ফটোগ্রাফি: "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ১৫ তম পর্ব।
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৩ ই সেপ্টেম্বর, শনিবার , ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট হাজির হয়েছি। কিছুদিন আগেই আমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যাল হলো। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরে এটাই প্রথম সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যাল পেলাম। ফেস্টিভাল সম্পর্কে আগে একটু একটু ধারণা থাকলেও আমাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যালের দিনে সবকিছু ক্লিয়ার হয়েছি। ফেস্টিভ্যাল মানেই বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন কিছু কেনাকাটা করা আর মজার মজার খাবার খাওয়া। ফেস্টিভ্যালে যে এতটা পরিমাণ আনন্দ হয় আসলে ফেস্টিভ্যালটা না হলে, হয়তো অজানা থেকে যেতো। আর আমাদের ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি তে সিভিল এর স্টুডেন্ট সবথেকে বেশি।
সিভিল ডিপার্টমেন্টের আয়োজিত ফেস্টিভ্যালে প্রায় বিশটা মতো স্টল দিয়েছিলো আমাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীরা। আমাদের ব্যাচের স্টুডেন্টদের কোন স্টল ছিল না তাই আমাদের মেইন কাজ ছিল সব স্টল গুলো ঘুরে ঘুরে দেখা আর ইচ্ছামতো খাওয়া-দাওয়া করা। আমরা বন্ধুরা মিলে প্রতিটি স্টলে ঘোরাফেরা করছিলাম আর প্রতিটি স্টল থেকেই কিছু না কিছু খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। এই ফেস্টিভ্যালে যারা স্টল দিয়েছিলো তারা সবাই আমাদের আগের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা, অর্থাৎ তারা সবাই আমাদের থেকে সিনিয়র ছিলো।
আজকে থেকে আমি প্রতি সপ্তাহে আপনাদের সাথে আমাদের ফেস্টিভ্যালের প্রতিটি স্টলের বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে পর্ব আকারে শেয়ার করবো। আজকে আমি যে, স্টল থেকে বিভিন্ন পণ্যের ফটোগ্রাফি গুলো করেছি এই স্টলের নামটি ছিলো " সুগার রুশ স্টল"। এই স্টলের নামটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো। আজকে আমি আমাদের "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" -১৫ তম পর্বে "সুগার রুশ" স্টল থেকে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্যের ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমার প্রথম ফটোগ্রাফি ছিলো বক্স রসমালাইয়ের। রসমালাই আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার আমি এর আগেও বলেছিলাম। আমাদের এলাকার রসমালাই আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে ঢাকাতে আসার পরে কয়েকদিন খেয়েছি তবে ঢাকার রসমালাইয়ের কোন স্বাদ নেই। আমাদের এলাকাতে রমেশ দধি ভান্ডার আর অশোক দধি ভান্ডার নামে দুটি দোকান আছে দুটি দোকানে রসমালাই অনেক সুস্বাদু হয়। এখানে এক কেজি পরিমাণ রসমালাই ছিলো, এই রসমালাই ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি করছিলো বিক্রেতারা।
এই স্টলে দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিটি ছিলো, দুধ চমচমের। আমি আমাদের এলাকা থেকে দুধ চমচম মিষ্টি কয়েকবার খেয়েছি বেশ ভালই লাগে আমার কাছে। তবে আমাদের এলাকার সব দোকানে এই দুধ চমচম মিষ্টি পাওয়া যায় না কারণ এটা সংরক্ষণ করাটা একটু ঝামেলার ব্যাপার। এই স্টলে প্রতি পিচ দুধ চমচম ১০০ টাকা দরে বিক্রি করছিলো যেটা আমার কাছে অনেক বেশি মনে হয়েছে।
