প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকরি মেলা | লাজুক খ্যাকের জন্য ১০% ভালোবাসা |

সকালবেলায় হুট করে আমি ফেসবুকে যে গ্রুপে কাজ করি সেখানের কমিউনিটি ডিরেকটর আমাকে ফোন করে দেখা করতে বলেন। এরপর আমি তার সাথে দেখা করলাম আর জানতে পারলাম বাংলাদেশের সরকার থেকে একটি বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে যেখানে একটি মেলা হচ্ছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের চাকুরীর মেলা। বিষয়টি সত্যিই আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।কারণ এখানে অনেক প্রতিবন্ধী তাদের নিজেদের CV দিবে এবং সেখান থেকে যাদের প্রয়োজন তাদের কে চাকরির জন্য ডেকে নিবেন।

গত কয়েকদিন ছুটির পর আজ ঢাকা শহরে প্রচুর জ্যাম ছিল। আমি মোটেও এখানে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। ছোট ভাইয়ের বিয়েতে যাওয়ার জন্য বেশকিছু ওয়াটার পেন্ডিং হয়েছিল। আমি বাসা থেকে মূলত বের হয়েছিলাম ফ্যাক্টরির উদ্দেশ্যে কারণ ফ্যাক্টরি থেকে মাল নিয়ে এসে আমার আজ কুরিয়ার করতেই হতো। 5 মিনিটের রাস্তা আমার কাছে মনে হচ্ছিল প্রায় আধা ঘণ্টা লেগে যাবে তাই আমি ফ্যাক্টরিতে না গিয়ে সরাসরি সেই অফিসে চলে গেলাম। যাওয়ার পর দেখলাম আসলে এখানে খুব সুন্দর একটি মেলা হচ্ছে। আসলে এই মেলাটি মূলত হয়েছিল বিভিন্ন কোম্পানি একটি করে স্টল নিয়েছিল আর প্রতিবন্ধী মানুষ এর CV নিচ্ছিল। এখান থেকে তাদের কম্পানিতে চাকুরির জন্য লোক প্রয়োজন হলে তাদের সুযোগ দেয়া হবে।

আমি মনে করি এটি খুব ভালো একটি উদ্যোগ ছিল। এখন প্রায় অনেক প্রতিবন্ধী প্রিয় ভাই ও বোনেরা বিভিন্ন জায়গাতে ভালো ভালো সুযোগ পাচ্ছে। এতে করে তারা অন্তত এইটুকু মনে করে যে তারা আর মানুষের করুণার পাত্র হয়ে থাকতে হবে না। তারা নিজেরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। এখন অনেক জায়গায় দেখা যায় এমন প্রতিবন্ধি মানুষ গুলো ভালো ভালো জায়গায় রয়েছে। যাক দিন শেষে তারাও ভালো করুক এটা আমরাও চাই। আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুক।

আমি বেশ কয়েকজন প্রতিবন্ধী ভাই এবং বোনের সাথে কথা বলেছি। তাদের জিজ্ঞাসা করলাম আপনাদের কাছে কেমন লাগছে। তারা তাদের অনুভূতি গুলো খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করলো যা শোনার পর সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। একজন দেখলাম ঢাকার বাহিরে থেকে এসেছে। সে আমায় বলল আমি আগে খুব নিজেকে অসহায় মনে করতাম কিন্তু এখন আর তা মনে করি না কারণ আমি মনে করি আমি চেষ্টা করলে আমিও পারবো। সত্যি নিজের উপর যদি বিশ্বাস থাকে তাহলে এমন কোন কাজ নেই যেটা করা যায় না।

পাঁচটার সময় মেলা শেষ হয়ে যায়। আমি চলে গেলাম ফ্যাক্টরিতে। এখান থেকে মাল কিনে চলে আসলাম শ্যামলী কুরিয়ারে। শ্যামলী কুরিয়ারে এসে অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিলো কারণ তাদের সার্ভার কাজ করছিল না। বাসায় আসলাম আসার পর কিছু কাজ করলাম। একটু আগে সেই দুপুরের ফাইলগুলি জমা দিতে গিয়েছিলাম। সত্যি বলতে আমি বিভিন্ন জায়গার কাজগুলোর জন্য এত বেশি চাপে থাকি যা বলার ভাষা রাখে না। আমি অনেক চাই যে আমার বাংলা ব্লগে আমি আমার অনেকটা সময় দিব কিন্তু আমি সত্যিই নিজের সাথে যুদ্ধ করে উঠতে পারছিনা। দিনশেষে আসলে আমিও তো একজন মানুষ। তার পরেও আপনাদের কাছে দোয়া চাই ।এটুকুই বলবো আপনারা আমাকে ভুলে যাবেন না আমি সবসময় আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করব