ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে সুস্বাদু ও মজাদার "নুডলসের রোল" রেসিপি।।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহু।
বন্ধুরা
কেমন আছেন?
আশাকরি,আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সকলেই ভাল আছেন।আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে বিকেলের নাস্তার সুস্বাদু ও মজাদার নুডুলসের রোল রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। নুডুলসের রোল রেসিপিটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও খুবই মজাদার হয়েছিল। আশাকরি,রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণের তালিকা
ক্রমিক নং | উপকরণের নাম | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | ময়দা | ৫০০ গ্রাম |
২ | ডিম | ২ টি |
৩ | নুডলস প্যাকেট | ৩ টি |
৪ | আলু | ২ টি |
৫ | সিম | সামান্য পরিমান |
৬ | বরবটি | সামান্য পরিমান |
৭ | বাঁধা কফি | ১/৪ অংশ |
৮ | পেঁয়াজ কুঁচি | ২ টির |
৯ | কাঁচা মরিচ | ৪-৫ টি |
১০ | টেস্টিং সল্ট | ১/২ চা চামচ |
১১ | গোলমরিচ ফাঁকি | সামান্য পরিমাণ |
১১ | লবন | স্বাদমতো |
১২ | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
১৩ | টমেটো সস | পরিমাণ মতো |
১৪ | সয়াসস | পরিমাণ মতো |
১৫ | টোস্ট বিস্কুট | ৪-৫ টি |
উপকরণের ছবি
রেসিপির প্রস্তুত প্রণালীর প্রতিটি ধাপ নিচে তুলে ধরা হলোঃ
প্রথম ধাপ
প্রথমে চুলাতে একটি করাই বসাবো।এরপর করাই এ পানি দিয়ে নুডলস দিয়ে নিবো।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর নুডলস সিদ্ধ হয়ে গেলে একটি ঝাঝুড় দিয়ে পানি ছেঁকে নিবো।
তৃতীয় ধাপ
চুলাতে একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে একটু সয়াবিন তেল দিয়ে নিবো।
চতুর্থ ধাপ
ফ্রাইপ্যানে কুঁচি করে কেটে রাখা পেঁয়াজ ও লবন দিয়ে নিবো।
পঞ্চম ধাপ
এরপর আগে থেকে কেটে রাখা আলু,সিম ও বরবটি দিয়ে নিবো
ষষ্ঠ ধাপ
এরপর টেস্টিং সল্ট ও গোল মরিচ ফাঁকি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
সপ্তম ধাপ
এরপর সবজিগুলো হালকা সিদ্ধ হয়ে আসলে আগে থেকে কুঁচি করে কেটে ধুয়ে রাখা বাঁধা কফি এবং টমেটো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
অষ্টম ধাপ
এরপর টমেটো সস ও সয়াসস দিয়েও ভালো করে মিশিয়ে নিবো।
নবম ধাপ
এরপর আগে থেকে চার ফালি করে কেটে রাখা কাঁচা মরিচ দিয়ে দিবো।
দশম ধাপ
এরপর আগে থেকে সিদ্ধ করে রাখা নুডলস এবং নুডলসের প্যাকেটের সাথে থাকা মসলা দিয়ে সবগুলো উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নুডলস রান্না করে নিবো।
একাদশ ধাপ
এরপর একটি বোলে ময়দা নিয়ে একটু লবন দিয়ে নিবো।
দ্বাদশ ধাপ
এরপর সয়াবিন তেল ও সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটি ডো বানিয়ে নিবো এবং সেই ডো থেকে আবার ছোট ছোট ডো করে নিবো।
ত্রেয়দশ ধাপ
এরপর একটি বেলুন পিঁড়ি নিয়ে পিঁড়ির মধ্যে তেল ব্রাশ করে ছোট ডো দিয়ে রুটি বানিয়ে নিবো।
চর্তুদশ ধাপ
এরপর রুটির মধ্যে বানিয়ে রাখা নুডলস দিয়ে দিবো।এরপর চারপাশ থেকে বটে রোল বানিয়ে নিবো।
পঞ্চদশ ধাপ
এরপর বেলুন পিঁড়ির সাহায্যে একইভাবে রোল বানিয়ে নিবো।
ষষ্ঠদশ ধাপ
একটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে টোস্ট বিস্কুট ফাঁকি করে একটি প্লেটে নামিয়ে নিবো।
সপ্তদশ ধাপ
একটি বাটিতে দুটি ডিম ভেঙে নিয়ে সামান্য লবন দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিবো।
