Better Life With Steem || The Diary Game || 2nd January 2024.

in Incredible India8 months ago
আসসালামু আলাইকুম

বাসায় মেহমান আসায় প্রতিটি দিন অনেক ব্যস্তার মধ্যে দিয়েই কাটছে। সারাদিন ব্যস্ত থাকার কারণে রাতের বেলা একদম অনেক ক্লান্ত বোধ হয়,কিছুই করতে ইচ্ছে করে না,কিন্তু একটা তাড়না মনে থাকেই যে কমিউনিটিতে পোস্ট করতেই হবে।

1000007697.jpg

সকাল
1000007616.jpg

আজ সকালে যেমন ছিলো শীতের প্রকোপ তেমনি ছিল কুয়াশা। ঘড়িতে দেখা যাচ্ছে যে সকাল ৮ টা কিন্তু দেখতে মনে হচ্ছে ভোর ৬টা।ঘুম থেকে উঠে কোনো রকমে ফ্রেশ হয়ে,যেই বারান্দার দরজাটা খুলেছি মনে হচ্ছিলো যে আমি পুরো বরফ হয়ে যাচ্ছি ঠান্ডা বাতাসে।আর এই ঠান্ডার মধ্যে আজকে থেকে মেয়ের স্কুল শুরু হয়েছে।
মেয়েকে অনেক সময় ধরে ডাকলাম কিন্তু সে উঠতেই চাচ্ছিল না।এরপরে মেয়েকে রেডি করে স্কুলে দিয়ে আমি আর আসার সময় হোটেল থেকে পরোটা কিনে আনি,কারণ সকালে আম্মু ভাত রান্না করেছিল কিন্তু ভাত খেলে শীত একদম চেপে বসে তাই পরোটা কিনে আনি।

1000007610.jpg

বাসায় এসে চা বানিয়ে সকালের নাস্তা করে নেই। এরপরে ঘরটা একটু গুছিয়ে নেই এবং রান্নার জন্য সব কিছু গুছাতে শুরু করি।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

দুপুর

এদিকে আম্মু কিছু কেনা কাটা করতে মার্কেট এ যান।আর আমার রান্না ঘরে আজকে যেতেই ইচ্ছে করছিল না,কারণ বেশি সময় দাড়িয়ে থাকলে খুবই কষ্ট হয় মাজা ব্যাথার কারণে।

অসুস্থতা যেন আমার পরিবারের পিছুই ছাড়ছে না।একটার পর একটা লেগেই আছে সবার।
চাচি দুপুরের রান্না করতে শুরু করে আর আমি ছোট মেয়েটাকে একটু খাবার খাইয়ে দেই,ডাইরিয়ার পর থেকে সে কিছুই খেতে চাচ্ছে না,একদম অরুচি হয়ে গিয়েছে। আজকে শীত বেশি হওয়ার কারণে দুই মেয়ের একজন কে ও গোসল করালাম না। আর আমি গোসল ছাড়া একটা দিনও থাকতে পারি না।তাই গোসল করে বারান্দায় গিয়ে বসি।

1000007621.jpg

এসময় আম্মু কল দিয়ে বলে দুপুরের খাবার খেয়ে রেডি হয়ে থাকতে মিনি চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাবে ঘুড়তে।
ছোট মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে আমরা দুপুরের খাবার খেয়ে নেই।খাবার খেয়ে একটু কম্বল এর নিচে গিয়ে শুয়েছি না কেন সবাই ঘুমিয়ে গিয়েছি।এটার একটা কারণ আছে,আমার চাচীর পাশে গিয়ে একটু শুয়ে বসে থাকলে সে মাথায় হাত বোলাতে থাকে আর তাতেই আরামের ঘুম চলে আসে।এরই মধ্যে আম্মু চলে আসে আর আমরা কেউ রেডি হই নি দেখে বকতে শুরু করে,কারণ শীতের দিনে এমনিতেই বেলা ছোট তার ওপর দেরি করে রওনা দিলে যেতে যেতেই সন্ধ্যা হয়ে যাবে।আমরা দ্রুত রেডি হয়ে সাড়ে তিনটার দিকে রওনা দেই।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

