অনিয়মের বিরুদ্ধে স্বরচিত কবিতা "ভাই -বোন"🤼🏻♂
সকলকে শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভাল আছি। আপনারা সবাই সবসময় ভালো থাকবেন। এটাই প্রত্যাশা করি।
বন্ধুরা গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার আমার ভীষণ জ্বর ছিল। এবং আমি চোখ খুলে তাকাতে পারছিলাম না। তাই কোন পোস্ট করতে পারি নি। এমনকি কমেন্ট করতে পারি নাই।তাই আজকের দিনে দুটো কবিতা পোস্ট করলাম।কিছুক্ষণ আগে এই কবিতাটির জন্ম।মনের মাধুরী মেশানো আছে এই কবিতাটিতে।বাস্তবতার বাস্তব চিত্র।ছোটবেলায় আমরা সবাই ভাইবোনদের মধ্যে কত মিলি থাকে!।কত আনন্দ বেদনায় মুখরিত থাকে ভাইবোনের সম্পর্ক।নিবেদিত প্রাণে ভালোবাসে একজন আরেকজনকে। কত স্নেহ কত মমতা কত আদর সবকিছুই থাকে যেন ভাই-বোনের এই গভীর সম্পর্কের ভেতরে।অথচ জীবনের কোন এক প্রান্তে এসে, ভাই-বোনের এই পবিত্র সম্পর্কের ভেতরে, কে বা কাহারা অবচেতন মনে ফাটল ধরিয়ে দেয়।কিছু কিছু পরিবারে বাবা কিংবা মা
পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে সকল সম্পত্তির ভাগীদার হোন ভাইয়েরা।বাবা কিংবা মায়ের যতটুকু অবশিষ্ট সম্পদ থাকুক না কেন ভাইয়েরাই হয় তার চূড়ান্ত মালিক।ভাগাভাগি করার সময় বোনদের মতামত ও নেয়ার চেষ্টা করেন না তাঁরা। তাঁদের মনে একটা ভুল ধারণা, বোনেরা তো পরের বাড়ির মানুষ ওরা পরের বাড়ীতে চলে গেছে তাদের আবার ভাগাভাগি কিসের মতামত কিসের।এখন পর্যন্ত তাঁরা ন্যায্যতা ও বোঝেনা, আইনও বোঝেনা। শুধু তাদের মনের ভিতর এতোটুকুই ধারণা বাবা-মায়ের সম্পদের মালিক আমরা ভাইয়েরা।এভাবেই ঠকানো হচ্ছে দিনের পর দিন অগণিত বোনদের।তাই পৃথিবীতে প্রত্যেকটা বাবা-মায়ের উচিত তাদের সন্তানদের মধ্যে ন্যায্য ভাবে সম্পদ বন্টন করে দেয়া। তা না হলে নারীরা দিনের-পর-দিন এভাবেই বঞ্চিত হচ্ছে সর্বস্তরে।আজ একটি বোনের আর্তনাদ দেখে আমার এই কবিতাটির সৃষ্টি।হয়তো অনেকের জীবনের সাথে মিলে যেতে পারে। প্লিজ আমাকে কেউ ভুল বুঝবেন না। কারন আমার চোখের সামনে আমি যেসব ঘটনা দেখি, যেগুলো আমার হৃদয়ে এতোটুকু নাড়া দেয়, আমি সেই বিষয় নিয়ে দু'কলম লিখার চেষ্টা করি। এটা আমার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।তবে আমার bangla-blog পরিবারের সকল ভাইদের প্রতি আমার আহবান থাকবে আমরা কেউ যেন আমাদের বোনদের সাথে এরকম অবিচার না করি।মধুময় হোক পৃথিবীর সকল ভাই-বোনদের বন্ধন।এটাই প্রত্যাশা।
মেয়েদের একা ছাঁড়ি,
কবর দেশে যায় চলে যায়
নিয়ে যায় আঁড়ি।
কোথায় ছিল বাবার বাড়ি
ভুলে গেছি আজ,,
সেই বাড়ীতে চলছে নাকি
ভীষণ কারুকাজ।
দোকান-বাড়ি জায়গা-জমি
সবি হয়েছে ভাগ,,
সবকিছুই ভাইয়েরা পেল
বোনের মনে দাগ।
বোনদের নাকি নেই অধিকার
নেইতো তাদের হক,
বোনদের জন্য ভাইয়ের বাড়ির
দরজা থাকে লক।
এই সমাজের এই অনিয়ম
চলবে কতদিন,
বাবার অংশ ভাইয়েরা নিয়ে
বাজাবে সুখের বিন।
