অবশেষে মিডটার্ম এক্সাম শেষ হলো || একটু শান্তি

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



IMG_20230217_190509.jpg

ক্যানভা দিয়ে বানানো।

বাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? আমি আজ একটু রিলাক্স। মিড টার্ম পরীক্ষা শেষ হলো আজ। এখন একটু আরাম করা যাবে। আজো পরীক্ষা তেমন ভালো হয়নি। আবার তেমন খারাপ ও হয়নি। মানে দুই এর মাঝা মাঝি আরকি। যাক আজ আপনাদের সাথে সে কথাই বলতে আসলাম। আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।


IMG_20230217_084732.jpg


আপনারা জানেন যে গত শুক্রবারে আমার ২ টা পরীক্ষা ছিলো। আর আজকে ছিলো একটা। ভাগ্য ভালো থিউরি কোর্স ছিলো ৩ টা । না হলে আজকেও পরীক্ষা দিতে হইতো আবার। প্রাণে বাচা গেলো বলা যায়। দুইটা পরীক্ষা দেওয়া অনেক কষ্টের। এঁকে তো এক সাথে দুই সাবজেক্ট এর সিলেবাস কভার করা। তার উপর পরীক্ষার মাঝে বিশাল গ্যাপ থাকে। গ্যাপ এর কারনে মন মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়। তা ছাড়া সকাল এর পরীক্ষা খারাপ হলে সেটা বিকেলের পরীক্ষায় অনেক বড় প্রভাব ফেলে। এতে করে পরের পরীক্ষাও খারাপ হয়ে যায়। আজ ছিলো আমার EEE পরীক্ষা। এই সাবজেক্ট এমনি আমি কম বুঝি। ট্রান্সফর্মার এর কিসব সার্কিট দিয়ে রাখছে। ও মনে রাখা আমার জন্য বিশাল কষ্টের। তবুও যতটুক পেরেছি করেছিলাম। হ্যাং আউট শেষে পড়তে বসে ছিলাম। আমাদের স্যারটা ভালো ছিলো খুব। তাই উনি একটা সাজেশন দিয়েছিলেন। তবে বেশির ভাগ ছিলো সার্কিট রিলেটেড প্রশ্ন। আমার পড়তে দম বাড় হচ্ছিলো। তবুও ১৫ টা প্রশ্ন থেকে দুইটা প্রশ্ন পড়ার পরই আর কিছু মাথায় ঢুকছিলোনা। দুইটা প্রশ্নের মধ্যে ছিলো ট্রান্সফর্মার কি, কি ভাবে কাজ করে প্রমাণ সহ। এবং আইডেল ট্রান্সফরমার সার্কিট। এ বুঝতে বুঝতেই আমার মাথা নষ্ট হয়ে গেছিলো। যাক কি আর করা শুয়ে পরলাম আমি। সকালে উঠে পড়ব বলে।

IMG_20230217_085606.jpg

IMG_20230217_085522.jpg

সকালে উঠেই পড়তে বসলাম। সিঙ্গেল ফেজ ট্রান্সফর্মার এর দুই রকম এর সার্কিট এঁকে শিখে নিলাম। যেনো আসলে পারি। একটু পর মামি বললো চলে যাবে তাকে এগিয়ে দিয়ে আসতে। পরে আমি দ্রুতো গোসল করে প্রস্তুতি নিয়ে বের হয়ে যাই। মামি কে কারওয়ান বাজার নামিয়ে দিবো তারপর ভার্সিটির দিকে চলে যাবো। সেটাই করলাম। ভার্সিটি ঢুকার আগে খুদা লাগলো। কারণ বাসা থেকে কিছু খাই আসিনি। তো একটা চায়ের দোকানে যেয়ে প্রথমে একটা কেক খেলাম। কিন্তু পেট ভরলোনা। পরে একটা রুটি খেলাম। এরপর পানি খেয়ে চা খেলাম এক কাপ। তারপর ভার্সিটি ঢুকে গেলাম। যা যা পড়েছি পরীক্ষায় যেয়ে দেখি সবই কমন এসেছে। কিন্তু আমি নিজেই সব ভুলে খেয়েছি। কত চেস্টা করলাম মনে করার। কিন্তু মনেই যেনো পরেনা। অনেক চেস্টা করলাম একটু একটু মনে করার। কিন্তু একটু পরে তো অন্য একটু পরে না। এভাবে বহু কষ্টে প্রথম প্রশ্ন শেষ করলাম। এবার আসলো ডেফিনিশন। এতো সুন্দর ভাবে পড়লাম । সেটাও শেষের দিকে গুলিয়ে ফেলেছি। সার্কিট মিলাতেও কষ্ট হয়েছে ভালো। কষ্ট মানে অনেক কষ্ট। সার্কিট এর কোথায় কি ছিলো সেটা মনে আসতেছিলোনা। তবুও একটু একটু করে মনে করে শেষ করলাম।