বিকাল থেকে সন্ধ্যা
1000007638.jpg
1000007624.jpg

সাভার মিনি চিড়িয়াখানা এখন আগের থেকে অনেকটাই উন্নত হয়েছে, বাচ্চারা অনেক মজা পেয়েছিলো, বিশেষ করে আমার ছোট মেয়ে,সে বাদর দেখে পাখি পাখি বলে ডাকছিল এবং বাদরের কলা খাওয়া দেখে অনেক মজা পাচ্ছিল। চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা হলে কিছু ছবি উঠাই আমরা।এরপরে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে নিউ মার্কেট এ আসি।

1000007649.jpg
1000007674.jpg

নিউ মার্কেট এ এসে আমার চাচি এবং চাচাতো বোনের জন্য কিছু কেনা কাটা করি।আজকে অনেক হাঁটা হাঁটি করা হয়েছে তাই মার্কেটে এসে আমি মনে হচ্ছিল আর পা উঠাতে পারছিলাম না।যার জন্য তাড়াতাড়ি করে বাসায় চলে আসি।

1000007691.jpg

বাসায় এসে ওদের নাস্তার জন্য পুরি কিনে এনে দেই আর আমি তিলের খাজা খাই।এই তিলের খাজা আমার মামা অর্ডার দিয়ে বানিয়ে পাঠিয়েছিলেন।

1000007692.jpg

আজকে আমাদের ক্যাপ্টেন দিদি টুর্নামেন্ট এ বিজয়ী হওয়ার কারণে ডিসকোর্ড সবাই কে ডেকেছিলেন, তাই সময়ের আগে রাতের খাওয়া দাওয়া করে ডিসকোর্ড এ জয়েন হই এবং সবার সাথে কথা বলে অনেক আনন্দ হচ্ছিল। মিটিং শেষে ছোট মেয়েকে ঘুম পারিয়ে দেই এবং আমি ঔষধ খেয়ে নিয়ে, এবং সব হাতের কাজ গুলো শেষ করে আজকের পোস্ট লিখা শুরু করেছি।

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbayD2jR3CWqjkJ.png

আমার পোস্ট পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ
Sort:  
 8 months ago 

বাসায় মেহমান থাকলে ব্যস্ততার মধ্যে কেটে যেতে হয়। বর্তমান সময়ে আমার বাসায় অনেক পরিমানে মেহমান কিন্তু তার পরেও সব কাজ নিজেকে এক হাতেই সামলাতে হচ্ছে। যাইহোক সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই এক কাপ চা। শীতের সময় এটা হল মনে হয় আর কিছুই লাগে না। সেই সাথে বিকেল বেলায় ঘুরতে গিয়েছেন চিড়িয়া খানাটা অনেক বেশি সুন্দর মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ব্যস্তময় এবং আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।

Loading...
 8 months ago 

বাসায় মেহমান থাকলে কাজ অনেক বেড়ে যায়। আর এর প্রভাব পরে শরীর আর মনে দুই জায়গাতেই।
বাচচাদের এই শীতের মাঝে ঘুম থেকে তুলে স্কুলে পাঠানো আর যুদ্ধ করা একই জিনিস। স্কুল থেকে আসার সময় আপনি পরোটা নিয়ে এসেছিলেন।
সাভার মিনি চিড়িয়াখানায় যাবার শখ ছিলো আমার বিয়ের আগে। কিন্তু কখনো যাওয়া হয় নাই। কেম জানি সবসময় মনে হতো যাওয়ার রাস্তা খুব সুন্দর। ইদানীং অবশ্য কোন চিড়িয়াখানায়ই আর যাওয়ার ইচ্ছে নাই। কারন বন্দী জীব ভালো লাগে না আমার কাছে।
আপনার দিনলিপি পড়ে খুব ভালো লাগলো।ভালো থাকবেন সবসময়।

