কুমারখালীর বিখ্যাত ঘটি গরম চা খেতে যাওয়া ☕ ১০% লাজুক খ্যাকের জন্য

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@ashikur50 বাংলাদেশের নাগরিক।

আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] এর সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনজানিয়ে আমার আজকের পোস্ট শুরু করছি।


GridArt_20220731_002655944.jpg


১৫শ্রাবণ , ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
৩০জুলাই, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
৩০জিলহজ, ১৪৪৩ হিজরী
শনিবার।
বর্ষাকাল ।


তাহলে চলুন শুরু করা যাক


আপনারা সবাই জানেন আমি ঘুরতে অনেক পছন্দ করি যখনই সময় পাই তখনই আমি বেরিয়ে পড়ি অজানার উদ্দেশ্যে। কিছুদিন যাবৎ শরীর অসুস্থ থাকার কারণে এবং বৃষ্টির জন্য কোথাও যেতে পারছিলাম না শুধু বাসা থেকে বাজার এবং বাজার থেকে বাসা। অনেকদিন পর আমার কলিজার ভাই সজীব ছুটিতে বাড়িতে এসেছে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে জব করে। ও যখনই বাড়িতে আসে তখনই আমি আরো অনেক ঘোরাঘুরি করি কিন্তু চোখ যেদিকে যায় সেদিকেই চলে যাই। বেশি মজা ব্যাপার হলো ও বাড়ি আসার দশ দিন আগে থেকেই আমাদের ঘোরাঘুরি করার প্লান প্রোগ্রাম শুরু করে দেই। প্রথম দিন কোথায় যাব দ্বিতীয় দিন কোথায় যাব ইত্যাদি ইত্যাদি। ছোটবেলা থেকেই আমরা দুজন একসাথে বড় হয়েছি। সজিব ভাই আমার বয়সে দুই বছরের বড় তারপরও কখনো মনে হয়নি ও আমার বড় ভাই সব সময় বন্ধুর মতো মিশেছি এবং সব ধরনের কথা সব সময় শেয়ার করেছি। দুঃখের বিষয়গুলো এবার ও বাড়িতে আসার পর বৃষ্টির জন্য তেমন একটা কোথাও ঘুরতে পারিনি শুধু এলাকাভিত্তিক কিছু স্থানে ঘুরেছি। আমরা যে সকল স্থানে ঘুরেছি ইতিমধ্যে অনেকগুলি স্থান আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি সেজন্য তেমন একটা আগ্রহ ছিল না আবার নতুন করে শেয়ার করার। সজীব ভাই এসেছিল ১০ দিনের ছুটিতে তার মধ্যে ওর আম্মু অসুস্থ থাকার কারণে তিনদিন অতিবাহিত করতে হয়েছে রাজশাহী মেডিকেলে। যাই হোক অনেক কথা বলেছি এবার কাজের কথায় আসি। দিনটি ছিল শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে আমি আর সজীব ভাই বসে আছি বাড়ির সামনের দিকের বেলকনিতে। ওয়েদারটা বেশ ভালো ছিল হঠাৎ সজীব ভাই আমাকে বলল আজকে তো ওদের ভালো আছে চল কোথাও যাই আমিও বললাম চল যাই। তারপরে সজীব ভাই আমাদের প্রাণপ্রিয় রায়হান ভাইকে কল দিল আসার জন্য কিন্তু রায়হান ভাই বলল আমি কুমারখালী পর্যন্ত যেতে পারবো। তারপরে আমরা প্ল্যান করলাম আমরা কুমারখালী ঘটি গরম চা খেতে যাব। এটা কুমারখালী শহরের অতি বিখ্যাত একটি চা খেতেও বেশ মজা। এই কথা বলতে না বলতেই আমরা যার যার বাসায় চলে গেলাম এবং ঝটপট রেডি হয়ে নিলাম। তারপরে রায়হান ভাইয়ের সাথে কথা বলে আমরা রওনা দিলাম কুমারখালীর উদ্দেশ্যে। কিছু দূর যেতে না যেতেই আবার শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি আমরা প্রায় ভিজে গিয়েছিলাম কোন মত একটি ছাওনির নিচে দাঁড়িয়ে পড়লাম। টানা ১ ঘন্টা বৃষ্টি হওয়ার পরে আবার আমরা রওনা হলাম।


IMG_5299-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/yellowing.pronouns.cellulose

IMG_5301-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/yellowing.pronouns.cellulose

