Better Life With Steem || The Diary game || 30th December 2023|

in Incredible India8 months ago
IMG_20231230_165152.jpg

Hello Friends,
Good Evening, my dear honourable steemian friends, I hope all of you are well and healthy. I am also fine by the Almighty. Now I will share with you my daily activities. Hopefully, you will get to know about my lifestyle through the diary. So, let's start the main topic.

Morning

এখন সন্ধ্যা ছয়টা, আমি আমার দিনলিপি লিখতে বসেছি। যাইহোক, আমার দিনটি শুরু হয়েছিল সকাল ৯.১২ তে। আমি ঘুম থেকে জেগে উঠেই মোবাইল ডাটা অন করেছিলাম। তারপর হুড়হুড় করে যেন তখনি সব নোটিফিকেশন আসছিল। আমি যতোক্ষণ মোবাইল ডাটা বন্ধ রেখেছিলাম, তখনকার নোটিফিকেশন। কিন্তু মোবাইল ডাটা বন্ধ এবং আমি ঘুম থাকার জন্য ঐ নোটিফিকেশন গুলো দেখতে পারিনি।

IMG_20231230_214214.jpg

তারপর বিছানা ছেড়ে উঠেই আমি নিজেকে পরিষ্কার করে ওষুধ খেয়েছিলাম। একটু ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম কিন্তু খুব কাছে ও দেখা যাচ্ছিল না কুয়াশার জন্য। মা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেই রান্না করেছিল তাই ডাকতেই আমি ভাত খেতে বসেছিলাম। আমি দেখলাম মা সকালে ডিম ভর্তা করেছিল এবং সরিষার তেল দিয়ে ইতিমধ্যে খাওয়ার জন্য ও প্রস্তুত। ওহ! সেই মজা হয়েছিল, গরম ভাতের সাথে ডিম ভর্তা খেতে।

Noon

IMG20231230102559.jpg

ধান থেকে ছোট খড় পরিষ্কার করা

আপনি শুধু গ্রাম বাংলাতেই এই দৃশ্য গুলো দেখার সুযোগ পেতে পারেন কিন্তু এটাও বিরল। কারণ আমরা এখন আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করি , যার ফলে এই চিত্র গুলো সচরাচর দেখা যায় না।

আমি এই ছবিটি ধারন করেছি আমার নিজ মোবাইল ক্যামেরার সাহায্যে। তখন প্রায় দুপুর ১২.৩০ ছিল সময় কিন্তু কুয়াশাচ্ছন্ন। আবার সকাল থেকেই উত্তরে বাতাস বইছিল, তাই প্রচুর শীত। কিন্তু দেখুন চিত্রে কর্মরত ৯০ বছর বয়সী আমার সেঝো ঠাকুরদা শুধুমাত্র পাতলা একটি পোশাক পরিধান করেছিল।

ধানের কাজ করার সময় শীত অনুভূত হয় না। এটা আমিও জানি, হয়তো এখন আর পূর্বের মতো শীতকালীন ধান হয় না কিন্তু আমিও এই কৃষক পরিবারের সন্তান তাই ছোট বেলায় গরু দিয়ে ধান মাড়াইয়ের কাজে আমিও সাহায্য করতাম। ঐ সময় থেকেই আমি এই বিষয়টির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি।

📸এখন আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন যে আমি কিভাবে এই ছবিটি তুলেছি?

➡️কারণ আপনার দেখবেন যদি কোনো ৭০/৮০ বছর বয়সী মানুষ আপনার বাড়ির কাছাকাছি থাকে, হাড় কাঁপানো শীতে ও সকালে পায়ে জুতা নেই। এরকমটাই ছিল আমাদের পূর্ব পুরুষেরা। আমরা যে ভাত খাই, এইটা এক সময় এভাবেই প্রক্রিয়াজাত করা হতো। যেখানে ছিল না কোনো উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার। তখনকার মানুষেরা কায়িকশ্রমের মাধ্যমেই এই খাদ্য শস্যের চাষ করতো।

➡️এই কৃষকের কষ্ট করা ফসলের জন্যই আমরা তিন বেলা আহার করতে পারি। কিন্তু আমাদের কাছে কৃষকদের মূল্য আছে কি?