Posted using SteemPro Mobile

 8 months ago 

আপু সাভারে চিড়িয়াখানার নাম ও যেমন মিনি চিড়িয়াখানা, তাই নাম অনুযায়ী সত্যিই অনেক ছোট একটা চিড়িয়াখানা, সম্পূর্ণ চিড়িয়াখানাটা ঘুরতে মাত্র ১৫ মিনিট মতো সময় লাগবে।😀

 8 months ago 

বছরের শুরুতেই এত পরিমাণ ঠান্ডা পড়ছে যে মানুষগুলো কুয়াশার কারণে বরফ হয়ে যাচ্ছে। পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলে মন মেজাজ কিছুই ভালো লাগে না তার ওপর যদি নিজেরও শরীর খারাপ হয়। বাসায় কোন মেহমান আসলে কাজে চাপ অনেকটাই বেড়ে যায় আর তার ভিতরে শরীর খারাপ থাকে। আর সবাই মিলে কোন জায়গায় ঘুরতে যা কিন্তু মজাটাই অন্যরকম। আপনারা সাবার মিনিচিড়িয়াখানায় সকলে ঘুরতে গিয়েছিলেন এবং আপনার বাচ্চার অনেক আনন্দ পেয়েছে। থ্যাংক ইউ আপনার দিনলিপি পরে খুব ভালো লাগলো।

 8 months ago 

জি আপু বাচ্চারা এই ধরনের জায়গায় গেলে অনেক আনন্দ পায়।আর কোথাও ঘুরতে গেলে নিজেরও মনটা একটু ভালো হয় তাই মাঝে মাঝে কোথাও না কেথাও ঘুরতে যাওয়ার চেষ্টা করি।

 8 months ago 

ঠিকই বলেছেন বাচ্চারা সব সময় ঘর বন্দি হয়ে থাকে। এবং নিজেকেও তেমন সংসারে কাজ ছাড়া তেমন একটা সময় দেওয়া হয় না । তাই যদি এরকম মাঝে মাঝে পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে যা হয় তাহলে তো খুব ভালো লাগে। আপনারা সকলে খুব খুশি ছিলেন আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা গেছে। থ্যাংক ইউ খুব সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করার জন্য এবং আমাদের সাথে সম্পূর্ণ রূপে শেয়ার করেছেন ।

 8 months ago 

আপনার বাসায় মেহমান তাই আপনার খুব ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটছে। এদিকে আপনার মেয়েটি ও পূর্ণরূপে সুস্থ হয়নি। তবে আপনার মা চমৎকার কাজ করলেন। আপনাদেরকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে নিয়ে গেলেন। সেখানে আপনার ছোট মেয়ে খুব এনজয় করেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। আপনার ছবি প্রথমে দেখেই মনে হল যেন কোন স্কুল
ছাত্রীর ছবি। সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো।

 8 months ago 

খুব সুন্দর একটি দিন পার করেছেন যে আপনার জন্য অসুস্থ সে ক্ষেত্রে ওর জন্য খুব ভালো কাজ হয়েছে।
বাচ্চার মন ভালো করা জন্য নিয়ে গেছিলেন চিড়িয়াখানাতে এবং সেখানে গিয়ে অনেক আনন্দ করেছে। মূলত বাচ্চারা একটু বাইরে যেতে পারলেই যে কি আনন্দ বোধ করে। সংসার সবকিছু সামনে আপনি বাচ্চাদের থেকে খুব সুন্দর নজর দিচ্ছেন এটা খুবই একটা ভালো কাজ ধন্যবাদ আপনাকে।

সত্যি আমাদের কমিউনিটিতে সারাদিন কোনো পোস্ট না করলে কেমন একটা খালি খালি লাগে। এটা একদম সঠিক বলেছেন যে ভাত খেলে শীত বেশী লাগে। তিলের খাজা বহু বছর হয়ে গেলো খাইনি। আপনার পোস্ট করা ছবি দেখে মনে পড়ে গেলো।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.16
JST 0.032
BTC 59241.40
ETH 2525.12
USDT 1.00
SBD 2.47