"বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভোগান্তি"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৭ই সেপ্টেম্বর, বুধবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি গিয়েছিলাম শাহবাগের "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে"। এই বিশ্ববিদ্যালয় কে অনেকেই পিজি হসপিটাল বলে জানে। আমাদের এলাকার সেই ক্যান্সার রোগের ক্যান্সার জয়ের গল্প আপনারা অনেকেই শুনেছেন অবশ্য আমার পোস্ট থেকে। এই ক্যান্সার রোগীর পায়ের আলাদা একটি সমস্যার কারণে একটি মেডিকেল টেস্ট করানোর প্রয়োজন ছিলো।
আর যে ডাক্তার মহাশয় এই টেস্টটা করানোর কথা বলেছিলো উনি পিজি হাসপাতাল থেকে টেস্টটা করানোর জন্য সাজেস্ট করেছিলো। আজকে সারাদিন খুবই ব্যস্ততার ভোগান্তির ভেতর দিয়ে কেটেছে। ঢাকা শহরের যে, কোন সরকারি হাসপাতালগুলোতেই এরকমটা ভোগান্তি হয় আমি যত দূর জানি। কারণটা এর আগে আমি একবার আমাদের এলাকার ক্যান্সার রোগীর একটি টেস্ট করানোর জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিলো।
আজকে সকালে ঘুম থেকে উঠেই হাতমুখ ধুয়ে রেডি হয়ে বের হয়ে পড়ি শাহবাগের "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য"। আমাদের মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে যাইতে মোটামুটি ৪০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার মতো সময় লাগে। আসলে দূরত্ব কম হলেও অতিরিক্ত জ্যামের কারণে সময়টা একটু বেশি লাগে। শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নাম্বার গেটের ভেতরের বিল্ডিংয়ে গিয়ে প্রথমেই তথ্য কেন্দ্রের সহায়তা নিলাম।
এই তথ্য কেন্দ্র থেকে আমাকে বলা হলো দুই নাম্বার গেটের ১৩ নাম্বার কাউন্টারে যেতে। আমি আবার ঠিক দুই নাম্বার গেটের ভেতরের বিল্ডিংয়ের ১৩ নাম্বার কাউন্টারে গিয়ে প্রেসক্রিপশন টি দেখালাম। এখন ১৩ নাম্বার কাউন্টার থেকে প্রেসক্রিপশন টি দেখে বললো যে এটা সম্পর্কে তারা কিছু জানে না। আমি আবার সেখান থেকে খুবই বিরক্তির সাথে দুই নাম্বার গেটের বিল্ডিং এর তথ্য কেন্দ্রের সহায়তা নিলাম।
এখানকার সহায়তা কেন্দ্র থেকে বললো যে এক নাম্বার গেটের ভেতরের বিল্ডিংয়ের ৬ তালার ৬১৩ নম্বর রুমে কথা বলতে। তারপর আবার চলে গেলাম এক নাম্বার গেটের ভেতরের বিল্ডিংয়ে ছয় তালা ৬১৩ নাম্বার রুমের সামনে। ৬১৩ নাম্বার রুমে প্রেসক্রিপশনটি দেখানোর পর তারা বললো যে পাঁচ নাম্বার গেটের ডি ব্লকের আট তালাতে যান। তারপর আবার সেখান থেকে আমি পাঁচ নাম্বার গেটের ডি ব্লকের আট তালাতে গিয়ে তথ্য কেন্দ্রে কথা বললাম।
তারপর এই তথ্য কেন্দ্র থেকে বললো যে এই বিল্ডিংয়ের ৯ তালার ৯০৫ নম্বর রুমে কথা বলতে। তারপর আবার নয় তালায় ৯০৫ নম্বর রুমের সামনে গেলাম। এখানে এসে দেখি যে ৯০৫ নাম্বার রুমে কয়েকজন রয়েছে তারা খুবই ব্যস্ত এবং আমি যাওয়ার সাথে সাথে তারা রুম থেকে বের হয়ে রুমটা বন্ধ করে কোথায় যেনো চলে গেলো। তারপর আমি নয়তোলার রিসিপশনে গিয়ে শুনলাম যে ৯০৫ নাম্বার রুম আবার কখন খুলবে?
তারা তখন বলল যে জরুরি কাজে হয়তো বাইরে গেছে একটু পরেই চলে আসবে। তারপর আমি মোটামুটি দেড় ঘন্টা মতো বসে থাকার পর এ রুমের স্যাররা আসলো। তারপর আমি প্রেসক্রিপশনটি দেখানোর পর বললো যে, তারপর সেখান থেকে বললো যে হ্যাঁ এই টেস্টটা এখানে করানো হয়। এতক্ষণে মনের ভিতর একটু শান্তি লাগছিলো যে এবার ঠিক জায়গাতে আসতে পেরেছি।
তারপর শুনলাম যে এই টেস্ট কবে করানো যাবে! তারা বলল যে, এই বছরের নভেম্বর মাসের ১৪ তারিখে এই টেস্ট করানো হবে। আসলে এই টেস্টগুলো করাতে এতো লেট হওয়ার কারণ হলো ঢাকার কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতাল ব্যতীত কোথাও এই টেস্ট করানো হয় না। তারপর আমি উনাদেরকে চেষ্টা করানোর জন্য সিরিয়াল নিতে বললে তারা সিরিয়াল নিয়ে নিলো।
আর বললো যে কাউন্টারে গিয়ে ১৪০০ টাকা জমা দিয়ে রিসিট রিসিপশনে দিয়ে যেতে। আবার কাছে নগদ ১৪০০ টাকা না থাকায় আমি আবার নিচে গিয়ে বিকাশ থেকে টাকা তুলে আনার পরে দেখি সব কাউন্টার বন্ধ হয়ে গেছে। তারপর আমি রিসিপশনে গিয়ে কাছে শুনলাম যে, টেস্টের সিরিয়ালের টাকাটা আবার কবে জমা দেয়া যাবে! তারা আমাকে বলল যে, সামনে রবিবারে আসতে। কি আর করার সিরিয়াল দিলাম ঠিক হয় কিন্তু টাকাটা জমা দিতে পারলাম না। আবার সামনে রবিবারে এসে কাউন্টারে টাকা জমা দিয়ে রিসিট দিয়ে গেলেই হবে।
তারপর সেখান থেকে আবার মোহাম্মদপুরের বাসে করে ক্লান্ত শরীরে আমার মেসে ফিরে আসলাম। আজকে আমার মেসে আসতে আসতে প্রায় চারটা বেজে গিয়েছিলো। আবার রবিবারে টাকা জমা দেয়ার জন্য যাওয়া লাগবে তারপরেও এই সিরিয়ালটা দিতে পেরে বেশ ভালো লাগছিলো।
পোস্টের বিবরন
পোস্ট ধরন | রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ২৭ ই সেপ্টেম্বর |
লোকেশন | ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
হসপিটালের ছোটাছুটি মানেই ভোগান্তি। আর এই ভোগান্তি মানুষের অনেক ধারণা দিয়ে থাকে। আমিও হসপিটালে আমার পেশেন্ট নিয়ে ছোটাছুটি করছি।আমি বেশ কিছুদিন যাবত এই বিষয়ে অভিজ্ঞ রয়েছি। আপনার বাস্তব জীবনে হসপিটালে ভোগান্তির শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে বেশ কিছু জানতে পারলাম।
আসলে বর্তমানে সরকারি হাসপাতালে পেশেন্ট নিয়ে গেলেই ভোগান্তি হবেই। কারণটা হলো প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে প্রচুর পরিমাণে রোগী হয়। আপনিও এ বিষয়ে অভিজ্ঞ আছেন জেনে ভালো লাগলো ভাই। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।