➡️এই কৃষকেরাই সবচাইতে কষ্টে জীবন যাপন করে। কারণ তাঁরা তাঁদের ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না।

বর্তমান কৃষক সমাজের অবস্থান:-
➡️পদ্মা সেতুর জন্য কৃষকদের অনেক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমি নিজেও একটি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির কমিটির কোষাধ্যক্ষ হিসেবে রয়েছি। বিগত বছর আমাদের উদ্যোগে কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সরাসরি রাজধানীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। যার ফলে আমার পাড়ার ২০/২৫টি পরিবার এখন অনেক সচ্ছল।

Afternoon

IMG_20231230_232556.jpg

তারপর স্নান কারে ভাত খেতে বসেছিলাম তখন প্রায় বিকেল ৩.১০ বেজেছিল। আমি, বাবা ও মা দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম। আমি কাঁচা মরিচের রান্না বেশ পছন্দ করি। আমার মা কৈ মাছ রান্না করেছিল যেটা আমাদের পুকুর থেকেই বাবা ধরে নিয়ে এসেছিল।

IMG_20231230_153902.jpg

আমি একটু কাকুর কক্ষে গিয়েছিলাম তখন কাকু ল্যাপটপ চার্জে বসাতে বলেছিল। আমি চার্জে বসিয়ে WiFi Connect করে স্টিমিটে প্রবেশ করেছিলাম। আপনারা আমার এই ছবিটি জুম করলেই দেখবেন যে আমি আমাদের শ্রদ্ধেয়া দিদির একটি পোস্টের শেষাংশের দিকে ছিলাম। শ্রদ্ধেয়া দিদির এই পোস্টিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ছিল, আমি সেটি আবারো দেখছিলাম।

IMG_20231230_233545.jpg

অন্যদিকে আমার কাজিন আমাকে চিপসের লোভ দেখাচ্ছিল কিন্তু ঐটা আমার হাতের নাগালে ছিল না। তাই আমি ইচ্ছা করেই ঐদিকে নজর দিই নি। কিন্তু যখনই দেখলাম ধরতে পারবো আমি রীতিমতো হাতিয়ে নিয়েছিলাম। তারপর ল্যাপটপ বন্ধ করে সবাই মিলে চিপস খেয়েছিলাম।

এভাবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমার আজকের লেখাটি এখানেই সমাপ্ত করছি।

END

Sort:  
 8 months ago 

সোয়া নয়টার দিকে আপনি ঘুম থেকে উঠলেন।সকালের নাস্তায় ভাত,ডিম ভর্তা খেলেন। ডিম ভর্তার স্বাদ সত্যিই অনেক মজার।

আপনার সেজো ঠাকুরদা সত্যিই অনেক পরিশ্রমী ।এই বয়সেও দিব্যি কাজ করে যাচ্ছেন। আসলে উনি কাজ করেন বিধায় সুস্থ আছেন। আর যখন কাজকর্ম করা হয় তখন আসলে শীত এতটা বেশি লাগে না।

কৃষকের দুরবস্থা নিয়ে আপনি যথেষ্ট চিন্তিত এবং কিভাবে তাদের জীবন যাপনের মান উন্নয়ন করা যায় এটি আপনাকে ভাবায়।

দুপুরের খাবারে আপনি নিজেদের পুকুরের তোলা কৈ মাছ ও বেগুন তরকারি দিয়ে সারলেন।

এরপর আপনি ল্যাপটপ চার্জে দিয়ে ওয়াইফাই অন করে দিদির পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ছিলেন। দিদি পোস্ট পড়লে অনেক কিছুই শেখা যায়।

আপনার কাজিন আপনাকে চিপসের লোভ দেখাচ্ছিল এবং সুযোগ পেয়ে আপনি ঠিকই চিপস বাগিয়ে নিলেন।

সব মিলিয়ে আপনি বেশ ব্যস্ত একটি দিন পার করলেন। আপনার ব্যস্ত দিনলিপি পড়লাম।ভালো লাগলো পড়ে।

 8 months ago 

হ্যাঁ আপু, উনি খুব পরিশ্রমী। আর পরিশ্রমের জন্যই এখনো সুস্থ্য আছেন অন্যদের তুলনায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।

