ভোরের আলো ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে, আর আমাদের বাস ছুটে চলছে কক্সবাজারের দিকে। চট্টগ্রাম শহর পেরিয়ে রাস্তার দু’পাশে এখন শুধু সবুজ পাহাড় আর ছোট ছোট গ্রাম। মাঝে মাঝে কলাবাগান, নারিকেল গাছ আর বাঁশের তৈরি ঘর চোখে পড়ে। সকাল ৬টার দিকে কক্সবাজার শহরে ঢোকার মুখেই হালকা নোনাধরা বাতাস নাকে এসে লাগে – সেই পরিচিত সমুদ্রের গন্ধ! মনে হলো যেন সমুদ্র আমাদের আগমনের খবর পেয়ে দূর থেকেই ডাকছে।

বাস যখন কক্সবাজার বাস টার্মিনালে থামে, তখন সকাল ৭টা বাজে। রাতের যাত্রা শেষে শরীরে ক্লান্তি থাকলেও মনে উত্তেজনা কাজ করছিল – কারণ আমরা এখন পৃথিবীর দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্রসৈকতের শহরে! টার্মিনাল থেকে সিএনজি নিয়ে রওনা দিলাম হোটেলের দিকে। পথে দেখা মিলল শহরের সকালের দৃশ্য – দোকানপাট খুলছে, মাছের বাজারে তাজা সামুদ্রিক মাছের রঙিন সারি, আর রাস্তার ধারে নারকেল পানির দোকান।

হোটেলে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা সেরে, আর অপেক্ষা না করে আমরা বেরিয়ে পড়লাম সরাসরি সমুদ্রের দিকে। রাস্তায় নামতেই দূর থেকে শোনা যাচ্ছে ঢেউয়ের গর্জন, যেন একটা ছন্দময় সঙ্গীত। সৈকতের দিকে এগোতেই চোখের সামনে খুলে গেল এক বিশাল নীল দিগন্ত – যতদূর চোখ যায়, শুধু বালি আর জলরাশি। সকালের সূর্যের আলো পানির উপর সোনালি ঝিলিক তৈরি করছিল।

পায়ের নিচে নরম, সোনালি বালির স্পর্শ যেন শহুরে ক্লান্তি মুছে দিল এক নিমিষে। ঢেউ এসে পা ভিজিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছে – সেই স্পর্শে যেন মন ভরে যাচ্ছে। সৈকতে তখনো তেমন ভিড় হয়নি, কয়েকজন জেলেকে নৌকা টেনে আনতে দেখা গেল, আর কিছু পর্যটক ছবি তুলছে। দূরে দেখা মিলল লাল কাঁকড়ার সারি, ঢেউয়ের সাথে দৌড়ে পালাচ্ছে।

আমরা প্রায় এক ঘণ্টা সৈকতে কাটালাম – হেঁটে হেঁটে সমুদ্রের রূপ উপভোগ, কিছু ছবি তোলা, আর মাঝে মাঝে ভিজে যাওয়া। সূর্য একটু উপরে উঠতেই সৈকতের রং বদলে গেল – নীল জলরাশি যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল।দ্বিতীয় পর্বের সকাল শেষ করলাম এক কাপ গরম নারকেল চা খেয়ে, চোখে-মনে ভরে নিলাম সমুদ্রের প্রথম সকালের সেই অপরূপ দৃশ্য। পরের পর্বে থাকবে লাবণী পয়েন্ট, ইনানি সৈকত আর কক্সবাজারের রঙিন সন্ধ্যার গল্প।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।