অষ্ঠাদশ ধাপ
এরপর ফেটিয়ে রাখা ডিমের মধ্যে রোল দিয়ে চারপাশে ভালো ভাবে মাখিয়ে নিবো।
উনবিংশ ধাপ
এরপর রোলটিকে বিস্কুটের ফাঁকির সাথে কোড করে নিবো।
বিশতম ধাপ
এরপর চুলাতে একটি ফ্রাইপ্যান বসিয়ে সয়াবিন তেল দিয়ে নিবো।এরপর একে একে সবগুলো রোল এপিট ও ওপিঠ করে ভেজে নিবো।
শেষ ধাপ
রোলগুলো ভালো করে ভাজা হলে একটি প্লেট নামিয়ে নিবো। এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে সুস্বাদু ও মজাদার "নুডলসের রোল" রেসিপি।
পরিবেশন
পরিশেষে আমি চেষ্টা করেছি সুস্বাদু ও মজাদার করে "নুডলসের রোল" রেসিপিটি তৈরি করে আপনাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। জানি না কতটুকু পেরেছি। আমার তৈরি করা "নুডলসের রোল"রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আপনাদের সহযোগিতামূলক মন্তব্য আমাকে আরো সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন।অন্য দিন অন্য কোন পোস্ট নিয়ে আবারও হাজির হবো আপনাদের মাঝে।আজ এ পযর্ন্তই।
ফটোগ্রাফির বিবরণ
Photographer | @anisshamim |
---|---|
Device | Google Pixel 4a |
আমার পরিচিতি
আমি আনিসুর রহমান। আমার স্টিমিট আইডি @anisshamim।আমার জন্মস্থান মুন্সিগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে।আমি বাংলা ভাষার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যেবোধ করি এবং বাঙালি হিসেবে নিজেকে খুব গর্বিত মনেকরি।ভ্রমন করা আমার খুব সখ।তাছাড়া সময় পেলেই কবিতা লিখা এবং মজার মজার রেসিপি তৈরি করা।গল্পের বই পড়তে ও খুব ভালো লাগে।অন্যের কষ্টে নিজেকে বিলিয়ে দিতে খুব ভালোলাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আচ্ছা একটা কথা বলেন তো!আপনারা কি সবাই মিলে প্ল্যান করেছেন যে রেসিপি পোস্ট সব গভীর রাতে দেবো😑।ভাই এতো রাতে এসব লোভনীয় পোস্ট দেখে তো নিজেকে চার দেয়ালের ভেতর আটকে রাখতে পারছিনা।
নুডুলস এমনিতেই ফেভারিট। তার ভেতর আবার রোলের মাঝে নুডুলস দিয়েছেন।পুরাই সেরা একটা নাস্তা।
সুন্দর ছিল সবকিছু। শুভ কামনা জানাই।
বাহ কি চমৎকার বুদ্ধি আপনার ভাইয়া। ধারুন একটি রেসিপি শিখলাম। প্রথমবার রেসিপিটা দেখেই আমার পছন্দ হয়ে গেছে। তবে একটু সময় করে বানাতে হবে। আমি আবার বেশি জামেলা পছন্দ করি না। যেটা বানাতে সহজ সেটাই খেয়ে থাকি। উপরের গুলো যে টোস্ট বিস্কুটের ফাঁকি সেটা প্রথমে বুঝি না। পরে বুঝলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া রেসিপিটি তৈরি করা একেবারেই সহজ, তবে একটু সময় লাগে। আর সুস্বাদু ও নতুন কিছু খেতে হলে তো এতটুকু সহ্য করতেই হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত চমৎকার গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সন্ধ্যায় খাওয়ার মত খুবই সুন্দর একটি লোভনীয় আমাদের মাঝখানে শেয়ার করেছেন। যেটা দেখে খুব সহজেই যে কেউ রেসিপি তৈরি করতে পারবে। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর এবং সহজ ভাবে রেসিপিটি তুলে ধরার জন্য।
হা আপু, বিকেলে বা সন্ধ্যার নাস্তায়,এমনকি অতিথি আপ্যায়নেও রেসিপি তৈরি করে সহজেই খাওয়া যাবে।আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