Loading...
 8 months ago 

ডাটা অন করার সাথে সাথে নোটিফিকেশনের বন্যা বয়ে যায়। শীতের সকালে ডিম ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খেতে খুবই মজা হয়।
আপনার ঠাকুর্দাকে দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পরে গেল।এখন এমন মানুষ দেখতে পাওয়া যায় না।এই মানুষগুলো হারিয়ে যাচ্ছে।
যারা ক্ষেতে খামারে কাজ করে তাদের শরীর এমনিতেই গরম থাকে।আপনার লেখা আর ছবিতে গ্রামের চিত্র ফুটে ওঠে এটা ভালো লাগে।
ভালো থাকবেন সবসময়।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

সঠিক বলেছেন নোটিফিকেশনের কথাটি। হুম এতো বয়সী মানুষের সংখ্যা খুবই কম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য প্রদান করার জন্য। পাশাপাশি আমার সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগের সাথে পরিদর্শন করার জন্য।

 8 months ago 

এই কনকনে শীতে গরম ভাতে সরিষা তেল দিয়ে ডিম ভর্তা খেতে আমারও খুব ভালো লাগে সাথে থাকে কাঁচা মরিচ এবং কাঁচা পেঁয়াজ তবে তো খাবারটা খুব জমে যায়। যেহেতু আপনি গ্রামে থাকেন তাই শীতের সুন্দর সে প্রকৃতিটা উপভোগ করতে পারছেন ।কথায় আছে আগের দিনের মানুষ যেরকম বুদ্ধিমান ছিল তেমনি তারা শক্তিমানও ছিল ।তাই এই কনকনে শীতেও ৯০ বছর বয়সী সেঝো ঠাকুরদা শীতে কাঁপছেন না সে তার কাজ দিব্যি করে যাচ্ছেন ।

আমরা অল্প কাজ করলেই হাপিয়ে যাই ক্লান্ত হয়ে যাই ।তারা তখন অতটা ক্লান্ত হত না কারণ তাদের খাবার দাবার খুবই ভালো ছিল আর বর্তমান সময়ে সকল খাবারের যে ভেজাল তাতে আমাদের শক্তি আসবে কোথা থেকে ।

আধুনিক প্রযুক্তির জন্য আমরা অনেক এগিয়ে গেছি আবার অলস হয়ে গেছি ।আগের দিনে শুনতাম ঠাকুরমার মুখে তারা ধান ঢেঁকিতে ভেঙে চাল বানিয়ে তারপর রান্না করতেন ।এখন তো আমরা মিনিকেট চালই কিনতে পারছি । আপনাদের নিজেদের পুকুরের মাছ খেতে পারছেন, খেতে ধান থেকে চাল করে নিতে পারছেন ।আসলে আমার মনে হচ্ছে আপনারা সবকিছুই পিওর জিনিস পাচ্ছেন ।

আপনার দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার আপনাকে জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

 8 months ago 

আমরা অল্প কাজ করলেই হাপিয়ে যাই ক্লান্ত হয়ে যাই ।তারা তখন অতটা ক্লান্ত হত না কারণ তাদের খাবার দাবার খুবই ভালো ছিল আর বর্তমান সময়ে সকল খাবারের যে ভেজাল তাতে আমাদের শক্তি আসবে কোথা থেকে ।

  • আপনার এই বাক্যদ্বয়ের সাথে আমি একদমই সহমত হতে পারলাম না। কারণ ২৫/৩০ বছর আগেও মানুষ খাদ্যাভাবে কষ্ট পেতো, কিন্তু এখন সবার ঘরে খাবার আছে। তাছাড়া আমরা পারিনা একটাই কারণ যে শৈশব থেকেই আমরা সৌখিন বা অলস প্রকৃতির। আর আমার এই ঠাকুরদা পরিশ্রম করতে অভ্যস্ত তাই তাঁর জন্য এটাই উত্তম। আপনি বা আমি এক মাস নিয়মিত যথই দুই ঘণ্টা শারীরিক পরিশ্রম করি , ত হলে পরের মাসে আরো বেশি সময় ধরে পরিশ্রম করতে পারবো। অনুশীলন ও অভ্যাসটাই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। ধন্যবাদ।

TEAM 1

Congratulations! This post has been upvoted through steemcurator04. We support quality posts , good comments anywhere and any tags.
Curated by : @o1eh



 8 months ago 

@o1eh,

Thank you so much for your encouraging support 🙏. It's my pleasure.

