ড্রিম ভ্যালি পার্কে (পর্ব-১) ১০% লাজুক খ্যাকের জন্যsteemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ashikur50 বাংলাদেশের নাগরিক।

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।


GridArt_20221011_222638576.jpg


২৩আশ্বিন , ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
১৩অক্টোবর , ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
১৬রবিউল আওয়াল , ১৪৪৩ হিজরী
বৃহস্পতিবার ।


তাহলে চলুন শুরু করা যাক


প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ঘুরতে যাওয়ার গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আমার এই গল্পটি আপনাদের সবার কাছে খুবই ভালো লাগবে। যেকোনো জায়গায় ঘুরতে যেতে কে না পছন্দ করে আমিও তার ব্যতিক করুম না। আগেও আমি আপনাদের মাঝে আমার বিভিন্ন জায়গায় বাইক নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার গল্প শেয়ার করেছি। এবার আর আমি বাইক নিয়ে ঘুরতে যাইনি গিয়েছিলাম বাসে করে। তাহলে চলুন মূল কথায় ফিরে যাই। আমার বড় মামা ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। মামার অফিস থেকে প্রতিবছরে অফিসের সব কলিকরা মিলে ঘুরতে যান। সবার সঙ্গে সবার ফ্যামিলি ও গিয়ে থাকেন।এবারও ঘুরতে যাওয়ার ডেট ফিক্সড হয়। মামা গেস্ট হিসেবে আমাদের দুজনকে নাম দেন ঘুরতে যাওয়ার লিস্টে। দুজন বলতে আমি এবং আমার ওয়াইফ। সব থেকে মজার বিষয় হলো মামা আমাদের আগে থেকে কিছু জানিয়ে ছিল না। সে নিজে থেকেই আমাদের নাম লিস্টে দিয়েছে। হঠাৎ করে রাতে মামার ফোন তাও আনুমানিক ১১ টার পরে। এত রাতে মামার ফোন পেয়ে একটু অবাকই হচ্ছিলাম। আসলে মামা কখনো আগে এত রাতে কখনো আমাকে ফোন করেনি এই জন্য একটু অবাক হওয়া টা স্বাভাবিক। তারপরে আমি মামার ফোনটি রিসিভ করলাম। তারপরে পুরো বিষয়টি মামা আমাদেরকে খুলে বলল এবং আমাদের দুজনের গেস্ট হিসেবে নাম দিয়েছে সেটাও বলল। এই কথাটি শোনার পর আমি তো মহা খুশি। তারপরে দুইজনের কিছু কেনাকাটা সেরে ফেললাম কারণ সময় তো বেশি হাতে নেই। তারপর আস্তে আস্তে সময় চলে আসলো। যেদিন ঘুরতে যাব তার আগের দিন সকালে মামাকে ফোন দিলাম বাস কয়টার দিকে রওনা হবে। মামা আমাদের ফোনে বলল সকাল সাতটার মধ্যে বাস ছেড়ে যাবে। ও হা আপনাদের তো আসল কথাই বলা হয়নি। আমাদের ঘুরতে যাওয়ার স্পট ছিল ঝিনাইদহ জেলার ড্রিম ভ্যালি পার্কে। কুষ্টিয়া জেলা থেকে খুবই কাছে কিন্তু জায়গাটি সুন্দর। সবাই সবার ফ্যামিলির সাথে ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে বেশি দূরে কোথাও যাওয়া যায় না এইজন্য এত কাছে যা হয়েছিল।যাই হোক দূর হোক বা কাছে হোক ঘুরতে যাচ্ছি। আমাদের যাওয়ার কথা ছিল ৫ তারিখে কিন্তু আমি একদিন আগেই কুষ্টিয়া গিয়ে থাকি কারণ এত সকালে বাসা থেকে যাওয়া সম্ভব না। বাসা থেকে আমি সন্ধ্যার দিকে রওনা হই এবং রাতে মামার বাসায় থাকি। তারপরে সকাল হলো ভোর পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠি। উঠে দেখি মামি ঝটপট গরম গরম খিচুড়ি এবং ইলিশ মাছ ভাজি করেছে। এই খাবারটি দেখে মনটা একদম জুড়িয়ে গেল। তারপরে আমরা ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে নিলাম। তারপরে সবাই মিলে চলে গেলাম মামার অফিসের সামনে। অফিসের সামনে গিয়ে দেখি আমাদের জন্য চারটি বাস দাঁড়িয়ে আছে। তারপরে মামা আমাদের যার যার সিটে বসিয়ে দিল।আমাদের বাস রওনা দেয়ার কথা ছিল সাতটার দিকে কিন্তু সেই বাস ছাড়লো আটটার দিকে এক ঘন্টা লেট।


IMG_2588-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing

IMG_2590-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing

IMG_2596-01.jpeg


তারপরে আল্লাহর নাম নিয়ে রওনা হলো আমাদের বাস। বেশ মজাই হচ্ছিল বাসের মধ্যে সবাই নাচানাচি করছিল এবং গান বাজছিল। আবার মামার কিছু কলিক কাছে তারা মাইক্রোফোন নিয়ে মুখেও গান গাচ্ছিল। বেশ মজা করতে করতে আমরা একসময় পৌঁছে গেলাম ঝিনাইদহের ড্রিম ভ্যালি পার্কে।


IMG_2604-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing

IMG_2599-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing

IMG_2598-01.jpeg


পার্কের সামনে তো মহা বড় একটি গেট। গেটের সামনে বড় বড় অক্ষরে ডিম ভ্যালি পার্ক লেখা আছে ইংরেজিতে। এই পিকনিকের পুরো দায়িত্বটা ছিল মামার এজন্য মামা আমাদের বেশি একটা সময় দিতে পারছিল না। কিছুক্ষণ পর মামা কাউন্টারে গিয়ে আমাদের সবার জন্য টিকিট নিয়ে আসলো এবং সবার হাতে হাতে টিকিট ধরিয়ে দিল।


IMG_2603-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/umbilical.boulevard.downswing


এই পর্বটি আজ এখানেই শেষ করছি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার বাকি গল্পগুলো নেক্সট পোস্টে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ। এক পোস্টে তো পুরো গল্প শেয়ার করা সম্ভব না। আশা করি এই গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। তাহলে সবাই ভালো থাকবেন এখানেই বিদায় নিচ্ছি।


আমার পোস্টে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

ধন্যবাদ সবাই কে আমার পোস্ট টা পড়ার জন্য।



20201128165947_IMG_0479.jpg

আমি মোঃ আশিকুর রহমান সোহাগ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ashikur50। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি।

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 2 years ago 

ভাই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো আমার এক প্রকারের শখ বলতে পারেন। আর তাই আমি মাঝে মাঝেই বাইকে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াই।তাই বাসে করে ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা খুবই কম। তাই আপনাদের বাসে করে ড্রিম ভ্যালি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার আনন্দটুকু জেনে আমার কাছেও ভীষণ রকম ভালো লেগেছে। পরিবারের সাথে কোথাও গেলে ভালো লাগাটা অনেক বেশি থাকে। আর আপনার মামাতো দেখছি আপনাকে ভীষণ রকম আদর করে। যার কারণে তার কলিগদের সাথে আপনাকেও ড্রিম ভ্যালি পার্কে ঘুরতে নিয়ে গেছে। ভাই পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

আমিও বেশিরভাগ বাইক নিয়েই ঘুরতে যাই।

 2 years ago 

ঘুরতে যেতে আমারও পছন্দ ।
কুষ্টিয় আমার বাসা । কুষ্টিয়ার পরবর্তী জেলা হচ্ছে ঝিনাইদা ওখানে অনেক গুলি পার্ক আছে তামান্না পার্ক জোহান পার্ক সময় পেলে ঘুরে আসবেন ভালো লাগবে।আপনার জার্নি অনেক ভালো হয়েছে ।পরিবার ও সকলের সাথে ভালো সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন।

 2 years ago 

আপনার বাসা কুষ্টিয়াতে বাহ শুনে তো বেশ ভালো লাগলো।

 2 years ago 

একা একা দূরের পথে বাইক নিয়ে ঘুরতে না যাওয়াই ভালো। বাসে করে সবার সাথে যাওয়াই ভালো। আপনার মামাতো ভালই করেছে আপনাদের নাম দিয়ে যার কারণে আপনারা ঘুরতে যাওয়ার একটা সুযোগ পেলেন। আপনার মামা না জানিয়ে ভালো করেছে আপনাদেরকে অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ দিয়েছে। আমার তো শুনেই ভালো লাগছে। ঝিনাইদহের ড্রিম ভ্যালি পার্কটা মনে হয় অনেক সুন্দর আপনার ছবিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সকাল সকাল গরম গুলো ইলিশ মাছ ও খিচুড়ি ভুনা খেয়ে আপনারা বেরিয়ে পড়েছেন। সকাল সকাল এরকম খাবার হলে তো কোন কথাই নেই, যদিও সকালবেলা আমি খিচুড়ি খেতে পারি না তারপরও আপনাদের কথা শুনে ভালো লাগলো। যাক মামার জন্য অনেক ভালো এনজয় করলেন দুজন মিলে।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন আপনি একা একা দূরে কোথাও বাইক নিয়ে ঘুরতে না যাওয়াটাই ভালো।