বোনেরা নাকি পরের বাড়ির
তাই করেছে পর,
বোনের কথা মনে হলেই
আসে ভীষণ জ্বর।
কোথায় গেল দুষ্ট মিষ্ট
ভাই আর বোন,
চারিদিকে সবাই খোঁজে
শুধুই প্রয়োজন।
♦♦♦♦♦♦♦
১ এপ্রিল ২০২৩ইং
সময় রাত ৯:৫৬
কবিতা কুটির, নীলফামারী।
আমি সেলিনা সাথী। আমার প্রফেশন, প্রেজেন্টার, ট্রেইনার ও মোটিভেটর। আমি একজন সমাজ কর্মি ও সংগঠক। এছারা ও তৃনমূল নারী নেতৃত্ব সংঘের নির্বাচিত সভাপতি বাংলাদেশ। আমি "নারীসংসদ"
এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি "সাথী পাঠাগার"। আমার লেখা মোট ১০ টি একক ও যৌথ কাব্য গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। একুশে বই মেলায় প্রতি বছর একটি করে কাব্য গ্রন্থ প্রকাশের চেস্টা করি। আমার লেখা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে "মিস্টি প্রেম" (উপন্যাস), "অশ্রু ভেজা রাত" (কবিতা), "জীবন যখন যেমন" (কবিতা), "একুশের বুকে প্রেম" (কবিতা), "নারীকন্ঠ" (ম্যাগাজিন) অন্যতম।




আপু আপনার কবিতার মধ্যে বাস্তব জগতের কিছু কথা তুলে ধরেছেন। সত্যিই এমন অনেক মেয়ে আছে যাদের সাথে দিনের পর দিন এই কাজগুলো করা হচ্ছে। ছোটবেলায় ভাই-বোনদের মধ্যে যে সম্পর্ক থাকে বড় হওয়ার পর হঠাৎ করে এসে সেই সম্পর্ক কেন জানি ভেঙ্গে যায়। আপনার এই কবিতা পড়ে সত্যিই অনেক খারাপ লেগেছিল। কখন জানি চোখের কোনায় জল এসে জমা হয়েছে।আজ একটি বোনের আর্তনাদ দেখে আপনি খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি কবিতা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু প্রতিদিন এরকম হাজারো বোনের চোখের পানি ঝরছে অঝোরে। আপনার চোখে জল এসেছে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এটাই বাস্তবতা।!♥♥
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই -বোন নিয়ে লেখা আপনার স্বরচিত কবিতা। আসলে কবিতাটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে আপু বিয়ের পর মেয়েদেরকে বাবার বাড়ি কোথায় ছিল সেটা ভুলে না গেলেও ভুলে যাওয়ার মতই। আসলে আপু আমি বিশ্বাস করি না বোনদের জন্য ভাইয়ের দরজা লক হয়ে যায় আমি মনে করি বোনদের জন্য ভাইয়ের দরবারে সবসময় খোলা। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কবিতা শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আমি সব ভাইদের উদ্দেশ্যে কিন্তু বলিনি কিছু কিছু ভাইয়েরা বোনের জন্য তাদের দরজা লক করে দেয়।যা আমার জীবনে বাস্তব দেখা। আর সেই দেখা থেকে আজকের এই লেখা।♥♥
আপু আপনি বাস্তবতা নিয়ে সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। আপনার কবিতার সাথে বাস্তবতার অনেক মিল রয়েছে। সত্যি আপু ভাই বোনের সম্পর্ক হলো মধুর সম্পর্ক। এই সম্পর্ক শেষ হবার নয় তবে কি কারণে যে সম্পর্ক ভেঙে যায় বুঝা মুশকিল। যাইহোক একটি মেয়ের আর্তনাত দেখে আপনি সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আজকের এই কবিতা ভাই বোন।লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।পৃথিবীতে সকল ভাই বোনের সম্পর্ক মধুময় হোক এটাই প্রত্যাশা।♥♥