  • গরম গরম ভাতের সাথে ডিম ভর্তা খেতে কার না ভালো লাগে। আপনার সেঝো ঠাকুরদা এখনো যথেষ্ট ফিট রয়েছেন। যদিও আপনি বলেছেন যে ধানের কাজ করার সময় শীত অনুভূত হয় না তবে আমার মনে হয় ওই জায়গায় আমি থাকলে আমার দাঁতকপাটি লেগে যেত।

  • কাঁচালঙ্কা দিয়ে পুকুরের টাটকা কৈ মাছের ঝোল এগুলো আমাদের মত কোলকাতার মানুষদের কাছে দিবাস্বপ্ন মাত্র।

  • আপনাকে আমি নতুন বছরের অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা জানাই। নতুন বছরের প্রত্যেকটা দিন আপনার খুব ভালোভাবে কাটুক।

 8 months ago 

যদিও আপনি বলেছেন যে ধানের কাজ করার সময় শীত অনুভূত হয় না তবে আমার মনে হয় ওই জায়গায় আমি থাকলে আমার দাঁতকপাটি লেগে যেত।

  • একদমই না, এটা আপনার ভুল ধারনা ‌। ধানের কাজ শুরু করলেই আপনার শরীর আপনা-আপনি গরম হয়ে যাবে।

  • হ্যাঁ, শহরে যদিও টাকার বিনিময়ে সব কিছুই পাওয়া যায় কিন্তু গ্রামের মতো খাঁটি ও নির্ভেজাল দ্রব্য সামগ্রী, মাছ ও সবজি ইত্যাদি পাওয়া সম্ভব নয়।

একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এখান থেকে বেশ কয়েকদিন আগে আমাদের এখানে ধানের আমের শেষ হয়ে গেছে। আমরাও এভাবে ধান থেকে খড় আলাদা করতাম। ও তো এখন করি না ধানের ধুলাতে প্রচুর এলার্জিএজন্য একটু সাবধানে থাকে । দুপুরে স্নান করে আপনি খেয়ে নিলেন। নিজেদের পুকুরের থেকে মারা কৈ মাছ ও বেগুন তরকারি দিয়ে খেলেন। সব মিলিয়ে আপনি বেশ ব্যস্ত একটি দিন পার করলেন। আপনার ব্যস্ত দিনলিপি পড়লাম।ভালো লাগলো পড়ে।

 8 months ago 

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। পাশাপাশি আমার সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগের সাথে পরিদর্শন করার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

 8 months ago 

ধান থেকে ছোট খড় পরিষ্কার করা এই পদ্ধতিটা অনেক কষ্টের আগে যখন আমি বাড়িতে ছিলাম আমাদের ধান সবগুলোই ঠিক একই পদ্ধতিতে আমরা পরিষ্কার করতাম এখনো পর্যন্ত আমরা এভাবেই পরিষ্কার করি কেননা আধুনিক প্রযুক্তির একটি মেশিন এর মূল্য অনেক তাই কষ্ট হলেও এটাই আমাদের কাছে সহজ পদ্ধতি।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের দিনলিপি আমাদের কাছে শেয়ার করার জন্য ।

 8 months ago 

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। পাশাপাশি আমার সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগের সাথে পরিদর্শন করার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

 8 months ago 

আসলেই সত্যি ওই সময়ের কাজগুলো ছিল, অসাধারণ আর সেই সাথে খাবারগুলো ছিল একেবারেই টাটকা। যার কারণে এখনো তাদের শরীরে অনেক বেশি শক্তি আছে। তারা এখনো অনেক কাজ করতে পারে। অথচ আমরা একটু কাজ করলে অনেকটা বেশি হাঁপিয়ে যাই।

খুব মন দিয়ে আপনি ম্যাম এর পোস্ট পরিদর্শন করছেন। আসলে ম্যাম পোস্টে এমন কিছু দেখে নির্দেশনা আমাদেরকে দিয়ে থাকে। যেগুলো আমাদের প্রত্যেককে মেনে চলতে হয়। আপনার দিনটা বেশ আনন্দে কেটে গেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 59185.02
ETH 2522.04
USDT 1.00
SBD 2.47