ঈদের ছুটি শেষে অফিসে প্রথম দিন।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। ঈদের ছুটি কেমন কাটালেন আপনারা। আমি তো ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়েছি বলা চলে। আমার কাছে ভালো লাগছে এই কয়টা দিন ঘুমাতে। কিন্তু সব কিছুর যেমন শেষ আছে এই ছুটির ও শেষ আছে। দেখতে দেখতে ঈদ এর ছুটি শেষ হয়ে গেলো। কর্মজীবন শুরু আবার। ইচ্ছা না থাকলেও আপনাকে ফিরে যেতেই হবে আপন কর্মস্থলে। আসলে করারই বা কি থাকে। যদি নিজের ব্যবসা হতো তাহলে হয়তো ১ মাস ছুটি দিতাম নিজেরে। কিন্তু যেহেতু বড় একটি দায়িত্বে আছি সেহেতু সেটা পালন করতেই হবে। শেষ দিন ও যেমন ফাঁকি দেইনি। তেমনি শুরুর দিন ও ফাঁকি দিবোনা। আজ আপনাদের শুরুর দিনের অফিস করার অনুভূতি নিয়েই কথা বলবো।
যেহেতু অফিস শুরু হবে গতকাল থেকেই খারাপ লাগছিলো। এই কয়দিন এর সব আরাম যেনো শেষ। এখনো মনে পরে কতই না ঘুমিয়েছি। আম্মু আব্বু কেউ ডাকেনি। আম্মু তো বলতেইছিলো। কাল তো ছেলের অফিস খোলা। ঘুমাক একটু। আবার তো সেই শুরু হবে। সকাল ৬ টায় উঠো। রাত ১ টায় ঘুমাও। তাও ভাই। আমার ঘুমাতে ঘুমাতে ২ টা বেজে যায়। ঘুম এর ঘাটতি থেকেই যায়। আপনারা ভাবলে অবাক হবেন যে আমি এই ঘুমের জন্য এবার কোথাও বেড়াতেও যাইনি। প্রতিবার ঈদ এ যেনো নানু বাড়ি বেড়াতে গেলে আমার হয়ই না। অথচ এবার আমি নানু বাড়ি যাইনি। তবে কোরবানির ঈদ এ যাবো আল্লাহ বাচাইলে। আজ থেকে অফিস খোলা তবুও কাল ইচ্ছে করেই দেড়ি করে ঘুমিয়েছিলাম। তবে সকালে এলার্ম বাজার আগেই ঘুম থেকে উঠে গেছিলাম। তারপর ফ্রেশ হওয়া। আম্মুকে না করলাম যেনো দুপুরের খাবার না দেয়। আজ প্রথম দিন অফিস। বাইড়েই খাবো। তারপর প্রস্তুতি নিয়ে বেড় হয়ে গেলাম গলায় আইডি কার্ড ঝুলিয়ে। দুপুরের খাবার এর ব্যাগ না থাকার কারণে অনেক হালকা লাগছিলো নিজেকে। রেললাইন দিয়ে যাই প্রতিদিন। সেখানে যেয়ে ছবি তুলে নিলাম দুইটি। সাথে রেল এর ছবি তোলার ও সৌভাগ্য হয়ে যায়। তো বাসে উঠে যাই। আহ ঢাকার রাস্তা ফাঁকা থাকলে কি যে মজা লাগে এটা যারা ঈদ এর কয়দিন যাতায়াত করেন তারাই বুঝবেন। বাসে এক টানে অফিস এর সামনে। ৩০ মিনিট ও লাগেনি। প্রতিদিন এমন হলে শান্তি লাগতো। কিন্তু কাল থেকেই জানি আবার সে জ্যাম শুরু হবে।
