রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরিকৃত বোয়াল মাছ| |10% Beneficiary To @shy-fox | |
আসসালামু আলাইকুম।
আমি আলামিন ইসলাম আছি আপনাদের সাথে। আমার ইউজার নেমঃ@alamin-islam। আমি বাঙালি, বাংলাদেশের একজন নাগরিক।আশা করি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এর সকল সদস্যবৃন্দ আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাল আছেন। আমি ও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
এখন সিজন পরিবর্তনের সময়। দিনের বেলাতে গরম পড়লেও রাত এবং সকালের দিকে হালকা হালকা ঠান্ডা পড়ছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই পুরোপুরি শীতের আবহাওয়া চলে আসবে। শীতকালটা আমার কাছে বেশ ভালই লাগে, কারণ এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা পুলি খাওয়া যায় এবং শীত প্রধান সবজিগুলোর স্বাদ নেওয়া যায়। তবে যাই হোক, এই ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর ঠান্ডা প্রায় অনেকেরই লেগে থাকে। আশেপাশের অনেক মানুষই এ সময় অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তবে আল্লাহ তায়ালার রহমতে আমি ভালো আছি এবং অসুস্থদের জন্য সুস্থতা কামনা করছি।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর দেখতে একটি বোয়াল মাছের অরিগামি তৈরি করেছি। আশা করি, আপনাদের কাছে বোয়াল মাছের এই অরিগামিটি খুব ভালো লাগবে। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে শুরু করা যাক রঙিন কাগজ দিয়ে বোয়াল মাছ তৈরির প্রস্তুত প্রণালী:-
উপকরণ সমূহ:
১.রঙিন কাগজ
২.সিজার
৩.আঠা
৪.পেন্সিল
ধাপ-০১
প্রথমে চারিদিক সমান করে একটি কাগজ কেটে নিয়েছি।
ধাপ-০২
এরপর কাগজটি ত্রিভুজের মতো করে ভাজ করে নিয়েছি।
ধাপ-০৩
এরপর কাগজটি ছবিতে দেখানো উপায়ে এভাবে আরো এক ভাঁজ দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-০৪
এরপর কাগজটির শেষ ভাজ দেওয়া অংশটি খুলে নিয়েছি।
ধাপ-০৫
এরপর পেন্সিল দিয়ে কাগজটিতে এভাবে এঁকে নিয়েছি।
ধাপ-০৬
এরপর পেন্সিলের দাগ বরাবর কাগজটি কেটে নিয়েছি।
ধাপ-০৭
এরপর কেটে নেওয়া কাগজটির মাঝখানের অংশে সিজার দিয়ে লম্বালম্বি ভাবে নির্দিষ্ট মাপে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-০৮
এরপর সম্পূর্ণ কাগজের ভাজ করা অংশগুলো খুলে নিয়েছি।
ধাপ-০৯
এরপর ছবিতে দেখানো উপায়ে কাগজটির নির্দিষ্ট অংশে আঠা লাগিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-১০
এরপর আঠা লাগানো অংশটি বিপরীত অংশের সাথে জুড়ে বোয়াল মাছের বডির অংশ তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-১১
এরপর মাছের কাঁটা বানানোর জন্য মাপমতো একটি কাগজ কেটে নিয়েছি।
ধাপ-১২
এরপর এভাবে করে কাগজের উপর মাছের কাঁটা এঁকে নিয়েছি।
ধাপ-১৩
এরপর সিজার দিয়ে পেন্সিলের দাগ বরাবর কেটে মাছের কাঁটা তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-১৪
এরপর আঠা দিয়ে মাছের বডির অংশের সাথে কাগজের তৈরি কাটার অংশ লাগিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-১৫
এরপর কাগজ দিয়ে কেটে মাছের কাল্পনিক হাত তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-১৬
এরপর কালো রঙের রঙিন কাগজ দিয়ে মাছের চোখ ও সুর তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-১৭
এরপর আঠা দিয়ে এই সবগুলো অংশ মাছের বডির অংশের সাথে জুড়ে রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরিকৃত বোয়াল মাছের অরিগামি তৈরি করে নিয়েছি।
ফলাফল
| Device | realme 8 |
|---|---|
| Camera | 64 mp |
| Photo by | Al-Amin |
"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির সকল সদস্যবৃন্দকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ, সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। আজকের মতো আপনাদের মাঝ থেকে বিদায় নিচ্ছি, আগামীকাল আবারো নিত্য নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।