 2 years ago 

দেখেই বোঝা যাচ্ছে গ্রিন ভ্যালি পার্কে অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনার এই পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম আপনার মামার সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা অনেক বেশি মধুর। মামা ভাগ্নে সম্পর্কটা এমন হবে এটাই স্বাভাবিক। মামা তাদের কলিগদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তে আপনার এবং আপনার ওয়াইফ দুজনের নাম দিয়েছে এবং দুজনেই একসঙ্গে ঘুরতে গিয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দর এই মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

 2 years ago 

খুবই সুন্দর একটি জায়গা আমার আবার যাওয়ার ইচ্ছে আছে কিন্তু সেটা বন্ধু এবং ছোট ভাইদের সঙ্গে।

 2 years ago 

কোথাও ঘুরতে যেতে আমারও খুব ভাল লাগে। আপনার মামার কলিগদের সাথে ঘুরতে গিয়ে ভালই হয়েছে একটি ঘুরার সুযোগ তো পেলেন। আপনি আপনার মামার কলিগদের সাথে ঝিনাইদহের ড্রিম ভ্যালি পার্কে ঘুরতে গিয়েছেন। আপনার ছবি দেখে বুঝা যাচ্ছে ভিতরটি খুব সুন্দর। আপনার মামির রান্না করা খিচুড়ি এবং ইলিশ মাছ ভাজা খেতে নিশ্চয়ই ভাল লেগেছে। চারটি বাস ভ্রমনে গিয়েছে মানে অনেক লোক গিয়েছে। অনেক মানুষ এভাবে বাসে করে ভ্রমণে গেলে একটু গান বাজনা হয় এবং এটা মজাও লাগে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন আপনি মামা যখন বলল তখন তুমি মহা খুশি। আর মামীর হাতের খিচুড়ি এবং ইলিশ মাছ ভাজির তো তুলনা হয় না।

 2 years ago 

ঘুরতে যেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুবই কম রয়েছে। এরকম সবাই একসাথে কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক মজা হয় নাচ গান করা যায়। বিশেষ করে বাসে করে যদি যাওয়া হয় তাহলে সবাই একটু বেশি মজা করে। আপনার ড্রিম বেরিকে ঘুরাঘুরির দ্বিতীয় পর্ব দেখার অপেক্ষায় থাকবো আমি।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন কম বেশি সবাই ঘুরতে অনেক পছন্দ করে।

 2 years ago 

এই পার্ক নিয়ে এর আগেও কয়েকটি পোস্ট দেখেছি তবে ড্রিম ভ্যালি পার্কে আগে কখনো যাওয়া হয়নি। প্রথম পর্বে আপনি শুধু যাত্রাপথ এবং পার্কের বাইরের সৌন্দর্যটা তুলে ধরেছেন পরবর্তী পোস্টে হয়তো ভেতরে সৌন্দর্য গুলো দেখতে পারবো। পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া।

 2 years ago 

শুধু এই পার্ক নিয়ে পোস্ট দেখলে হবে না ঘুরেও আসতে হবে না হলে তো বলে বুঝানো সম্ভব না কেমন জায়গা।

 2 years ago 

সত্যিই তো ঘুরতে যেতে কে পছন্দ করে না। আপনার মামা তো অনেক ভালো কাজ করেছে আপনাদের নাম দিয়ে। আপনি আগের দিন মামার বাসায় গিয়েছেন।মামার বাসায় গিয়ে সকাল সকাল মামীর হাতের গরম গরম খিঁচুড়ি খেতে দারুণ লাগে। ড্রিম ভ্যালি পার্কে নামটা কিন্তু অনেক চমৎকার। পরিবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

 2 years ago 

এইজন্য মামাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি সুযোগ তৈরি করে দেয়ার জন্য।

 2 years ago 

বলতেই হচেছ আপনার মামা মুনষটা বেশ। এমন একটা মামা থাকলে আর কি চাই। আমিও ঘুরতে অনেক পছন্দ করি কিন্তু এই স্থানে এখনো যাওয়া হয়নি। আপনাার ছবিগুলো দেখেই রওয়ানা হয়ে যাব । হাহাহা।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন মামার তুলনাই হয় না এবং অনেক ফ্রি মাইন্ডের একজন মানুষ।

Coin Marketplace

STEEM 0.26
TRX 0.11
JST 0.033
BTC 62796.11
ETH 3045.55
USDT 1.00
SBD 3.85