বাস থেকে নেমে রাস্তা পার হতেও অসুবিধা হলোনা। কারণ রাস্তায় গাড়িও কম ছিলো। খুব সহজেই পার হয়ে গেলাম। গিয়ে দেখি তখনো অফিস খুলেনি। যদিও অফিস এর গ্রুপে দেখলাম ছবি দিয়েছে একজন এসে। তো আমি ভাবলাম নাস্তা করেই ঢুকি। তো চলে গেলাম এক দোকানে। গিয়ে দেখি খোলা আছে। তারপর নাস্তা করে নিলাম পেট ভরে। অনেক দিন পর পরটা খেলাম। তবে দুইটার বেশি খেতে পারলাম না। অন্য সময় আমি ৩ টা খেতে পারতাম। তবে খুদা অনেক কমে গেছে। যাক খাওয়া শেষ করে অফিসে গেলাম। শাটার উঠিয়ে ভিতরে দেখি অনেকেই আছে। তবে কোনো কাস্টমার আসেনি তখনো। ভিতরে যেয়ে এসির নিচে বসে পরলাম। একটু শান্তি লাগছিলো। কারণ মোটামুটি ঘামিয়ে গিয়েছিলাম। তো একটু পর আমার পার্টস এর অন্য কলিগ এসে পরলো। তো তাকে চাবি দিলাম। উনি তালা খুলে ফ্যান ছেড়ে দিলো। অনেকদিন বন্ধ থাকায় বাজে একটা গন্ধ চলে আসছিলো। এটা স্বাভাবিক। তারপর আমাদের ব্যস্ততা শুরু আসতে আসতে। কাস্টমার আসতে থাকলো। আমরাও সার্ভিস দিতে থাকলাম। পার্টস এর জন্য চাহিদা বাড়তে থাকলো। কিছু পার্টস অর্ডার এর জন্য রেডি করলাম। অনলাইনে কিছু ক্লেইম রিপোর্ট সাবমিট বাকি ছিলো সেগুলো করে নিলাম।
কাজ করতে করতে অনেকটাই ক্লান্ত ছিলাম। এরপর লাঞ্চ টাইম আসলো। খাইতেই যাচ্ছিলাম আর ফ্লোর সুপারভাইজর ডাক দিলো। জিজ্ঞেস করলো কই যাই। বললাম খাইতে যাচ্ছি। তারপর উনি এক সাথে খাওয়ার অফার করলেন শেয়ারে। অর্থাৎ এক সাথে খাবো । বিল যা আসবে দুজন ভাগা ভাগি করে দিবো। তো খাইতে চলে গেলাম দুজন। প্রথমেই ভাত নিলাম টমেটোর চাসনি না কি যেনো একটা দিলো। সেটা দিয়ে মাখিয়ে ভাত খেলাম। ভালোই লাগলো। তারপর মুরগির মাংস নিলাম। দুজন ভাগ করেই খেলাম। খাওয়া শেষ করে বিল শুনলাম ১২০ টাকা। মনে মনে ভাবলাম পার্টনারে খেয়ে ভালোই হয়েছে। ৬০ টাকায় পেট ভরে খাওয়া। আহা। একা খেলে আমার একাই ১০০ টাকা লাগতো। হেহে যাই হোক। এরপর এসে কিছুক্ষন রিসিপশনে বসে রেস্ট নিলাম। এসির হাওয়ায় আরকি। তারপর চলে আসলাম পার্টস এ। সারাদিন কাজ শেষে আজ একটু আগেই বেড় হলাম বাসার উদ্দেশ্যে। এই তো। শুরু হলো কর্ম জীবন।
তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR







%20(800%20%C3%97%20250%20px).gif)

আসলেই ঠিক ছুটি শেষে অফিসে যেতে ভাল লাগে না। আপনার মত আমিও বাধ্য হয়ে অফিসে গিয়েছিলাম প্রথম দিন। আপনার অফিসে প্রথম দিন যাওয়ার অনুভূতি পড়ে ভাল লেগেছে। আমিও অফিসে গিয়ে পরোটা সবজি খাই। আপনার খাবারের ছবি আমার তো এখনই খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যা ভাই। কিন্তু কিচ্ছু করার নাই। দায়িত্বের মার প্যাচে আমাদের যেতেই হয়।
ভাই জীবনটা বড়ই অদ্ভুত ৷ কিছু করার নেই জীবনকে এভাবেই বয়ে নিয়ে যেতে হবে ৷ কর্ম জীবন জীবিকা তাগিদে কত কিছুই না ত্যাগ করতে হয় ৷ দিনশেষ সবকিছুই পরিবার পরিজনের জন্যই ৷ যা হোক সামনের ঈদে নানুর বাড়ি যাবেন এমনটাই প্রতার্শা করি ৷
জ্বি ভাই। আমাদের জীবন এভাবেই এগিয়ে যাবে আপন গতিতে।