আমার বাড়ির ছোট্ট সবজি বাগানের বন শিমের গল্প

in আমার বাংলা ব্লগ7 days ago

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। হৃদয়ের চঞ্চলতা নিয়ে আরো বেশী চঞ্চল থাকার চেষ্টা করছি। আর মাঝে মাঝে বাড়ির সবজি বাগানের সতেজ অনুভূতির সাথে আরো বেশী সখ্যতা গড়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আসলে প্রকৃতি ও সবুজ সতেজতা আমাদের যতটা প্রয়োজন আমরা সত্যি ততোটা নেয়ার সুযোগ পাচ্ছি না কারণ সবুজ প্রকৃতি খুব দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে, আমাদের ভিন্ন মানসিকতা কিংবা বিরূপ মনোভাবের কারণে। আগে তো বাড়ির চারপাশে সবুজ গাছ থাকতো, এখন শুধুই শুন্যতা।

কিছু বিষয়ের খুব বেশী প্রচারণার প্রয়োজন হয় যাতে মানুষ সচেতন হতে পারে আবার কিছু বিষয়ের মোটেও প্রচারনার দরকার হয় না, মানুষ এমনিতেই সেটার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারে। সবুজ প্রকৃতি ঠিক তেমন একটা বিষয়, অথচ আমরা হাজার কোটি টাকা খরচ করে নানাভাবে এর প্রচারনা করে যাচ্ছি কিন্তু এর কি কোন ভালো ফলাফল আমরা দেখতে পাচ্ছি? উত্তরটা ভিন্ন ভিন্ন হলেও না বোধক শব্দটার পাল্টা এখানে বেশী হবে নিঃসন্দেহে। এর কারণ হলো আমরা জেনে বুঝে এই রকম উল্টোটা করছি, তাই নতুন করে এখানে আমাদের সচেতন করার কোন সুযোগ নেই।

bonshim-1 (4).jpg

bonshim-1 (5).jpg

bonshim-1 (8).jpg

যাইহোক, আজকে আমার সবজি বাগানের ভিন্ন একটা গাছের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। বন শিমের নাম নিশ্চয় আপনারা শুনেছেন? এটা দেখতে অনেকটাই শিমের মতোই তবে বেশ বড় বড় সাইজের হয়ে থাকে। নানা পুষ্টিগুনে ভরপুর হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর ভর্তার চাহিদা তুলনামূলকভাবে একটু বেশী। আমার কাছেও এই শিমের ভর্তাটা অনেক বেশী প্রিয়, শিতের শুরুতেই বাজারে কিনতে পাওয়া যায় এই শিম।

bonshim-1 (6).jpg

bonshim-1 (7).jpg

বেশ কয়েক মাস আগে আমার এক ভাগিনা বেড়াতে এসেছিলেন আমাদের বাড়িতে। সে আসার সময় বড় মানে এই বন শিমের দুটো বীজ পকেটে করে কোথা হতে জানি নিয়ে এসেছিলেন। সেটা আবার সে নিজেই বাড়ির পেয়ারা গাছের নিচে বুনে দিয়েছিলেন। যখন সেটা অঙ্কুরোদগম হয়ে চারা গাছে পরিণত হয়, তখন আমি জানতে পারি যে এটা বন শিমের চারা গাছ। ভাগিনা এনে বুনেছিলেন। তারপর কিছুটা কায়দা করে গাছটিকে পেয়ারা গাছের উপর উঠিয়ে দেয়া হয়।

bonshim-1 (2).jpg

bonshim-1 (3).jpg

আস্তে আস্তে গাছটি বড় হতে থাকে, পাতাগুলোর সাইজ অনেক বড় বড় দেখতে। তবে খুব ধীরে ধীরে গাছটি বেড়ে উঠেছে। অনেকটা সময় নিয়ে পুরো গাছটিতে ছেয়ে গেছে। তার অনেক পরে গাছের ভিন্ন ভিন্ন সাইডে ফুলের ধোকা আসতে শুরু করে। আমি প্রায় প্রতিদিনই চেক করতাম কোথায় কোথায় ফুল ফুটেছে, ফুল হতে শিমের মতো কিছু এসেছে কিনা? এটা মোটামুটি একটা রুটিন হয়ে গিয়েছিলো আমার জন্য। কারণ গাছটা বড় হওয়ার পর সেটার প্রতি একটা আকর্ষণ তৈরী হয়ে গিয়েছিলো।

bonshim-1 (1).jpg

bonshim-1 (9).jpg

ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah

break .png
Leader Banner-Final.pngbreak .png

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

break .png

Banner.png

Coin Marketplace

STEEM 0.08
TRX 0.29
JST 0.035
BTC 103914.44
ETH 3429.43
USDT 1.00
SBD 0.52