জেনারেল রাইটিং পোস্ট || নিয়ম সবার জন্যই সমান হওয়া উচিত
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে,নিয়ম সবার জন্যই সমান হওয়া উচিত। আসলে সমাজের যেকোনো নিয়ম সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। অর্থাৎ ধনী গরীব সবার জন্য সমাজে একই নিয়ম করা উচিত। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেখা যায়, সমাজের ধনীরা কিছু কিছু নিয়মের একেবারেই তোয়াক্কা করে না। আবার গরীবেরা অর্থাৎ সমাজের নিরীহ মানুষেরা যখন নিয়ম ভঙ্গ করে, তখন সবাই তাদেরকে শায়েস্তা করার জন্য যায়। এটাই বর্তমান সমাজের নিয়ম হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ মানুষ হচ্ছে শক্তের ভক্ত আর নরমের যম। যাইহোক আমাদের সমাজে বিয়ে শাদির অনুষ্ঠান কিংবা যেকোনো অনুষ্ঠানে গান বাজনা করা একেবারে নিষেধ করা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কারণ বিয়ের অনুষ্ঠানে সারারাত গান বাজানো হয় অনেক সাউন্ড দিয়ে।
এতে করে মানুষের ঘুমের সমস্যা হয়। তাছাড়া আমাদের ইসলাম ধর্মে গান বাজনা করা হারাম বলেই বিবেচিত হয়। তো আমাদের সমাজের বেশিরভাগ মানুষ সেটা মেনে চলার চেষ্টা করে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ সেই নিয়ম মানতে চায় না। তো মোটামুটি ৩/৪ মাস আগে, আমাদের সমাজের এক লোকের ছেলের মুসলমানির অনুষ্ঠান করা হয় এবং আগের দিন রাতে তারা গান বাজনা করার জন্য, বক্স ভাড়া করে নিয়ে আসে। তারা জোরে সাউন্ড দিয়ে গান বাজানোর পরে,মসজিদ কমিটি তাদের বাসায় যায় এবং তাদের গান বাজনা বন্ধ করে দেয়। তারপর তারা বাধ্য হয়ে বক্স ফেরত দিয়ে আসে। তারপর মসজিদ কমিটি আবারও কড়াকড়ি নিয়ম করে এবং বলা হয় যে, যারা বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে এভাবে গান বাজনা করবে, তাদের নাম সমাজ থেকে কেটে দেওয়া হবে। তো তারপর থেকে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে গান বাজনা একেবারেই করা হয় না। এতে করে মহল্লাবাসী এবং মসজিদ কমিটি খুবই খুশি।
কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগে, আমাদের সমাজের এক প্রভাবশালী লোকের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান করা হয় এবং সেই অনুষ্ঠানে অর্থাৎ গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে রাত ৪টা পর্যন্ত গান বাজনা করা হয় অনেক জোরে জোরে। এতে করে কেউ সারারাত ঘুমাতে পারেনি। এককথায় বলতে গেলে তাদের উপর চরম বিরক্ত হয়। কিন্তু কেউ সাহস করে কিছু বলতে পারেনি। এমনকি মসজিদ কমিটিও এই ব্যাপারে একেবারে নীরব ভূমিকা পালন করেছে। তো এটা নিয়ে সমাজের মানুষ কানাঘুঁষা শুরু করেছে এবং সেটা একেবারেই স্বাভাবিক। কারণ নিয়ম তো সবার জন্যই করা হয়েছিল। তাহলে সমাজের প্রভাবশালী লোক যখন নিয়ম ভঙ্গ করলো,তখন মসজিদ কমিটি কেনো তাদেরকে বাঁধা দিলো না। আসলে তাদের সেই সাহস নেই। তাইতো বললাম সমাজের যত নিয়ম নিরীহ মানুষদের জন্যই করা হয়ে থাকে। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। কথাগুলো মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।
পোস্টের বিবরণ
| ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
|---|---|
| পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
| ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
| তারিখ | ১৯.১০.২০২৫ |
| লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹








ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1979955084084797676?t=F96vbIYFIcW9kTDlJ9T7mA&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1979955751151165920?t=wCRVPfW5qCpISz_36TlEfg&s=19
X-promotion