IMG_5303-01.jpeg


তারপরে আমরা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে রায়হান ভাইকে ফোন করি। ১০ মিনিটের ভিতর রায়হান ভাই আমাদের মাঝে হাজির হয়ে গেলেন। অনেকদিন পর রায়হান ভাইয়ের সাথে দেখা এজন্য কোলাকুলি করতে আর দেরি হলো না। যতই হোক খুব কাছের এবং পছন্দের একটি মানুষ সেই আমাদের। শুনে খুব কষ্ট হচ্ছিল ভাই নাকি আর দুইদিন আমাদের কুষ্টিয়া জেলাতে আছে। আসলে রায়হান ভাইয়ের বাসায় বগুড়াতে সে আমাদের কুষ্টিয়াতে গ্রামীণ কল্যাণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রেতে চাকরি করেন সে পেশায় একজন ডক্টর। রায়হান ভাইয়ের সাথে অনেক বগুড়াতে গিয়েছি আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করেছি। দীর্ঘ দুটি বছর রায়হান ভাই আমাদের সাথে পার করেছে অনেক রাত একসাথে গল্প করে পাঠিয়েছি। ভাইকে অনেক মিস করবো সব সময়। যাই হোক তারপরে আমরা ভাইয়ের সঙ্গে রওনা দিলাম বাবু ভাইয়ের ঘটি গরম চায়ের দোকানের উদ্দেশ্যে। ও মা কিছু নাই যেতে আবার শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি। কি করব কপালটাই খারাপ। একটি দোকানের সামনে কোনরকম বাইকটি রেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম। খুব রাগ হচ্ছিল আমরা যদি ঘুরতে বের হই ওই দিকে কি বৃষ্টি হতে হয়। যাই হোক একটানা দেড় ঘন্টা বৃষ্টি হলো তারপরে আমরা হলাম। অবশেষে আমরা আমাদের কাঙ্খিত স্থানে পৌঁছে যাই। গিয়েই চায়ের দোকানদার বাবু মামাকে বললাম আমাদের জন্য ঘটি গরম চা দিতে। কিছু সময় আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা বানানো উপভোগ করছিলাম।


IMG_5309-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/yellowing.pronouns.cellulose

IMG_5307-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/yellowing.pronouns.cellulose

IMG_5306-01.jpeg


বেশ ভালই লাগছিল তারপরে আমাদের হাতে চলে আসলো আমাদের কাঙ্ক্ষিত মাটির তৈরি চায়ের কাপ। চা খাওয়ার অনুভূতি এবং মাটির কাব হওয়াতে অন্য ধরনের একটি অনুভূতি কাজ করে। চা খাওয়া শেষ করে আমরা অনেক সময় গল্প করলাম হাসাহাসি আড্ডা তো আছেই। কখন যে রাত আটটা বেজে গেছে ভাবতেই পারিনি। রায়হান ভাইয়ের অনেক দূরে যেতে হবে এই জন্য সে দেরি করলো না আমরাও তার আর বাধা দিলাম না। তারপরে চায়ের দোকানদার মামার কাছে চায়ের টাকা পেমেন্ট করে চলে আসে।


IMG_5312-01.jpeg


Device : iPhone x
What's 3 Word Location: https://w3w.co/yellowing.pronouns.cellulose


বাসস্ট্যান্ডে এসে রায়হান ভাইকে বিদায় জানিয়ে রওনা দেই বাড়ির উদ্দেশ্যে। বেশ ভালো একটি সময় পার করেছি সারা জীবন মনে থাকবে বিশেষ করে রায়হান ভাইয়ের বিদায় জানানোর সময়টা। খুব খারাপ লাগছিল ভাইকে বিদায় জানাতে আসলে খুব কাছের একজন মানুষ ছিল। ভালো খারাপ সবসময়ই ভাইকে আমার পাশে পেয়েছে সব সময় আমার ভালো উপদেশ দিয়েছে কখনো কোন খারাপ কিছু করতে দেয়নি। দোয়া করি ভাই আমার যেখানেই থাকুক ভালো থাকুক সুস্থ থাকুক। এটাই ছিল আমার চা খেতে যাওয়ার আজকের গল্পটা আশা করি আপনাদের সবার কাছে ভালো লেগেছে। আজ এখানেই শেষ করছি দেখা হবে আবার অন্য কোন পোস্টে অন্য কোন গল্প নিয়ে সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই রইল।


আমার পোস্টে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

ধন্যবাদ সবাই কে আমার পোস্ট টা পড়ার জন্য।



20201128165947_IMG_0479.jpg

আমি মোঃ আশিকুর রহমান সোহাগ। আমার স্টীমিট একাউন্ট@ashikur50। আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি স্টীমিটকে অনেক ভালোবাসি। ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ব্লগিং,ফটোগ্রাফি,মিউজিক,রেসিপি ডাই আমার অনেক পছন্দের। আমি ঘুরতে অনেক ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। আমি সবার সাথে মিশতে ভালোবাসি।

