।। আত্মনির্ভরশীল যুবক সুমনের গল্প।। 10% shy-fox beneficiary।।
১২ই ভাদ্র/১৪২৯ বঙ্গাব্দ।
২৭ই আগস্ট/২০২২ইং।
রোজঃ শনিবার।
বন্ধুরা, নমস্কার/আদাব
আমি @amitab বাংলাদেশ থেকে "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির এপার বাংলা এবং ওপার বাংলার বাংলা ভাষাভাষী সকল বন্ধুদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আশারাখি সকলেই ভাল আছেন। আমিও ঈশ্বরের কৃপা ও আপনাদের আশীর্বাদে এক রকম আছি। আজ ও আমি একজন "আত্মনির্ভরশীল যুবকের গল্প" নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আশা রাখি সকলকে ভালো লাগবে।
।। আত্মনির্ভরশীল যুবক সুমনের গল্প।।
একজন আত্মনির্ভরশীল যুবকের নাম, মাসুদুল হক সুমন। বয়স ২৬-২৭ বছর হবে। পিতা মৃত-সাহেব উদ্দিন, গ্রাম-ঝাড়াম বাড়ি, উপজেলা-পীরগঞ্জ, জেলা-রংপুর। পড়ালেখা ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত । বর্তমানে সে মিলন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের *মালিক ও প্রশিক্ষক।
।। চিত্র-০১।।
আত্মনির্ভরশীল যুবক মাসুদুল হক সুমনের সাথে একটি সেলফি।
প্রায় ১০ বছর পূর্বে সুমনের বড় ভাই মিলন একটি কম্পিউটার দিয়ে ভেন্ডাবাড়ি বাজারে অনলাইন সম্পর্কিত সেবামূলক ব্যবসা শুরু করেন। সকাল বিকেল স্কুলের পাশাপাশি বড় ভাইয়ের কম্পিউটার দোকানে সময় দিত সুমন। এর ফাঁকেই রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে কম্পিউটারের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন সুমন।
।। চিত্র-০২।।
মিলন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
প্রায় বছর সাথেক আগে বড় ভাই মিলন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে কম্পিউটার দোকান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে যায়। পরে সেই দোকানের হাল ধরেন সুমন। সুমন কম্পিউটারে অনলাইন সেবা কার্যক্রম এর পাশাপাশি Bangladesh technical institute board (BTEB) থেকে অনুমোদন নিয়ে ছয় মাস মেয়াদী সার্টিফিকেট কোর্স চালু করেন সুমন।
।। চিত্র-০৩।।
ছাত্র ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ গ্রহণের একটি দৃশ্য।
এই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেটি বড় ভাই মিলনের নামে নামকরণ করেন। হাটি হাটি পা পা করে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে , এখন ১টি কম্পিউটার থেকে ১৫ টি কম্পিউটার সংযোজন করেছেন সুমন। স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী প্রতি কোর্সে ৩০ থেকে ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী ছয় মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ করছে ভর্তি হন।
।। চিত্র-০৪।।
সুমন একাই সেই সকল ছাত্র-ছাত্রীদের 15 টি কম্পিউটার দিয়ে সারাদিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। দীর্ঘ ১০ বছরে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি ব্যাপক প্রসার ঘটিয়েছেন সুমন। শুধু তাই নয় বিভিন্ন এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার, বিভিন্ন এনজিও এবং সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনলাইন বেসিক কাজগুলো করে থাকেন সুমন।
।। চিত্র-০৫।।
"ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ গ্রহণের অপর একটি দৃশ্য।"
বর্তমানে সুমনের মাসিক ইনকাম ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। কোন কোন মাসে আবার ৪০-৪৫ হাজার টাকাও হয়ে থাকে। বর্তমানে সুমন নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে দাবি করেন। সরকারি ও বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি কোন ধান্দা নেই তার। **নিজের কর্ম ও মেধায় মাসুদুল হক সুমন এখন একজন আত্মনির্ভরশীল যুবক।
।। চিত্র-০৬।।
অদ্য বিকেল চারটায় গিয়েছিলাম মিলন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। ব্যক্তিগত একটি ড্রাফ্ট প্রিন্ট করার জন্য। ড্রাফ্টটি প্রিন্ট করতে করতে শুনে নিলাম তার জীবনের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার গল্পটি। অভিনন্দন মাসুদুল হক সুমন তোমাকে। আশীর্বাদ করি এগিয়ে যাওয়ার সামনের দিকে।
।। চিত্র-০৭।।
বন্ধুরা, এই ছিল আজকে আমার একজন "আত্মনির্ভরশীল যুবকের গল্প"। আজ এ পর্যন্তই, আবার কথা হবে আগামীকাল অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সে পর্যন্ত সকলেই ভাল থাকুন ,সুস্থ থাকুন ,শুভরাত্রি।।
নাম | শ্রী ফণিভূষণ রায় অমিতাব। |
---|---|
User Id | @amitab |
Camera | Symphony Mobile phone. |
Mobile Phone Model | Z-35. |
Photo Location | Vendari. |
My Address | Vendabari Prigonj Rangpur Bangladesh. |
আমাদের সকলেরই উচিত নিজেদের আত্মকর্মসংস্থান নিজেরাই তৈরি করা কেননা বর্তমান সময়ে চাকুরীর বাজার এতটাই কঠিন যেখানে চাকরি পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য একটা বিষয়। আপনার গল্পের সুমন খুবই ভালো একটা কাজ করেছে সে এখন নিজেই অন্যদেরকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেবার মাধ্যমে উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।
সমাজের প্রত্যেকটা যুবকই যদি নিজেকে উদ্যোক্তায় রূপায়িত করতো তাহলে আর বেকারত্ব বলে কিছু থাকত না। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনি কি সত্যি কথা বলেছেন। বেকার যুবকেরা যদি চাকরির পিছনে না ছুটে নিজেই উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করত, তাহলে দেশ সোনায় সোহাগ হত। মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।