হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা❣️❣️ |
সবাই কেমন আছেন?
আশাকরি আপনারা সবাই সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও তার রহমতে ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। এটি একদমই ভিন্নধর্মী একটি রেসিপি । রেসিপিটি হলো মজাদার টমেটোর সস তৈরি রেসিপি😋। এটি খাওয়ার মজাই আলাদা। যারা বেশি ভাজাপোড়া পছন্দ করে তারা এভাবে সস তৈরি করে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। বাজার থেকে খুব চড়া দামে ও কেমিক্যালযুক্ত সস নাকি নেই এভাবে ঘরে তৈরি করা সম্ভব টমেটো সস । এখানে খাওয়ার রং ব্যবহার করলে আরো সুন্দর কালার হয়। কিন্তু আম্মু খাওয়ার রং ব্যবহার করতে দেয় না, তাই তাই আর আমি ব্যবহার করলাম না।
আমি নিচে রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়েছি। আশা করি এটি আপনাদের ও ভালো লাগবে। |


- টমেটো - ১কেজি
- চিনি- ৫ চামচ
- মরিচেরগুঁড়ো- ২চামচ
- লবন - ১ চামচ


*প্রথমে টমেটো গুলোকে মাঝখানে কেটে টুকরো করে নিয়েছি। তারপর টমেটোর ভেতরের অংশ গুলো আলাদা করে নিয়েছি।

- তারপর কেটে রাখা টমেটোগুলো কে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিলাম।

- তারপর ব্লেন্ডারের মগে টমেটোগুলো কে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিলাম। তারপর একটি ছাঁকনির সাহায্যে ছঁকে নিলাম।


- তারপর টমেটো গুলোর মধ্য থেকে অমিশ্রন পদার্থগুলোকে আলাদা করে নিলাম।


- তারপর চুলায় আরেকটি পাতিল বসিয়ে দিলাম। এবং ব্লেন্ড করে রাখা টমেটো গুলো দিয়ে দিলাম। এবং পরিমাণমতো চিনি দিয়ে দিলাম।

- তারপর পরিমাণমতো মরিচের গুঁড়ো দিয়ে দিলাম। এবং ভালোভাবে মিক্স করে নিলাম।

- যখন মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসবে এবং লালচে কালার ধারণ করবে তখন তা চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।



তারপর মিশ্রনটিকে একটি কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করলাম। অনেক দিন এটি খেতে চাইলে কাচের বোতলে রেখে তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব।

আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই রেসিপির পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা |
ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য🥰🥰 |
মজাদার টমেটোর সস তৈরি রেসিপি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। আশাকরি সবার কাজে আসবে। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
ঠিক বলেছেন আপু বাজারের ক্যামিক্যালযুক্ত সস এর পরিবর্তে এভাবে যদি বাসায় তৈরি করে নেয়া যায় তাহলে খুবই ভালো হয়। আপনি খুবই সহজ এবং সুন্দর ভাবে বাসায় সস তৈরি করার রেসিপি শেয়ার করেছেন। খুব ভালো লাগলো। আপনার সস যে খেতে সুস্বাদু হয়েছে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
টমেটোর সচ খেতে আমি খুবই ভালোবাসি। টমেটো সচ আমি সাধারণত ক্রয় করে খায় তবে বাড়িতে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি ।আপনার এই রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খুব সহজে এটি তৈরি করে খাওয়া যাবে দারুন একটা জিনিস শেয়ার করেছেন আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বাহ আপু আপনি খুব চমৎকার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । আমরা সবসময় বাহির থেকে সস কিনে আনে খাই। যেটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর।সস আমাদের প্রতিনিয়ত লেগেই থাকে খাওয়ার জন্য। তাই এভাবে যদি নিজেই ঘরে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তৈরি করতে পারে তাহলে অনেক ভাল হয় ।আপনার কাছ থেকে রেসিপিটা শিখে নিলাম।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
টমেটো সস অনেক খেয়েছি কিন্তু কিভাবে তৈরি করে সেটা আমার জানা ছিল না। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শুধু ভাজাপোড়া নয় আমার বাসায় যে দিন সকালে পরোটা বানানো হয় পরোটার সাথে আমার এই টমেটো সস লাগবেই লাগবে। এরকম বাসায় বানানো সস হলে তো কোন কথাই নেই। আপু আপনার তৈরি করা সস গুলো দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ মজার হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ আমার পছন্দের একটি রেসিপি আজ শেয়ার করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দরভাবে টমেটো সস তৈরি করা দেখিয়েছেন।আমি টমেটো সস খেতে খুবই ভালোবাসি। আপনার টমেটো সস মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।
আপু আমার বাসায় এক বোতল পাঠায় দিয়েন।আপনার জন্য দোয়া করবো বেশি বেশি যেন ঘটকালি করতে পারেন।যাই হোক ভালো ছিলো রেসিপিটা।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
টমেটো সস খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে সিঙ্গারা অথবা পুরির সাথে খেতে খুবই মজা লাগে । আপনি টমেটো সসের রেসিপি দারুণভাবে দেখিয়েছেন।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি অনেক সুন্দর করে টমেটোর সস বানিয়েছেন।আমাদের দেখালেন আমার তো ভীষণ ভালো লাগলো। দারুন দক্ষতায় সম্পন্ন করলেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করলেন এবং আপনার উপস্থাপনা বরাবরই বেশ ভালো লাগে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।