অজানা গন্তব্যে ঘোরাঘুরি। (পর্ব-২)
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ৩০ শে আগস্ট, শনিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।
বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েটিভিটি পোষ্টের সাথে সাথে আরো নানান বিষয় নিয়ে পোস্ট করতে আমার বেশ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পোস্টের ভিন্নতা আনতে অনেক ধরনের পোস্ট করে থাকি। কিছুদিন আগে আনমনে দুই ভাই বোন ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানকার কিছু মুহূর্ত একটি পর্বে শেয়ার করেছি। আজ বাকি পর্ব শেয়ার করব। সেদিন যেখানে শেষ করেছিলাম আছে এখান থেকে শুরু করব।চলুন তাহলে পোস্টটি করা যাক।
ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। মাঝে মাঝে সময় পেলে আনমনে ঘুরতে যাওয়া হয়। তবে ভাই আসার পরে সেটা বেশি সুবিধা জনক হয়েছে। যখন ইচ্ছা করে তখনই বের হয়ে যেতে পারি। সেদিন তো প্রথম পর্ব অনেক কিছু শেয়ার করেছিলাম। দুজন মিলে বেশ আনমনে নদীর পাড় দিয়ে হাঁটছিলাম। আমার মনে হয় নদী সকলেই পছন্দ করেন। নদীর ধারের শান্ত হওয়া এবং মনোরম প্রকৃতি কেনা পছন্দ করে।
দুজন মিলে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গিয়েছিলাম ঘোড়ার ঘাটে। সেটা একটি নদীর ঘাট। যেখান দিয়ে খেয়া পার হওয়া যায়। যেখানে নৌকা এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে পৌঁছায়। হাঁটতে হাঁটতে দুজন মিলে ওই ঘাটে পৌঁছলাম। ওখানে দুটি ঘাট ছিল। যেখান দিয়ে নৌকাতে যাত্রী উঠানো। প্রথমে একটি ঘাটে গেলাম সেখানে ঘাট ব্যস্ত থাকায় পাশের ঘাটে গেলাম। সেখানে সুন্দর বাশেঁর চটা দিয়ে একটি ঘাট বানানো রয়েছে।
সেখানে গিয়ে আমি পা দুলিলে বসলাম। নদীর ঘাটে এরকম সময় আমি আগে কখনো কাটাইনি। আবহাওয়া টা ছিল ভীষণ সুন্দর। হালকা মেঘলা আর হালকা রোদ।যেটা নদীর ঘাটে বসে থাকার জন্য দারুন সময় অনুভব করেছিল আমাকে। আমি সেখানে একাই বসলাম। আমার ভাই আর বসলো না। সে আমার কয়েকটা ছবি তুলে দিল। খুব ভালো লাগছিল।
নদীর জলে পা ভিজিয়ে এবং দুলিয়ে দুলিয়ে নদীর চারদিকে সৌন্দর্যগুলো দেখছিলাম। তখন মনে হচ্ছিল এখানেই যেন শান্তির আশ্রয়। পরিবেশটা এতটাই ভালো লাগছিল যে বলে বোঝাতে পারবো না। মাঝে মাঝে ঘাটে নৌকা আসছিল। আমি যেটাতে বসেছিলাম তার পাশেরটাতে। আবার সেখান থেকে যাত্রী নিয়ে ওই দূরে পার হচ্ছিল। যেটা দেখতে অসম্ভব ভালো লাগছিল। একটু সন্ধ্যে নামতেই সেটা আরো বেশি ভালো লাগছে না। নদীর কিনারার শান্ত হওয়া যেটা আমাকে পাগল করে দিয়েছিল।
কিছু করছিল ওখানেই বসে থাকি। বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এবং ফটোগ্রাফি করেছিলাম সেখান থেকে। অসম্ভব সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম। তারপর আবার সেখান হাঁটতে হাঁটতে চলে আসি। এরপরে কোথায় গিয়েছিলাম সেটা পরের পর্বে শেয়ার করব। কতক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২০ শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


https://x.com/PurnimaBis34652/status/1962350765521162552?t=EmtVJaUfOOfSFQz6jflZ6w&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1962351431396237579?t=13ud5uWKmGpXayYUWES09g&s=19
0.00 SBD,
0.00 STEEM,
0.00 SP
আসলে আমাদের অনেক সময় অনেক গন্তব্য থাকলেও মাঝে মাঝে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যে কোন ধরনের গন্তব্য থাকে না৷ আর সেই অজানা গন্তব্যে ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা৷ আর আজকে আপনি সেরকম একটি সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন৷ খুব সুন্দর ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে সবকিছু আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