Sorry for mistake
Sorry for mistake
চলুন যাওয়া যাক মূল পর্ব
অতিরিক্ত কাজ।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা এবং সহপাঠীরা আপনারা জানেন আমি লোহার জগতের সাথে সম্পৃক্ত। আমার কর্মজীবনের শুরুটাই ছিল লোহার জগত দিয়ে এবং কি এখনো আমি লোহার জগতি কর্মকর্তা আছি। তবে আমার মিলের উৎপাদনকৃত কাঁচামাল হচ্ছে রড। কিন্তু কোম্পানির ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে গত এক সপ্তাহে প্রোডাকশন বন্ধ ছিল। তবুও ছুটি ভাগ্যে জুটলো না, কাজ করে যেতেই হলো। আমাদের যদি মিল বন্ধ থাকে তখন কাজের পরিমাণটা একটু বেড়ে যায়। অতিরিক্ত কাজ যদিও না হয় কিন্তু অতিরিক্ত কাজগুলো প্রতিনিয়ত করে নিতে হয়।
অতিরিক্ত কাজের কিছু ধরন আছে, যেমন ডিউটির পরে আমরা যে মেন্টেনিজগুলো করি সেগুলো অতিরিক্ত কাজের মধ্যে পড়ে। আবার মিল বন্ধ থাকলে মডিফাইয়ের কিছু কাজ করতে হয় সেগুলো অতিরিক্ত কাজ। আবার মিল বন্ধ থাকলে আরো বিভিন্ন কাজগুলো করি সেগুলো আমাদের অতিরিক্ত কাজই হয়। যেমন এই বন্ধের মধ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে হয়ে। আমার মিলের অনেকটা রং নষ্ট হয়ে গিয়েছে, তাই অফিসে কথা বলে মিলে রংয়ের কাজটা সম্পন্ন করে নিলাম। তাই অনেকটা নতুনের মত হয়ে গিয়েছে। চিন্তা করলাম আমার বন্ধুদের সাথে ভাগাভাগি করে নেই।
ওভারটাইম বলেন কিংবা অতিরিক্ত কাজ বলেন খুবই বিরক্তিকর একটা সময়। আর সারাদিনে যে কাজ হয় না কিন্তু অতিরিক্ত টাইমে ওই কাজ এর বেশি হয়। ব্যাপারটা সম্পূর্ণই ভিন্ন যত বিরক্তি থাকুক না কেন অতিরিক্ত টাইমে কাজটা সম্পন্ন করে নিতে হয়। অতিরিক্ত কাজের একটা সুবিধা আছে। আর সেটা হল অতিরিক্ত যে টাকাটা পাওয়া যায় সেটা অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যভাবে চলার জন্য যোগান দেয়। আমরা প্রত্যেকটা মানুষের ই অতিরিক্ত কিছু খরচ আছে। আর সেই খরচ গুলো যদি হিসেবের টাকার বাইরের টাকা দিয়ে হয় তাহলে তেমন একটা গায়ে লাগে না। ঠিক অতিরিক্ত কাজটা পরিশ্রম করে এ কারণেই করি যেখানে নিজের অতিরিক্ত খরচ ফ্যামিলির অতিরিক্ত খরচ গুলো মোটামুটি কভার করা যায়।
অতিরিক্ত কোন কিছুই যেমন ভালো না। কিন্তু আমাদের অতিরিক্ত কাজ না করলে আবার চলে না। ব্যাপারটা সম্পূর্ণ উল্টো। আমরা ভিন্ন জগতে কাজ করি আর আমাদের সিস্টেমগুলো ভিন্ন। তাই অতিরিক্ত কাজ করলে আমাদের যেমন ফায়দা হয়, তেমনি কোম্পানিও প্রচুর লাভবান হয়। কোম্পানির লাভ হচ্ছে তার মিল বন্ধ হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকেনা। তেমনি আমাদের লাভ হচ্ছে আমরা বাড়তি উপার্জন করতে পারছি।
তাইতো মিলের বন্ধ থাকা অবস্থায় মিলের অতিরিক্ত কাজগুলো সেরে নিলাম এবং কাজের চাপটা অনেকটা কম ছিল। এবং কি এই মিলটাকে সুন্দর করে সাজাতে পেরে নিজের কাছে খুব ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে যেন নতুন একটা মিল বসিয়ে দিলাম। আপনাদের সাথে মনের অনুভূতিগুলো শেয়ার করে নিজের কাছে খুব ভালো লাগছে। আর এই ভালোলাগাটাই হচ্ছে কাজের প্রতি একটা ভালোবাসা। আর ভালোবাসা যেখানে থাকবে না সেখানে কোন কিছুতেই মন বসবে না। কাজ করতে ইচ্ছে করবে না এবং কি কাজে সুন্দর হবে না।
তাই আমাদের সকলের উচিত যে যেখানে থাকি না কেন নিজের কাজগুলো নিজের মনের মত করে নেওয়ার জন্য। সেটা হোক কোম্পানির কিংবা অন্য কারো। তবে কাজটাকে নিজের মনে করে করলেই আলাদা একটা তৃপ্তি পাওয়া যায়। এবং কি সেই তৃপ্তি অনুভূতি গুলো খুবই আনন্দদায়ক হয়।