রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সাথে খাওয়া দাওয়ার অভিজ্ঞতা || 10% Beneficiaries @shy-fox

বন্ধুদের সাথে থাকলে প্রতি সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একবার হলেও রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয় এবং সে রেস্টুরেন্ট কে কেন্দ্র করে নানান রকমের ঘটনা হয়ে যায়। এর আগে আমি বলেছিলাম একটি বন্ধুর চ্যালেঞ্জ করে আমার সাথে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিল। আমাদের সামনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা সবাই বলছে পরীক্ষার সময় ধরে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করা যাবে না। তাই চলো একদিন খাওয়া দাওয়া করে আসি। এই বলে সবার মতামত নিয়ে দুপুরের দিকে রেস্টুরেন্টের উদ্দ্যেশে বেরোলাম। নরসিংদীর বুকে তেমন কোন রেস্টুরেন্টে আমার চোখে পড়েনি, যার খাবার অনেক ভাল। রেস্টুরেন অনেকগুলো আছে কিন্তু খাবারের মানের দিক থেকে তেমন একটা ভাল না। আমরা তো সবসময় গ্যালাক্সি রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করি এবার গ্যালাক্সি রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পথে দেখলাম নতুন একটি রেস্টুরেন্ট খোলা হয়েছে কিছুদিন আগেই। নাম ভিআইপি কাচ্চি, লোকেশন হচ্ছে নরসিংদী সদর।

আমরা আগে যে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতাম তার প্রায় সবগুলো রেসিপি আমাদের খাওয়া হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম আজ একটু নতুন রেস্টুরেন্টে ট্রাই করে দেখা যাক। সে জন্যই আমরা সবাই মিলে ভিআইপি রেস্টুরেন্টে গেলাম। রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকে পুরাই অবাক হলাম আমরা কারণ সেখানকার ডেকোরেশন টা ছিল আসলেই দেখার মত। আমার কাছে মনে হচ্ছিল গ্যালাক্সি রেস্টুরেন্টকে টক্কর দেয়ার জন্য এই রেস্টুরেন্ট সেভাবেই ডিজাইন করা হয়েছে। এখানে প্রায় অনেক বড় একটি স্পেস রয়েছে যেখানে খুব সুন্দর ভাবে খাওয়া-দাওয়া করা যাবে এবং ডেকোরেশন গুলো সত্যিই অসাধারণ। রেস্টুরেন্টেরর লাইটিং গুলো ছিল দেখার মতো, আমরা দিনের বেলায় গিয়েছিলাম তাই খুব একটা বেশি অনুধাবন করতে পারেনি কিন্তু তাদের লাইটিং দেখে বুঝা যাচ্ছে রাতের বেলা সেখানকার পবিবেশ অন্যরকম একটি রূপ ধারন করে।

ভিআইপি কাচ্চি রেস্টুরেন্ট এর বিশেষ করে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে তাদের সার্ভিসের বিষয়টা এবং তাদের ব্যবহার ছিল অত্যন্ত চমৎকার। ভিআইপি রেস্টুরেন্টের সব বসার জায়গা গুলো ছিল একই রকম এবং সব ফার্নিচার গুলো অসাধারন। এখানে সবচেয়ে ভালো বিষয় ছিল সেখানে শুধুমাত্র একটি রেসিপি পাওয়া যায়, সেটি হল কাচ্চি এবং তার বিভিন্ন ধরনের ভেরিয়েন্ট এখানে পাওয়া যায়। আমরা সেখানে স্পেশাল কাচ্চি খেয়েছিলাম। খাসির মাংস অসাধারণ ছিল এবং খাসির মাংস ঝলসালো ছিল, যেন সহজেই খাওয়া যায়।

খাওয়া দাওয়া করে আমরা কিছুক্ষণ বসে গল্প করলাম। এই রেস্টুরেন্টে ফটোশপের জন্য অনেকগুলো জায়গা রয়েছে এবং তার মধ্যে বাচ্চাদের খেলার জন্য অনেক জায়গা রয়েছে। এখানে একটি দোলনা রয়েছে যেখানে বসে মানুষ ছবি তোলে যা আমার কাছে একটু অন্যরকম লেগেছে। আমরা ফটোশপের জায়গায় গিয়ে কিছুক্ষণ ফটোশুট করলাম এবং সেই দোলনায় বসে কিছু মজা-আড্ডা করতে থাকলাম। এভাবেই মূলত রেস্টুরেন্টে সময়গুলো কেটে গেল। এখানে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তাদের ব্যবহারটি, তারা কাস্টমারদের সাথে খুবই চমৎকার ভাবে ব্যবহার করছে এবং তাদের খাবার অর্ডার দেওয়ার পরে মাত্র ৫ থেকে ৬ মিনিটের মধ্যেই খাবার হাজির হয়ে যায়, এটি ব্যক্তিগতভাবে অনেক ভালো লেগেছে।

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: রেস্টুরেন্টে বন্ধুদের সাথে খাওয়া দাওয়ার অভিজ্ঞতা

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......