আমি@Al-Amin ইসলাম , আমি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আমার ইচ্ছা আমি দেশ ও দশের জন্য ভবিষ্যতে কিছু করতে চাই, আমার গর্ব হয় নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে। আমি গর্বিত বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে। বাংলাদেশ ছয় ঋতুর দেশ, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ, বাংলাদেশের মানুষ মাছে ভাতে বাঙালি, প্রকৃতির রূপ, রস ,গন্ধ সবকিছুই আমার অহংকার।
প্রয়োজনে পাশে আছি আমার সাথে যোগাযোগ করুন:-
ফেসবুক || টুইটার || ইউটিউব || ডিস্কোড
অনেক দিন পর আপনার চমৎকার পোস্ট দেখতে পেলাম। রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরিকৃত বোয়াল মাছটি দেখতে অসাধারণ হয়েছে। এধরনের ডাই প্রজেক্ট গুলো করতে ভীষণ ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
রঙিন কাগজ দিয়ে বোয়াল মাছটি চমৎকার হয়েছে তবে এটি কিছুটা চিংড়ি মাছের মত লাগছে। তবে কালার কম্বিনেশন এবং কাজের প্রশংসা করতে হয়। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/Alamini15050207/status/1594297144462442497?t=jQlQiYPE8o9JCggoNFHMeg&s=19
আসলে মৌসুম পরিবর্তনের সময় এখন অনেক রোগব্যাধি দেখা দিচ্ছে বিশেষ করে ঠান্ডা এবং জ্বর।বিশেষ করে সকাল বিকাল অনেক সতর্কতার সাথে থাকতে হবে ।।
পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে ঠিকই বলেছেন আপনি এ সময়। আর বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের সবজি তো রয়েছেই।
রঙিন কাগজ দিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি বোয়াল মাছের অরিগামী প্রস্তুত করেছেন। দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
বাহ! মাছটা তো দারুন লাগছে দেখতে। আসলে শীত প্রায় চলেই এসেছে। বিভিন্ন ধরনের পিঠাপুলি খাওয়ার যেন ধুম পড়ে এই শীতের ঋতুতে। আপনি খুব সুন্দর একটি মাছ তৈরি করেছেন ভাইয়া। তৈরি করার প্রক্রিয়াটা কিছুটা জটিল মনে হচ্ছে। আসলে কাগজের এই ধরনের কাজগুলো করতে অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন। বোয়াল মাছটি দেখতে দারুন লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি ডাই প্রজেক্ট শেয়ার করার জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরিকৃত বোয়াল মাছ টা আসলেই চমৎকার লাগছে। রঙিন কাগজ এর কালার এর জন্য আরো বেশি সুন্দর লাগছে।দেখে মনে হচ্ছে সত্যি সত্যি বোয়াল মাছ 🐟 দেখতে পাচ্ছি। আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে যে কোন জিনিস তৈরি করলে বেশ ভালো লাগে। ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত।
আপনার রঙিন কাগজ দিয়ে বোয়াল মাছ তৈরি করার প্রক্রিয়াটা দারুন ছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আর আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এই রঙিন কাগজ দিয়ে বোয়াল মাছ তৈরি করার প্রক্রিয়াটা শেয়ার করার জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি বোয়াল মাছ বানিয়েছেন। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম চিংড়ি মাছ। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার তৈরীকৃত বোয়াল মাছটি। প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন।
রঙ্গিন কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে আপনি বোয়াল মাছ তৈরি করেছেন।ধারণাটা অনেক সুন্দর ছিল। দেখতে কিছুটা চিংড়ি মাছের মতো লাগছে। মাছের কালারটিও অনেক দারুন লাগছে।রঙিন কাগজ দিয়ে বোয়াল মাছ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনার মাছ খুব সুন্দর হয়েছে। তবে এটা কি করে বোয়াল মাছ হয় আমি জানি না। আর বোয়াল মাছের দুটো দাঁড়া আর এত পা হয় আমার সেটা জানা ছিল না। যাই হোক আপনি কষ্ট করে এই মাছ আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ।