কার্নিভিয়া রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার কিছু মুহূর্ত

in আমার বাংলা ব্লগlast month

হ্যালো.......!!
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৬-০৫-২০২৫)

IMG_20250506_164204.jpg

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি কার্নিভিয়া রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার কিছু মুহূর্ত। আজকে সকাল বেলা থেকেই সারাদিন বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই হাত-মুখ ধুয়ে মাছের খাবার দেওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। মাছের খাবার দেওয়া শেষ করে বাড়িতে এসে সকালবেলায় হালকা একটু নাস্তা খেয়েছিলাম। নাস্তা খাওয়া শেষ করে বেশ কিছু সময় বাড়ির আশেপাশে একটু ঘোরাঘুরি করেছিলাম। গত কয়েকদিন আগে আমার কাকা বিদেশ থেকে বাড়িতে এসেছে তাই আজকে আমাদেরকে দুপুর বেলায় খেতে দেওয়ার জন্য আমাদের এলাকায় নতুন একটি রেস্টুরেন্ট হয়েছে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। দুপুরবেলায় গোসল শেষ করে আমরা সবাই মিলে রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে বেশ কিছু দারুণ মজাদার খাবার খেয়েছিলাম। খাবার খাওয়া শেষ করে বাড়িতে আসতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যায় বাড়িতে আসার পরে বসে গেলাম আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক..........

IMG_20250506_164126.jpg

IMG_20250506_164245.jpg

আপনারা উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি খুবই চমৎকারভাবে আপনাদের মাঝে দুটি ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আজকে দুপুর বেলায় যখন আমরা খেতে গিয়েছিলাম সেই মুহূর্তগুলো আমি খুব চমৎকারভাবে আমার মোবাইলে ক্যামেরায় ধারণ করে রেখেছিলাম। গত কয়েকদিন আগে আমাদের গাংনী শহরে নতুন একটা রেস্টুরেন্টটি হয়েছে এর আগে কখনো আমি এখানে খেতে আসিনি আজকেই প্রথম এখানে খেতে আসলাম। আসলে নতুন নতুন যে কোন জিনিস সত্যিই বেশ ভালো লাগে। তাই প্রথমে আমরা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করার পরে অনেক মানুষের ভিড় দেখতে পেয়েছিলাম শুধুমাত্র রেস্টুরেন্টে কয়েকদিন আগেই ওপেন করা হয়েছিল এজন্যই হয়তো সেখানে অনেক মানুষের সমাগম দেখতে পেয়েছিলাম। আসলে রেস্টুরেন্টের মধ্যে আমি বেশিরভাগই সব যুবক ছেলে-মেয়েদের দেখতে পেয়েছিলাম এক কথায় বলতে পারেন রেস্টুরেন্টের মধ্যে প্রায় প্রত্যেককেই কলেজের ছেলে মেয়ে ছিল শুধুমাত্র আমরা কয়েকজন বাইরে থেকে রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছিলাম। আসলে রেস্টুরেন্টের ভেতরের মনোরম পরিবেশ আমার কাছে বেশ মনোমুগ্ধকর লেগেছিল।

IMG_20250506_164215.jpg

এবার আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও চমৎকারভাবে আপনাদের মাঝে বেশ কিছু ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আসলে রেস্টুরেন্টে যেকোনো জিনিস অর্ডার করার পরে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয় আসলে সেই জিনিসটা গরম গরম তৈরি করে দেওয়ার চেষ্টা করে ওয়েটাররা। তাই আমরা সেখানে আমাদের পছন্দ মত খাবার অর্ডার করার পরে সেখানে প্রায় আধা ঘন্টা মত বসে সবাই মিলে গল্পে আড্ডায় মেতে উঠেছিলাম। আসলে সেখানে বেশ চমৎকার কিছু দেখার মত জায়গা ছিল সেখানে দোলনা ছিল ছবি তোলার জন্য এবং ফটোগ্রাফি করার জন্য বেশ চমৎকার জায়গা বলতে পারেন আপনারা। সেখানে আমিও বেশ কয়েকটি ছবি আমার মোবাইলে ধারণ করেছিলাম কিন্তু সেই ছবিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি না পরবর্তীতে হয়তো কোন একদিন ওই ছবিগুলো দিয়ে আবারো আপনাদের মাঝে পোস্ট শেয়ার করব। আমরা এভাবেই তিনজন আমাদেরও পুরনো অতীত জীবনের গল্প সেখানে শুরু করেছিলাম এবং আমাদের তিনজনের মধ্যে বয়সের খুব বেশি পার্থক্য নেই তাই আমরা সবাই বন্ধু পূর্ণ সম্পর্ক বললেও চলে। এভাবেই প্রায় অনেক সময় গল্পে আড্ডায় মাতিয়ে রেখেছিলাম সেই সময়টুকুও।

IMG_20250506_164148.jpg

IMG_20250506_164136.jpg

এবার আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দর কয়েকটি ছবি তুলে শেয়ার করেছি। আমরা খাবার অর্ডার করার পরে বেশ কিছু সময় সেখানে বসে ছিলাম। প্রায় নির্ধারিত সময় শেষে আমাদের সামনে নিয়ে এসে যখন খাবার দিয়েছিল সত্যি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছিল এবং খাবারের সুগন্ধীমায় বাসনা আমাকে বেশ মুগ্ধ করেছিল। খাবার নিয়ে আসার পরে আমরা সেখানে বেশ চমৎকারভাবে আমি মোবাইলের ক্যামেরায় খাবারের ফটোগ্রাফি ধারণ করা শুরু করেছিলাম। আমরা তিনজন যেখানে বসে খাওয়া দাওয়া শুরু করেছিলাম তখন আমি একটি সেলফি আমার মোবাইলের ক্যামেরায় ধারণ করেছিলাম। সব মিলিয়ে খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সেখানের পুরো সময়টা বেশ দারুন ভাবে অতিবাহিত করেছিলাম বলতে পারেন আপনারা। এমনিতেই ফাস্টফুড খাবার খেতে আমি বেশি পছন্দ করি প্রায় প্রতিনিয়তই বাইরে গেলে পাসপোর্ট খাবার খাওয়া হয় তবে শারীরিক গঠনটা একটু বেড়ে যাচ্ছে হয়তো এই ফাস্টফুড খাবার জন্য কিন্তু লোভনীয় খাবার গুলো দেখলে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারি না তাই সব সময় এই ফাস্টফুড খাবারগুলো খাওয়া হয়। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।

✨💞আমার নিজের পরিচয়💞✨

IMG_20240213_153009.jpg

আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করা এবং ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু করেছি ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ০১ তারিখে । স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো অনেক দূরে এগিয়ে যেতে চাই এটাই আমার লক্ষ্য। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )

banner-abb3.png

Logo.png

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

Banner.png

1000061548.png


VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

✨💞আমার লেখা পোস্টটি সকলকে ভিজিট করার জন্য ধন্যবাদ💞✨

Posted using SteemPro

Sort:  
 last month 
 last month 

কার্নিভিয়া রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন।রেস্টুরেন্টের পরিবেশ এবং আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে খুবই ভালো লাগল!খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে মনে হচ্ছে খাবারগুলো খুবই সুস্বাদু ছিল!আড্ডা দেওয়ার সময় পুরনো স্মৃতিচারণার কথা পড়ে আমারও কলেজ লাইফের কথা মনে পড়ে গেল! এমন জায়গায় বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো সত্যিই আনন্দদায়ক।

Congratulations!

Your post has been manually upvoted by the SteemPro team! 🚀

upvoted.png

This is an automated message.

Coin Marketplace

STEEM 0.12
TRX 0.27
JST 0.034
BTC 103118.67
ETH 2390.28
USDT 1.00
SBD 0.78