জেনারেল রাইটিংঃ বদলি জনিত কারণে আমার বিদায় অনুষ্ঠান।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লার রহমতে অনেক ভালো আছি।
পোস্টের হেডলাইন দেখেই হয়তো বুঝে গেছেন পোস্টটি কোন বিষয় নিয়ে হতে চলেছে। আজকে আমি আপনাদের আমার চাকরির বদলি জনিত কারণে বিদায় অনুষ্ঠান নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করতে চলে আসলাম। চলুন তাহলে আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করে ফেলি।
আমি প্রথম ফায়ার সার্ভিসে যোগদান করি ২০১৯ সালের প্রথম দিকে। সেই হিসাবে আমার চাকরির বয়স প্রায় ৬ বছর হতে চলেছে। আমার প্রথম পোস্টিং হয়েছিলো কালীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনে। এখানে প্রায় চার বছর দুই মাস কর্মরত থাকার পর আমার প্রথম বদলি হয়। আমার বদলি হয় অক্টোবর মাসের ৯ তারিখের আদেশে। যখন শুনি আমার বদলি হয়েছে আমি মনে মনে খুবই ভেঙে পড়ছিলাম এবং হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কারণ চাকরির লাইফে এটাই আমার প্রথম বদলি।
যেখানে প্রথম পোস্টিং হয়েছিল সেখানকার সহকারীদের সাথে এক অন্যরকম ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিল। যার করেন আমার সেখান থেকে আসতে খুবই কষ্ট হচ্ছিলো।
তাছাড়া স্যার এবং ওস্তাদরা খুবই ভালো ছিল তারা আমাকে ভালোবাতো। যদিও আমার চাকরি বয়স ৪ বছর ছিলো কিন্তু স্টেশন হিসেবে আমি স্টেশনের সিনিয়র ছিলাম। এই স্টেশনে যত কর্মী ছিলো তাদের ভেতরে আমি প্রথম স্টেশনে আসি।আর আমি স্টেশনে আসার পর পরে আমার স্যার কে পেয়েছি। প্রথম থেকেই স্যারের আমার প্রতি একটা আলাদা নজর ছিলো। ব্যক্তিগতভাবে স্যার আমাকে খুবই ভালোবাসতো।
যার জন্য আমার ওই স্টেশন থেকে আসার কোন এসআই ছিল না। তবে আমার বদলে হওয়ার কারণে আমি যতটুকু না কষ্ট পেয়েছি তার থেকে বেশি কষ্ট আমাদের স্যার এবং আমার সহকর্মীরা বেশি কষ্ট পেয়েছিলো।
একজন মানুষ যে সবার কাছে ভালো হবে সেটা কিন্তু না। আপনি সবার কাছে প্রিয় হতে পাবেন না। আমি এই জিনিসটা আমার বিদায় অনুষ্ঠানের দিন খুব ভালো করে বুঝতে পেরেছি। আমি কারও খারাপ চাইনি কোন দিন। যতটুকু চেষ্টা করেছি সবার মনের মতো করে চলতে। তারপর ও অনেকের কাছে খারাপই হয়ে থাকতে হয়। আসকে দোষটা আমার না বলে আমি মনে করি।
যাই কোন আমার স্যারকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার বিদায় অনুষ্ঠান খুব সুন্দর করে আয়োজন করার জন্য। আমি ভাবিনি যে আমার বিদয় অনুষ্ঠানটা এত সুন্দর করে আয়োজন করা হবে। স্যার আমার জন্য স্পেশালি উপহারের ব্যাবস্থা করেছে।
খুব কষ্ট হচ্ছিলো কালিগঞ্জ থেকে আসতে। আমার নিজের এলাকার ৪ জন ভাই ছিলো যাদের সাথে আমার অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিলো। সোহাগ ভাইকে আমি স্পেশালি খুব মিস করি এখনো করছি। জানি না তার সাথে আমার কিসের এত টান। ব্যক্তিগতভাবে তাকে আমি খুবই ভালোবাসি এবং সেও আমাকে অনেক ভালোবাসে।
যাই হোক চাকরি করতে হলে এক স্থান হতে অন্য স্থানে যেতেই হবে। সোহাগ ভাই আমাকে অনকে সাহস দিতো নানা ভাবে। আমি যেন মন খারাপ না করি সেই দিকটা খেয়াল দিতো। সব শেষে সবার সাথে সাক্ষাৎ করে বিদায় নিয়ে অফিস থেকে চলে আসলাম।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অফিসের সাথে আমার সম্পর্ক এখানেই শেষ। আর কোন দিন সেখানে যেতে পারবো কি না জানি না। যদি যেতেও পারি কিন্তু সেই মানুষ গুলাকে আর আমি পাবো না।







এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি হওয়া চাকরির একটা অংশ। বহুদিন এক জায়গায় থাকলে সবার প্রতি একটা ভালোবাসা জন্ম নেয়। আর সেখান থেকে যদি চলে যাওয়া যায় তাহলে মনে বেশি খারাপ লাগে। আবার পরবর্তীতে যেখানে যাব সেখানে মানে নিতেও একটু কষ্ট হয়। সব মিলিয়ে বলা যায় বদলি হওয়াটা বেশ কষ্টের। তারপরও সবকিছু মেনে নিয়ে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এটা হল মানব জীবন মেনে নিয়ে জীবনকে চলার পথে হলো সংগ্রাম।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই। এক জায়গা হতে অন্য জায়গায় গেলে মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়। আর পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলার মানেই হলো জীবন। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
ঠিকই বলেছেন চাকরি করতে হলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় বদলি হতেই হয় এটাই নিয়ম । আবার নতুন নতুন সঙ্গী সাথী হয়ে যাবে তখন আর পুরাতনদের কথা তেমন একটা মনে আসবে না । তারপরও আপনি স্পেশালি কাউকে মিস করছেন হয়তোবা তার সাথে আপনার অন্তরঙ্গ টা বেশি ছিল । ঠিকই বলেছেন সব সময় সবাই সবাইকে ভালোবাসে না । সেটা নিয়েই আমাদের চলতে হয় ।
এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি হতে গেলে অনেকটাই কষ্ট হয়৷ এক জায়গায় থাকতে থাকতে মানুষের প্রতি একটা ভালোবাসা কাজ করতে থাকে৷ যখন তাদেরকে ছেড়ে চলে যেতে হয় তখন মন অনেকটাই খারাপ হয়ে যায়৷ তবে বদলি হওয়াটা চাকরির একটা অংশ৷ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বদলি হতেই হয়৷ আপনিও বদলি হয়েছেন৷ এভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যান। আপনার জন্য শুভকামনা রইল৷
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান অভিমত ব্যাক্ত করার জন্য।