IMG_20230217_085021.jpg

শেষে সব কিছু শেষ করে দেখলাম যে, যতটুক পড়েছিলাম সে হিসাবে পরীক্ষা তুলনামূলক অনেক ভালোই দিয়েছি। তাই বলা চলে খুশি মনেই এক্সাম হল থেকে বের হয়েছি। বের হয়ে একটু বসুন্ধারা সিটিতে গিয়েছিলাম। একটা কাজে। সেটা সামনের একটি পোস্ট এ শেয়ার করবো। আজ এইটুকুতেই শেষ করলাম। কেন হয়েছে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য। শুভেচ্ছা রইলো সবার জন্য।

IMG_20230217_085617.jpg



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

break .png

Purple Yellow Black Neon SciFi YouTube Banner (800 × 260 px) (800 × 250 px).gif

break .png

আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

break .png

Banner.png

break .png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 3 years ago 

পরীক্ষার মতো চাপ আর কোন কিছুতেই নেই। আর যদি একই দিনে দুইটা পরীক্ষা থাকে তাহলে তো আরো ঝামেলা। তবে যাই বলুন না কেন পরীক্ষা শেষ হলে রিপ্লেসমেন্ট আসে এবং খুবই ভালো লাগে। ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে।

 3 years ago 

একদম এই চাপ তো মানসিক ভাবে চিকন করে দেয়।

 3 years ago 

লেখাপড়ায় যদি পরীক্ষা না থাকতো তাহলে না কতই ভালো হতো। আপনার একদিনের দুইটা পরীক্ষা দেওয়ার অভিজ্ঞতা আমি পড়েছিলাম। যাইহোক আজকে পরীক্ষা শেষ আজকে তাহলে অনেকটাই আপনার মাথা হালকা হয়ে গেল। আর সকালের ব্রেকফাস্টটা অনেক ভাল ছিল। চায়ের সাথে রুটি খেতে আমারও বেশ ভালো লাগে।

 3 years ago 

আহা তাইলে মনে হয় দুনিয়াটা সব থেকে সুন্দর হইতো।

 3 years ago 

এক্সামের আগের দিন যে পরিমাণ প্রেশার থাকে তাতে হার্ট এটাক করার মত অবস্থা হয়। যাই হোক আপনি মাঝামাঝি ভালভাবে পরীক্ষা শেষ করেছেন শুনে ভাল লাগল। আপনার পোস্ট পড়েই বোঝা যাচ্ছে আপনি রিলাক্স ফিল করছেন। বসুন্ধারা সিটির পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 years ago 

হ ভাই। এতো প্রেশার থাকে মাথায়। কি যে করবো নিজেও জানিনা।

 3 years ago 

যখন পলিটেকনিকে পড়তাম তখন EEE এই সাবজেক্টটা আমার কাছে অনেক বেশি কঠিন লাগবে আসলে মেকানিক্যালে পড়ে যত সব ইলেকট্রিক্যাল/ইলেকট্রনিক্স এর সাবজেক্ট পড়তে কি আর নিজের কাছে ভালো লাগে আপনি বলুন..?? আবার তার উপরে ট্রান্সফরমার আমি তেমন একটা বুঝতামই না কিসের মধ্যে কি লিখত পুরা মাথা খারাপ করে দিত। যাইহোক অবশেষে আপনার পরীক্ষা শেষ হয়েছে আসলে আমার বাসায় দুইটা ভাই থাকে ওদেরও পরীক্ষা শেষ হলো বোঝাই যাচ্ছে এই সাবজেক্টটা নিয়ে অনেকেরই অনেক বেশি সমস্যা তাদের মুখে এরকম কথা শুনেছি।

 3 years ago 

এই সাবজেক্ট আসলেও কঠিন ভাই। অনেক প্যারা খেতে হয়। পলিটেকনিক এ প্যারা খেয়েছি। এখন বিএসসি তে এসেও এই সাবজেক্ট পিছু ছাড়ছে না।

Coin Marketplace

STEEM 0.08
TRX 0.30
JST 0.037
BTC 102761.90
ETH 3423.04
USDT 1.00
SBD 0.55