হুম আপু আপনি ঠিক কথাই বলেছেন ৷ এটা ঠিক যে বর্তমান আমরা প্রতিনিয়ত তাই দেখছি ৷ বাবা মায়ের সম্পত্তির ভাগ ছেলেরা পেয়ে থাকে৷ তবে যতটা জানি এখন ছেলে মেয়ে সমান অধিকার ৷ যদিও আরও জানি এটা নিয়ে একটা আইন পাশ হয়েছে ৷ কিন্তু তার কার্যবিধি দেখে যায় না ৷ আর এখন বলা যায় প্রতি পরিবারে এসব নিয়ে ঝগড়া বিবাদ করে ৷ যা হোক ভালো লিখেছেন ৷
সেই সাথে কবিতার প্রতিটি লাইন বেশ মিলিয়ে লিখেছেন ৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার সুস্থতা কামনা করি ৷
ভাইয়া আইন আছে সেটা আমরা সবাই মোটামুটি ভালোভাবেই জানে কিন্তু এই আইনকে তোয়াক্কা করে না কিছু কিছু ভাইয়েরা।আর ভাইদের প্রতি তীব্রতর ভালোবাসার কারণে বোনেরাও আইনের আশ্রয় নেন না।এটা ভাইদের প্রতি বোনের অসীম ভালোবাসা।♥♥
গত বৃহস্পতিবার আপনি অসুস্থ ছিলেন,তাই হ্যাংআউট এর বিনোদন পর্বে উপস্থিত ছিলেন না।আপনার আজকের কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।আপনার কবিতা বেশ অর্থবহুল।আসলেই ছোট বেলায় ভাইবোনদের মধ্যে যে মধুর সম্পর্ক থাকে,বড় হওয়ার পর কিছুক্ষেত্রে সম্পর্কের মারাত্মক রকম অবনতি দেখা যায়।ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর বাস্তবসম্মত একটি কবিতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই-বোনের এই মধুর সম্পর্ক গুলো টিকে থাক আজীবন। এটাই প্রত্যাশা করি। কিন্তু এত সুন্দর সম্পর্ক গুলোর মধ্যে কেন যে ফাটল ধরে, তা বুঝতেই পারিনা। আসলে বোনদের বড় বেশি আকাঙ্ক্ষা থাকে না ভাইদের প্রতি। তবুও ভাইয়েরা কেমন যেন বদলে যায়।♥♥
আপনার আজকের কবিতাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। সত্যিই কবিতার ভাষায় অসাধারণ হয়েছে। আপনার প্রত্যেকটা কবিতার আমার ভালো লাগে। এই কবিতাটি অসাধারণ।
আপনার লেখা ভাই বোন নিয়ে অসম্ভব সুন্দর একটি কবিতা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপু। আপনার প্রতিটি কবিতা আমাদের কাছে অনেক ভালো লাগে। পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের ভাই বোনের নিবির সম্পর্ক রয়েছে । তবে কোন এক সময় এই সম্পর্ক আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়। আমার চোখের সামনে আমি এরকম অনেক সম্পর্ক ভেঙ্গে যেতে দেখেছি । অনেক মধুর কষ্টের এই ভাই বোনের সম্পর্ক।
কবিতাটি যদিও ছোট কিন্তু এর মানে কিন্তু বিশাল। আজকাল সমাজে বোনদের কে ঠকানো যেন ভাইদের একটি অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে। কি করে বোনদের সম্পতি মেরে খাবে তাই নিয়ে মনের ভিতর সব কুটিলা বাধঁতে থাকে ভাইয়েরা। কবিতার মধ্যে একটি প্রতিবাদি শুর ছিল আপু।