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 2 years ago 

ঘটি গরম চা অনেক বিখ্যাত এটা শুনছিলাম। তবে কখনো খাওয়া হয় নাই। আমাদের এই দিকেও নকি পাওয়া যায়। আমার খাওয়ার অনেক ইচ্ছে আছে।

 2 years ago 

ঠিকই শুনেছেন আপনি ঘটি গরম চা খুবই বিখ্যাত। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

আসলেই বন্ধু কিংবা ভাই এর সাথে ঘোরাঘুরির মজাই আলাদা।কুমারখালি এর ঘটি চা দেখে বেশ লোভ হচ্ছে। আমি ও খেয়েছি রাজশাহীর ঘটি চা,যদিও আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি।যাই হোক ভালো ছিলো।ধন্যবাদ

 2 years ago 

জি বন্ধু বা ভাইদের সাথে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ব্যক্তিগতভাবে আমিও চা প্রেমিক, অনেক বেশি চা খাই। তবে এই ধরনের চা গুলো খাওয়ার খুব ইচ্ছে যদিও আমাদের এলাকায় জুড়ে এমন কোন চায়ের দোকান নেই। যদি যেতে হয় ঢাকায় অথবা নারায়ণগঞ্জ অনেক দূরে যেতে হবে, যেটা আমার দ্বারা সম্ভব না।ধন্যবাদ আপনাকে অনুভূতি ও পটোচিত্র তুলে ধরার জন্য।

 2 years ago 

আপনার মত আমিও অনেক চা প্রেমিক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

তাহলে তো ভাই মিলে গেল, ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য

 2 years ago 

হুম ভাই একদম মিলে গেল। ভালো থাকবেন ভাই।

 2 years ago 

জি ভাই আপনি ও অনেক অনেক ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।

 2 years ago 

আপনি আপনার ভাইয়ের সাথে ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। আরে ঘটি গরম চা অনেক বিখ্যাত এটা শুনেছিলাম তবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে দেখেছি আর আপনি অনুভূতিটা প্রকাশ করেছেন ভালো লাগছে ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

হা ভাই আমি আমার ভাই ব্রাদারের সঙ্গে খুবই সুন্দর ময় সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

ঘটি গরম চা কুমারখালীর বিখ্যাত একটি খাবার এবার ঈদে বাড়ি গিয়েও খেয়েছি কয়েকবার কিন্তু তোমাদের খাওয়া দেখে আমার খুব লোভ হচ্ছে মনে হচ্ছে খুব করে মিস করে গেলাম খাবারটা

 2 years ago 

আবার আপনি বাড়িতে আসেন একসাথে যাব আমরা সবাই। ধন্যবাদ আপনাকে

 2 years ago 

আরে ভাই আমাদের কুমারখালীতে এসে ঘটি চা খেয়ে গেলেন। যাইহোক আপনার মূখে এমন কথাগুলো শুনে ভালো লাগল। আমার বাড়ি থেকে বেশী দূরে না কিন্তু আমার যাওয়ায় হয় না। মাঝে মাঝে এইরকম আউটওয়ার্ক দরকার আছে। যাইহোক ভালো পোস্ট ছিল। বেশ দারুণ ওয়েদার টাও।।

 2 years ago 

কি বলেন আপনার বাড়ির পাশ থেকে ঘুরে আসলাম আর আপনার সাথে দেখা হলো না। নেক্সট টাইম ইনশাল্লাহ দেখা হবে।

 2 years ago 

পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে কুমারখালীতে ঘটি গরম চা খেতে যাওয়ার সময় অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ।আমি কয়েকবার এখান থেকে চা খেয়েছি খুবই ভালো লাগে। সুন্দর এই অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

ঠিকই ভেবেছেন আপনি খুবই সুন্দর সময় পার করেছি আমরা সবাই। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

কুমারখালী অসংখ্যবার গিয়েছি কিন্তু এই ঘটি গরম যা কখনো খাওয়া হয়নি। আসলে জানা না থাকলে যা হয়। আপনার কাছ থেকে শুনে রাখলাম এরপর গেলে অবশ্যই একবার ট্রাই করবো। ধন্যবাদ

 2 years ago 

নেক্সট টাইম আসলে অবশ্যই খাবেন খুবই বিখ্যাত ঘটি গরম চা। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

এই চা আমিও খেয়েছি আর খেতে বেশ মজা লাগে। বৃষ্টির দিনে এই চা খাওয়ায় আলাদা একটা ফিলিংস পেয়েছেন যেটা সব সময় পাওয়া যায় না। তবে সত্যি বলতে আপনার চা খাওয়ার পোস্ট দেখে আমার খুব লোভ হচ্ছে।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন এই চা খেতে বেশ মজা লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 59185.02
ETH 2522.04
USDT 1.00
SBD 2.47