আতঙ্ক মানেই ভয় || একটি রাতের ঘটনা - (১ম পর্ব) 👻

যাইহোক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নবমীর দিনে আমরা বিকালবেলা ট্রেনে উঠলাম এবং ঠিক সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে তাদের স্টেশনে গিয়ে দাঁড়ালাম। সেখান থেকে অটো রিক্সা করে তাদের বাসায় যেতে আরো দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগে। বাসায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে এশার আযান দিয়ে দেয়। সেদিন রাতে আর কোথাও বেরোনো হয় নি, ইমনের মা বলছিল আজ রাতে কথা বেরোনোর দরকার নেই। কালকে সারাদিন তোমরা ঘুরে বেরিও এবং টাঙ্গাইলের বেশ কিছু নিদর্শন আছে সেগুলো ঘুরে দেখতে পারবে। তাই উনার কথা অনুযায়ী সেদিন আর কোথাও বেরোলাম না। গ্রামের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে রাতের বেলা শুয়ে পরলাম।

ইমন এর কাছ থেকেই তাদের গ্রাম সম্পর্কে আগে অনেকবার গল্প শুনেছে। এদের গ্রাম নাকি এখনো ভূত-প্রেত এগুলো বিশ্বাস করে এবং রাতের বেলা মাঝে মাঝে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটনা ঘটে যায়। মূলত এসব বিষয়ে আমি খুব এক্সাইটিং থাকার কারণে এদের গ্রামে বেড়াতে এসেছিলাম। আমাদের সাথে আরেকজন ছিল তার নাম হচ্ছে নাকিব। পরদিন টাঙ্গাইলের বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান আমরা ঘুরে বেড়িয়েছিলাম। নামগুলো এখন সঠিক হবে মনে পরছে না, তবে সেদিন অনেক এনজয় করেছিলাম এবং সন্ধ্যার সময় আবার বাসায় এসে পৌঁছেছিলাম। আসল ঘটনা ঘটে দশমীর রাতের বেলা। ইমন বলে উঠলো দশমীর দিন এখানকার পূজামণ্ডপ গুলোতে অনেক ধরনের অনুষ্ঠান হয় এবং বেশ কিছু দোকানি বসে। গ্রামের এসব ঐতিহ্যবাহী জিনিস দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে তাই তিনজনের সম্মতিক্রমে আমরা রাতের খাওয়া করে, পুজো দেখতে বেরিয়ে পরলাম।

তাদের বাসা থেকে পূজামণ্ডপ বেশি দূরে নয় যদিও সেই পুজো মণ্ডপ অনেক ছোট এবং সেখানে তেমন কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছিল না এবং তেমন কোনো দোকান নেই, এমন সময় ইমন বলছে আমাদের পাশের গ্রামে একটি বড় পুজো মণ্ডপ আছে, সেখানে গেলে অনেক ধরনের দোকানে থাকবে, এখান আমরা দুজনের সম্মতি প্রদান করলাম যেহেতু এসেছি তাই ভালভাবে ঘুরে যাই। য পাশের গ্রামের পুজো মণ্ডপ অনেকটা দূরে সেহেতু আমাদেরকে অনেকটা পথ হেঁটে যেতে হবে। রাত বাজে তখন দশটা।

ইমন বলে উঠলো আমি একটি শর্টকাট জানি, গ্রামের মাঝখান দিয়ে যেতে হবে এবং সেখানকার পরিবেশ অনেক ভালো। সেই অনুযায়ী আমরা হাঁটতে শুরু করলাম। সত্যি বলতে সেদিনের পরিবেশটা অনেক চমৎকার ছিল। আকাশে চাঁদ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল, চাঁদের আলোয় পথ গুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। মাঝখান দিয়ে চলে গেছে রাস্তার দুই সাইডেই রয়েছে ধানের ক্ষেত এবং রাস্তার মাঝখানে একটি ব্রিজ, সেই ব্রিজের কিছুক্ষণ বসে থেকে আমরা গান শুনলাম একে অপরের সাথে কথা বললাম তারপরে আবার হাঁটা শুরু করলাম। তবে একটা আতঙ্ক থেকেই গেল এত নির্জন জায়গা, সেই গ্রামে কারেন্ট ছিলনা তখন এবং প্রায় অন্ধকার শুধুমাত্র চাঁদের আলোয় যেটুকু পথ দেখা যায় সেটুকু আমার দেখছি, মাঝর মধ্যে ফোনের লাইট জ্বালিয়ে রাখছিলাম। নাকিব বলে উঠলো গ্রাম তো অনেক নির্জন ছিন্তাই হবে নাকি? আবার ইমন বলে উঠলো, আমাদের গ্রামে এরকম কিছু হয়না। কিন্তু ভূতের ভয় আমার কাজ করতে শুরু করলো। এদিকে ইমনকে বললাম তুই যে ঘটনাগুলো বলেছিস তোর গ্রাম সম্পর্কে সেগুলো কি সত্যি?? সে বলে উঠলো, হ্যা সত্যি।

সেই পথ দিয়ে হাটার সময় অনেক ধরনের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম, মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল এটা আতঙ্কের কারণে আমি একাই শুনতে পাচ্ছি।। অতঃপর ওদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম ওরা বলছে ওরা ও শুনতে পাচ্ছে। অনেকটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়ে গেল। পরবর্তীতে আরও ৩০ মিনিট হাঁটার পরে আমরা সেই পূজামণ্ডপে উপস্থিত হলাম। রাত তখন আনুমানিক ১১ টা হবে। তখন আমরা সেই পূজামণ্ডপের অনুষ্ঠান গুলো উপভোগ করলাম, সেখানকার দোকানে থেকে অনেক ধরনের জিনিস কিনে ছিলাম, এদিকে যে বাসায় যেতে হবে এই বিষয়টা মাথায় ছিলনা। আনুমানিক রাত একটার সময় আমি ইমন কে বলে উঠলাম, অনেক রাত হলো এখন তো আমাদের বাসায় যেতে হবে। এরপর থেকেই ঘটে মূলত আসল ঘটনা।

---

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||

---

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।

---

---

বিষয়: আতঙ্ক মানেই ভয় || একটি রাতের ঘটনা - (১ম পর্ব) 👻

কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ

আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ.......