছিল যেন সবুজের এক অনন্ত সমাহার।
|
চিত্র নাম্বার - দুই। |
এই চিত্রটা ছিল গোপালগঞ্জ এর কাশিয়ানি থানার কোন একটা খালের। আমি গোপালগঞ্জ কোন একটা কাজে যাওয়ার সময় এই চিত্রটি তুলেছিলাম। খালের মধ্যে কচুরিপানাগুলো দেখে আমার খুব ভালো লাগছিলো আর সাথে সাথেই আমি এই চিত্রটা আমার ক্যামেরায় বন্দী করেছিলাম।
|
চিত্র নাম্বার - তিন। |
এই চিত্রটি ছিলো আমাদের বাড়ির পাশের একটি সব্জি বাগানের। এখানে ছিল ডাটা শাক, পুঁই শাক, শষা গাছ, মিষ্টি কুমড়াগাছ এবং পালংশাক। তার পাশেই ছিল পাট ক্ষেত। যেটা দেখে আমি আমার ক্যামেরায় ক্যাপচার না করে থাকতে পারলাম না।
|
চিত্র নাম্বার - চার। |
এই চিত্রটা ও ছিল গোপালগঞ্জ এর কাশিয়ানি থানার একটি পুকুরের। এই পুকুরের দৃশ্যটা ও ছিলো অসাধারণ।
|
চিত্র নাম্বার - পাঁচ। |
এই চিত্রটা ছিলো আমাদের হাইস্কুলের একটি পুকুরের। অনেকদিন পরে স্কুলের সামনে দিয়ে আসতেছিলাম, আর তখন দেখেই চিত্রটা ক্যামেরায় বন্দী করলাম। আমরা যখন স্কুলে ছিলাম তখন পুকুরে অনেক পানি ছিলো। এতো কচুরিপানা বা অন্য গাছ পালা ছিলো না।
বন্ধুরা, আপনাদের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট আমার পোস্টটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। কোন ভুল হয়ে থাকলে কমেন্টস করে জানিয়ে দিবেন। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ। |
ডিভাইসের নাম | ক্যামেরা |
TECNO pouvoir 4 | 13M QUAD |
আমি আজিজুল মিয়াঁ, আমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। আমি জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে ম্যানেজার পদে কর্মরত আছি। লিখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ছোট বেলা থেকেই কম-বেশি লেখা-লেখি করতাম। লেখা-লেখির পাশা-পাশি আমি ঘুরতে এবং খেলা-ধুলা করতে অনেক পছন্দ করি। সময় পেলেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হই। অতিরিক্ত কথা বলা এবং মিথ্যা কথা বলা আমি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করি।
গ্রাম বাংলা প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য দেখে সত্যিই আমি খুব মুগ্ধ হয়ে গেলাম । আসলে প্রাকৃতিক । সৌন্দর্য হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক দুর্দান্ত হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলো মাঝে গ্রাম বাংলা অসাধারণ সৌন্দর্য আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রাম বাংলার প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন যেটি বেশ ভাল ছিল । ২ নম্বর ও ৪ নম্বর ফটোগ্রাফি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে । বেশ ভালো ছিল আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
গ্রামীণ পরিবেশে অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লেগেছে। গ্রামের দৃশ্য গুলো খুবই ভালো লাগে।
গ্রামের সবুজ প্রকৃতি দেখতে আমার বরাবরই ভালো লাগে। আসলে সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতেও ভীষণ ভালো লাগে। আপনার ছবি সবুজ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি গুলো বেশ অসাধারণ লেগেছে। তবে বেশিরভাগ ভালো লেগেছে অনেক সুন্দর একটি সবজি বাগান। বর্তমানে বাজারের প্রত্যেকটা জিনিসের যে দাম এমনকি ফরমালিন। নিজেরা এরকম সবজি বাগান করলে কিন্তু বেশ ভালোই হয়। একদিকে টাকা বাঁচানো, আরেকদিকে ফরমালিনযুক্ত জিনিস পাওয়া যায়।
গ্রামের প্রকৃতিরা অনেক সুন্দর দৃশ্যগুলো আপনি আপনার ফটোগ্রাফি তে তুলে ধরেছেন। এভাবে আগামীতে আরো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনার উপহার দিতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে । এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝখানে শেয়ার করার জন্য।