এই স্টলের আমার তৃতীয় ফটোগ্রাফিটি ছিল তেলে ভাজা ছোট ছোট মুখরোচক বিস্কুটের। এই বিস্কুট আমি খুবই পছন্দ করি। আপনারা হয়তো অনেকেই এই মুখরোচক বিস্কুটটা খেয়েছেন। এই বিস্কুট গুলো হালকা মিষ্টি ও একটু শক্ত টাইপের হয়, আর এগুলো খাইতে অনেক টেস্ট লাগে। আমি কুষ্টিয়া থাকতে মাঝেমধ্যেই বড়বাজারে গিয়ে দোকান থেকে প্যাকেট ধরে এই বিস্কুট কিনে আনতাম। এই স্টলে প্রতি প্যাকেট বিস্কুটের মূল্য ৪০ টাকা করে ছিলো।
আমার এই ফটোগ্রাফিটি ছিলো, রসগোল্লার। এই রসগোল্লা মিষ্টি পছন্দ করে না এমন লোক হয়তো খুবই কম খুঁজে পাওয়া যাবে। স্বাভাবিক টেম্পারেচারে থাকা রসগোল্লার থেকে ফ্রিজের নরমালে রাখা রসগুল্লা খাইতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। একটু ঠান্ডা ঠান্ডা রসার এর রসগোল্লা খাইতে অনেক সুস্বাদু লাগে। এই স্টলে রসগোল্লার প্রতি বক্স ১৮০ টাকা দরে বিক্রেতারা বিক্রি করছিলো ।
আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো, মামা ভাগ্নে দই। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন যে, দই আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। আমাদের দেশের এখনো যে কোনো অনুষ্ঠানে সব খাবারের শেষে দই দিয়ে থাকে। আসলে অনুষ্ঠানের বাড়িতে খাবারের শেষে দই না খেলে মনে হয় যে খাবারটাই সম্পূর্ণ হলো না। অনেকেই বলে দই খেলে নাকি জীবনী শক্তি বৃদ্ধি পায়, আমি জানিনা এটা কতটুকু সত্যি । আমি অধিক মিষ্টি দইয়ের থেকে হালকা মিষ্টি দই আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আর বিশেষ করে একটু টক টক দই হলে তো বেশ ভালো লাগে। এই স্টলের বিক্রেতারা ৭০০+-গ্রাম দইয়ের পাতিল ২৮০ টাকায় বিক্রি করছিলো।
আমার এই ফটোগ্রাফিটি হলো, পাটিসাপটা পিঠা। শরৎকালের লক্ষ্মী পূজা,আর গার্সির সময় প্রতিটি হিন্দু ঘরে ঘরে এই পাটিসাপটা পিঠা বানিয়ে থাকে। এই স্টলের পাটিসাপটা পিঠা অনেক সুন্দর ভাবে প্রক্রিয়াজাতকরণ করে রেখেছে যেটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এই পাটিসাপটা পিঠা আমি ছোটবেলা থেকেই অনেক বেশি পছন্দ করি। এই পাটিসাপটা পিঠা আমার জানামতে দুই ধরনের হতে পারে একটি নারিকেলের পাটিসাপটা পিঠা আরেকটি দুধের ক্ষীরের পাটিসাপটা পিঠা। তবে আমি এই দুই রকমের পাটিসাপটা পিঠাই অনেক বেশি পছন্দ করি।
আজকে আমাদের "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" - ১৫ তম পর্বে "" স্টলের বিভিন্ন পণ্য দ্রব্যের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আর "ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির সিভিল ফেস্টিভ্যাল-২০২৩" ১৬ পর্ব নিয়ে খুব শীঘ্রই আসবো আপনাদের সামনে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরাম্যান | @aongkon |
---|---|
ডিভাইস | স্যামসাং জে-৭ প্রো |
ক্যামেরা | ১৩ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ৯ ই জুন ২০২৩ |
লোকেশন | গাবতলী,ঢাকা |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon
ইউরোপীয়ান ইউনিভার্সিটি টা গাবতলিতে। বাইরে থেকে দেখেছিলাম কিছুদিন আগে। আপনাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যাল দেখে ভালো লাগল। বেশ অনেকগুলো খাবার দেখলাম। বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন। সুন্দর ছিল আপনাদের সিভিল ডিপার্টমেন্টের ফেস্টিভ্যাল।।
হ্যাঁ ভাই ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি গাবতলীতে অবস্থিত। আমার করা ফেস্টিভালের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার পছন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো ভাই। সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।