"কাকার বাড়িতে শ্রী কোজাগরী মা লক্ষ্মী পুজোর কিছু মুহূর্ত"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ৩১ অক্টোবর, সোমবার,২০২২ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার , এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমার পোস্ট হলো, আমার কাকার বাড়িতে শ্রী মা লক্ষ্মী পূজোর কিছু মুহূর্ত। এর আগে আমি আমাদের বাড়ির কোজাগরী লক্ষ্মী মাতার পূজার কিছু মুহূর্তের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। আমাদের গ্রামে মা লক্ষ্মীর পূজা প্রতি ঘরে ঘরে হয় বললেই চলে। কিছু কিছু বাড়িতে মাটির মূর্তিতে পূজা করে আবার কিছু কিছু বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করা মূর্তিতে পূজা করে এবং আর কিছু বাড়িতে মালাকারের থেকে নেওয়া কাগজের উপর অঙ্কিত মূর্তি পূজা করে। তবে আমাদের দিকে কাগজের উপর অঙ্কিত পূজা করি লক্ষ্মী মাতার মূর্তি বেশি পরিমাণে পূজা করা হয়। আমার কাকার বাড়িতেও শ্রী মা লক্ষ্মীর কাগজের উপর অঙ্কিত মূর্তি পূজা করা হয়েছিল।
কাগজের উপর অঙ্কিত শ্রী শ্রী মাতা লক্ষ্মীর মূর্তির পূজা করার প্রথা আমাদের এই দিকে অনেকদিন ধরেই হয়ে আসছে। ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি মালাকার প্রতিবছর শ্রী শ্রী কোজাগরি লক্ষী মাতা পূজার দিন সকালে এসে কাগজে অঙ্কিত মাতার মূর্তির ছবি দিয়ে যাই বাড়িতে এসে। শ্রীশ্রী কোজাগরি মাতালক্ষীর পূজা সম্পূর্ণ হওয়ার পরে আমি এই ছবিটি তুলেছিলাম। আমাদের বাড়ি এবং আমার কাকার বাড়ি একদমই পাশাপাশি। বলতে গেলে একটি বাড়ির ভেতর আর একটি বাড়ি।
পুরোহিত এসে পূজা করার পরে আমি এই ছবিগুলো তুলেছিলাম। এই পাত্রে চিড়ার মোয়া, তিলের নাড়ু, নারিকেলের নাড়ু, বাতাসা সন্দেশ কদমা এবং ভাজা চিড়ে রয়েছে, শ্রী শ্রী লক্ষী মাতার পূজার জন্য অর্পণ করা হয়েছে। এই প্রসাদ আমার কাছে খুবই প্রিয় লাগে।
এই পাত্রে আপেল কমলা,আখ এবং শশা দিয়ে, শ্রী শ্রী কোজাগরি লক্ষী মাতার পূজার জন্য প্রসাদ অর্পণ করা হয়েছে।
এই পাত্রে দুধ দিয়ে তৈরি সুজির প্রসাদ, মায়ের পূজার জন্য অর্পণ করা হয়েছে।
এই দুইটি পাত্রের ভেতর একটি পাত্রে ভেজা চিড়ে এবং অন্য পাত্রে মুড়ি ও ডাউল প্রসাদ অর্পণ করা হয়েছে।
এই পাত্রে মায়ের পূজার জন্য চিড়ে, কলা, আলো চাউল এবং পান অর্পণ করা হয়েছে।
এই পাত্রে মায়ের পূজার জন্য ময়দা দিয়ে তৈরি লুচি অর্পণ করা হয়েছে।
এই পাত্রে মায়ের পূজার জন্য কাঁচকলা, চাউল ও আলু অর্পণ করা হয়েছে।
প্রতিবছর লক্ষ্মী পূজার ভিতর গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে ঘুরে ঘুরে প্রসাদ খাওয়াটা অনেক আনন্দের। সেই ছোটবেলা থেকে এভাবেই প্রতি বাড়িতে ঘুরে ঘুরে আমরা কয়েকজন বন্ধু আছি সবাই প্রসাদ খেয়ে বেড়াই। তাইতো এবারও ব্যতিক্রম হয় নাই, তবে এবারো গুটি কয়েক বাড়িতে শ্রীশ্রী কোজাগরী মাতা লক্ষ্মী পূজার প্রসাদ খেয়েছিলাম। শ্রীশ্রী লক্ষ্মী মায়ের প্রসাদ যেন অমৃত সম।
পোস্টের বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৯ অক্টোবর |
লোকেশন | খোকসা কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
@aongkon
পুজোতে কি মায়ের ছবি হাতে এঁকে পুজো করাই নিয়ম? এই প্রথম আমি এই নিয়মটা দেখলাম। আমাদের বাড়িতে কলা বৌ দিয়ে পুজো হয়। এখানে মাটির সড়া, কলা বৌ, মূর্তি এগুলোতেই পুজোর প্রচলন আছে।আমার এক আত্মীয়র বাড়িতে তো ডিঙি নৌকো বানায় কলার ভেলা দিয়ে। এক এক বাড়িতে এক এক নিয়ম। বেশ ভালো লাগলো। আমরা যারা বাংলাদেশ থেকে অরিজিন বিলং করি আমাদের কোজাগরী তেই লক্ষ্মী পূজো হয়। আর এপার বাংলার মানুষরা দীপাবলির সময় দীপান্বিতা লক্ষ্মীর পুজো করে।
সব মিলিয়ে তোমার কাকার বাড়িতে আয়োজন দারুণ।
দিদি এটা নিয়ে আসলে নিয়ম না তবে একটা প্রথা মত হয়ে গিয়েছে। তবে আমাদের এখানে বিভিন্ন বাড়িতে বিভিন্ন ভাবে মা লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। আমাদের বাড়িতে যেমন মা লক্ষ্মীর পিতলের মূর্তি পূজা করা হয়। আবার কিছু কিছু বাড়িতে মাটির মূর্তির পূজা করা হয়। তবে বিভিন্ন রকমের পূজা গুলো দেখতে বেশ ভালই লাগে। দিদি আপনাদের ওখানে কলা বউ দিয়ে মা লক্ষ্মী পূজার প্রচলন গুলো বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিতে।