পটল পিঠা রেসিপি| |10% Beneficiary To @shy-fox | |
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আমি আজ ২১ তম প্রতিযোগিতায় আপনাদের সাথে অংশগ্রহণ করতে চলেছি।@hafizullah ভাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। আমি আজকে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আমার তৈরিকৃত খুবই ইউনিক একটি "পটল পিঠা"তৈরির রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি, এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক "পটল পিঠা" তৈরির প্রস্তুত প্রণালী:-
উপকরণসমূহ | পরিমাণ |
---|---|
পটল | ৭ টি |
আলু | ১ টি |
সুজি | হাফ কাপের একটু কম |
ময়দা | হাফ কাপ |
তরল দুধ | হাফ কাপ |
পেঁয়াজ কুচি | বড় সাইজের একটি |
মরিচ কুচি | ৬ টি |
রসুন কুচি | হাফ টেবিল চামচ |
আদা কুচি | হাফ টেবিল চামচ |
লবণ | স্বাদমতো |
চিনি | হাফ টেবিল চামচ |
তেল | ভাজার জন্য যতটুকু প্রয়োজন |
ধাপ-০১
প্রথমে পরিমাণ মতো পটল নিয়েছি।
ধাপ-০২
এরপর পটলের উপরের শক্ত আবরণ তুলে ফেলেছি এবং ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-০৩
এরপর পটলগুলো গ্রেটার দিয়ে গ্রেট করে নিয়েছি।
ধাপ-০৪
এরপর আলু গ্রেট করে নিয়েছি।
ধাপ-০৫
পেঁয়াজ, মরিচ, আদা ও রসুন এভাবে কুচি করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-০৬
এরপর একটি বাটিতে হাফ কাপের কম পরিমাণ ভাজা সুজি নিয়েছি। পটলের পিঠা বানানোর জন্য এখন সবগুলো উপকরণ তৈরি করা হয়ে গেছে এখন পটল পিঠার ভেতরের পুর তৈরি করার পালা।
ধাপ-০৭
পটল পিঠার পুর তৈরি করার জন্য প্রথমে একটি কড়াইয়ে তেল গরম করতে দিয়েছি ।
ধাপ-০৮
তেল গরম হয়ে গেলে গরম তেলে পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ কুঁচি, আদা কুঁচি ও রসুন কুঁচি দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-০৯
এরপর এগুলোকে হালকা করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-১০
এরপর এর মধ্যে এড করেছি গ্রেট করা আলু। আলু দুই মিনিট মতো নরমাল আঁচে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-১১
এরপর এর মধ্যে এড করেছি গ্রেট করা পটল।
ধাপ-১২
এরপর সবজিগুলো সেদ্ধ হওয়ার জন্য সামান্য পরিমাণ পানি অ্যাড করেছি এবং স্বাদ মতো লবণ অ্যাড করেছি।
ধাপ-১৩
এরপর একটি বাটিতে হাফ বাটি মতো পানি নিয়ে এর মধ্যে গুঁড়ো দুধ , আটা ও চিনি একসাথে গুলিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-১৪
এরপর পটলের পানি কিছুটা শুকিয়ে আসলে এর মধ্যে তৈরি করা পাউডারের দুধ দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-১৫
এরপর দুধ পটলের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-১৬
এরপর এড করেছি ভাজা সুজি।
ধাপ-১৭
এরপর ভাজা সুজির মধ্যে অল্প অল্প পানি দিয়ে নাড়াচাড়া করে পাঁচ মিনিটের জন্য রান্না করে নিয়েছি।
ধাপ-১৮
এরপর সুজির পানি শুকিয়ে আসলেই তৈরি হয়ে গেল পটল পিঠার ভেতরের পুর।
ধাপ-১৯
এরপর পিঠার উপরের আবরণ বানানোর জন্য গ্রেট করা পটল নিয়েছি।
ধাপ-২০
এরপর এর মধ্যে এড করেছি ময়দা।
ধাপ-২১
ময়দা এবং পটল ভালোভাবে মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২২
এরপর পটল ও ময়দার মিশ্রণ থেকে কিছু পরিমাণ মিশ্রণ নিয়ে এভাবে হাত দিয়ে চেপে রুটির মতো তৈরি করে নিয়েছি ।
ধাপ-২৩
এরপর আগে থেকে বানানোর পটল ও সুজিরপুর রুটির মধ্যে এভাবে বসিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-২৪
এরপর এটাকে চারিপাশ থেকে চেপে এভাবে কোড করে নিয়েছি।
ধাপ-২৫
এভাবে একে একে সবগুলো পটল পিঠা তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-২৬
এরপর পিঠাগুলো ভাজার জন্য একটি কড়াইয়ে তেল গরম করতে দিয়েছি।
ধাপ-২৭
তেল গরম হয়ে গেলে এর মধ্যে পিঠাগুলো ভাজার জন্য ছেড়ে দিয়েছি।
ধাপ-২৮
উল্টেপাল্টে পিঠাগুলো সময় নিয়ে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-২৯
এভাবে বাদামী বর্নের করে সবগুলো পিঠা ভেজে নিয়েছি।
পরিবেশন
আর এভাবে আমি তৈরি করে নিয়েছি আমার তৈরিকৃত নতুন এবং ইউনিক একটি রেসিপি" পটল পিঠা"।
Device | realme 8 |
---|---|
Camera | 64 mp |
Photo by | Al-Amin |
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির সকল সদস্যবৃন্দকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ, সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। আজকের মতো আপনাদের মাঝ থেকে বিদায় নিচ্ছি, আগামীকাল আবারো নিত্য নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
আপনার তৈরি অসাধারণ একটি পটলের পিঠা রেসিপিটি দেখতে পেলাম। রেসিপি আমার কাছে একেবারেই নতুন লাগছে এবং ইউনিক তো বটেই।এত সুন্দর ও ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
আপনার নতুন রেসিপি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলেই পটল দিয়ে নতুন রেসিপি ছিল।আমার কাছে লেগেছে ভালো।
হ্যাঁ এই রেসিপিটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের নতুন একটি রেসিপি। বলতে পারেন পটল দিয়ে আমার তৈরিকৃত একটি এক্সপেরিমেন্টাল রেসিপি। তবে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল।আপনার সুন্দরতম মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পটলের পিঠা নাম শুনে তো আপনার ইউনিক মনে হচ্ছে ।দুধ দিয়েছেন খেতেও মনে হয় খুবই মজা হয়েছে । খুব সুন্দর করে রেসিপি বর্ণনা করেছেন । ধন্যবাদ ভাইয়া
হ্যাঁ, ভাইয়া খেতে খুবই মজা হয়েছিল । দুধ দেওয়াতে রেসিপিটিতে একটি অন্যরকম সুন্দর ফ্লেভার চলে এসেছিল। খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পটল পিঠা রেসিপি দারুন হয়েছে ভাইয়া। পটল দিয়ে আপনি দারুন ভাবে পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন। লোভনীয় লাগছে দেখতে। মন চাচ্ছে একটি নিয়ে খেয়ে ফেলি। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পটল দিয়ে কখনো পিঠা রেসিপি তৈরি করা যায় সেটা আমার জানা ছিল না। ইউনিক লেগেছে আপনার রেসিপি তৈরি আপনার জন্য প্রতিযোগিতায় শুভকামনা রইল।
পটল পিঠা, খেতে দারুন মিঠা। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে ইউনিক রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া এই পিঠার স্বাদ কেমন? ঝাল নাকি মিষ্টি? কারন এতে পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ কুঁচি, আদা কুঁচি ও রসুন কুঁচি ব্যবহার করা হয়েছে আবার দুধ চিনিও ব্যবহার করা হয়েছে। আসলে ভিন্নধর্মী একটি রেসিপি এটি। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই পিঠার স্বাদ অনেকটা ঝাল ঝাল আবার সামান্য পরিমাণ মিষ্টির ছোঁয়াও আছে তবে ঝালের প্রভাব টাই বেশি। এই রেসিপিটি আমি আসলে সম্পূর্ণ নিজে থেকে বানিয়েছি , ভেবেছিলাম হয়তো খুব একটা ভালো হবে না তবে তৈরি করার পরে খেয়ে জাস্ট অবাক হয়ে গেছে। খুবই সুস্বাদু হয়েছিল খেতে।
পটল দিয়ে অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আপনি তৈরি করছেন ভাই আর রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ ছবিসহ এত সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন যা পড়ে পটলের পিঠা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা পেয়েছি। আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাই।
নতুন এবং ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।পটল দিয়ে কতো কিছু করা যায় তা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি।যা দেখে খুবই ভালো লাগছে। আপনার রেসিপি টা দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। দোয়া রইলো আপনার জন্য।
চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। যে আমার কাছে ইউনিক মনে হয়েছে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আসলে পটলের খুব সুন্দর সুন্দর ইউনিক রেসিপি দেখতে পাচ্ছি যা আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে। আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে খেতে নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।