বাচ্চাদের টিফিন অথবা বিকেলের নাস্তার একদম পারফেক্ট একটি রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। এই ধরনের নুডুলসের রেসিপি গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। আর ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে যেহেতু তৈরি হয়েছে এটা অনেকটাই স্বাস্থ্যসম্মত। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দরভাবে রেসিপিটি তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হা আপু বাচ্চাদের টিফিন ও বিকেলের নাস্তার জন্য এটা সুস্বাদু খাবার এবং ঘরের উপকরণ দিয়ে বানানোর জন্য এটা স্বাস্থ্য সম্মত ও বটে।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
অনেক ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এটা বিকেলের নাস্তা হিসেবে একেবারে পারফেক্ট। নুডুলস রোল আমি আগে কখনো খাইনি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমি অবশ্যই বাসায় এভাবে ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ও ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হা আপু বিকেলের নাস্তায় এটা পারফেক্ট খাবার। আর বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন খুব ভালো লাগবে।আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ,এত চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
আহা!! ভাই দিলেন তো লোভ লাগিয়ে, নুডুলসের রোল দেখিয়ে। খুবই মুখরোচক খাবার যা দেখা মাত্রই সকলেরই লোভ লেগে যাবে। চায়ের সাথে গরম গরম এই নুডুলস রোল খেতে ভারী মজা লাগবে। আর আপনার তৈরি নুডুলস এর রোল তৈরির উপস্থাপনা এক কথায় অসাধারণ। এই নুডুলসের রোল আমার মেয়ে খেতে খুবই পছন্দ করে। তাই তার মা মাঝে মাঝে স্কুলের টিফিনে এই রোল তৈরি করে দেয়। খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হা ভাইয়া ঠিকই বলেছেন, চায়ের সাথে গরম গরম রোল খেতে খুবই মজা লাগবে।আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, এত চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
এ ধরনের নাস্তা বিকেল বেলা খেতে পারলে খুবই ভালো লাগে। নুডলসের রোল দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আপনি খুব সুন্দর করে নুডলসের রোল রেসিপি পর্যায়ে ক্রমে উপস্থাপন করেছে দেখে খুব ভালো লাগলো। এ ধরনের রেসিপি তৈরি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। এত দুর্দান্ত রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া,এত সুন্দর ও চমৎকার উৎসাহমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
আমি অনেক আগে একবার এই রেসিপি বানিয়েছিলাম আমার কাছে নুডলসের এই রোল খেতে দারুণ লাগে। আপনার রোল রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হা আপু, নুডলসের রোলটি খেতে দারুণ মজা লাগে। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, এত চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
বিকালের নাস্তা হিসেবে পারফেক্ট একটি নাস্তা তৈরি করেছেন। শীতের সময় বিভিন্ন রকম সবজি দিয়ে বিভিন্ন রকম নাস্তা তৈরি করা যায়। বিভিন্ন রকম সবজি দিয়ে নাস্তা তৈরি করলে এই রেসিপিগুলো খেতে খুবই মজা লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে একদিন তৈরি করে দেখব। সুস্বাদুও ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হা আপু ঠিকই , শীতের মৌসুমে বিভিন্ন রকমের সবজি দিয়ে মজাদার রেসিপি তৈরি করা যায় এবং খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু,এত সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।