কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করছি সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সকলেই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আজকে আমি আপনাদের সামনে আবার হাজির হয়েছি আমার একটি ভ্রমণকাহিনী নিয়ে। আমাদের কলেজ ট্যুরে আমাদেরকে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও কক্সবাজার নিয়ে যাওয়া হয়। আমি সেটারই চতুর্থ পর্ব নিয়ে আজকে কথা বলবো।

_{ছবিটি তোলার তারিখ :- ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

যেখানে গত পর্বে শেষ করেছিলাম, সেখান থেকেই এবার শুরু করছি। আমরা জাহাজ থেকে নামার সাথে সাথেই আমাদের গায়ে প্রথম যে জিনিসটা লাগে, সেটা হচ্ছে গরম! আমরা কল্পনাও করতে পারি নি যে সেন্টমার্টিনে দিনের বেলায় এতো বেশি গরম পড়বে। আমাদের তোলা ছবিগুলো দেখে হয়তো জিনিসটা আপনাদেরও চোখে পড়েছে, কেননা আমি ও আমার বন্ধুদের সবাই-ই বেশ ভালোভাবে শীতের প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলাম, আর এজন্যেই এই প্রচন্ড রোদ আমাদেরকে কিছুটা অস্থির করে তুলেছিলো।ঘাটে আমাদেরকে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় নি, আমরা সবাই-ই বেশ দ্রুত ও শৃঙ্খলার সাথে নেমে গিয়েছিলাম, এজন্যেই মূলত। আমাদের শিক্ষকেরা আমাদেরকে নিয়ে এরপর চলেন আমাদের হোটেলে।

_{ছবিটি তোলার তারিখ :- ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

আমরা ট্যুরে এসেছিলাম প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থী, সংগত কারনেই সবাইকে একই হোটেলে রাখা সম্ভব না, আর সেন্টমার্টিনের মতো একটি স্থানে তো আরো না। এজন্যেই আমাদের শিক্ষকেরা আগে থেকেই প্রায় ৫টি আলাদা হোটেল বুক করে রেখেছিলেন আমাদের জন্যে, এই হোটেলগুলো একই না হলেও অবস্থানগত দিক থেকে কাছাকাছি অবস্থিত। তাই আমাদের শিক্ষকদের জন্য হিসাব রাখাটাও সহজ হয়ে গিয়েছিলো এর ফলে।

_{ছবিটি তোলার তারিখ :- ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

আমি আর আমার তিন বন্ধু একই রুম শেয়ার করি, যেমনটা আমরা আগেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। আমাদের রুমটা খুব বেশি বড় বা অত্যাধুনিক সুবিধাসম্বলিত ছিলো না, তবে আমরা সেন্টমার্টিনে এসে এরকম কিছু আশাও করি নি। তো সবাই রুমে লাগেজ রেখে একে একে স্নান সেরে নিই, আর আমাকে বলতেই হবে, এতো গরমের পর এতো আরামের স্নান জীবনে আমি খুব কমই করেছি।

_{ছবিটি তোলার তারিখ :- ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

স্নানপর্ব শেষে আমরা আমাদের দুপুরের খাবার সেরে নিই। দুপুরের খাবারে আমরা খেয়েছিলাম ফ্লাইয়িং ফিশ, যা বেশ চমৎকার হয়েহিলো খেতে, আর এই মাছটা আমি আগে কখনো খাই নি, তাই আমার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছিলো। দুঃখের বিষয় এই যে আমরা কেউ-ই খেতে যাবার আগে নিরাপত্তাজনিত কারণে আমাদের ফোন নিয়ে যাই নি, যার ফলে ঐ ফ্লাইয়িং ফিশ ভাজার স্মৃতি কেবল আমাদের মনের মধ্যেই আছে।

_{ছবিটি তোলার তারিখ :- ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

দুপুরের খাবার শেষে আমাদের শিক্ষকেরা আমাদেরকে নিয়ে যান সমুদ্রস্নানে। সেটাও আরেক মজা। কক্সবাজার আর সেন্টমার্টিন- এই দুই জায়গায় সমুদ্রসৈকত আসলে একদমই ভিন্ন প্রকৃতির। ভৌগোলিক ভিন্নতার পাশাপাশি, সেন্টমার্টিনের সৈকতের বিপদাশঙ্কা তুলনামূলক বেশি, যার জন্য আমাদের শিক্ষকেরা আমাদেরকে এক পলকের জন্যেও চোখের আড়াল হতে দেননি। আমরা তারপরেও আমাদের শিক্ষকদের সাথেই বেশ মজা করি। শেষ পর্যন্ত যখন সবাই ক্লান্ত হয়ে যাই, তখন সবাই আবার হোটেলে ফিরে একটু জিরোই, আর পরে বিকালে বের হবার প্রস্তুতি নিই।

_{ছবিটি তোলার তারিখ :- ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ডিভাইস :- Realme Narzo 20}

আমাদের বিকালবেলার বেড়ানোর বর্ণনা থাকবে পরের পর্বে।

--------- চলতে থাকবে ---------

---

যদি আপনাদের আমার পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।

---

💗ধন্যবাদ💗