💔অল্প বয়সে বিয়ে যেন রাকিব এর জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ালো 💔 পর্ব -১||10% @shy-fox
আপনারা সকলে কেমন আছেন?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আজ একটি বাস্তব কাহিনী আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। কাহিনীর মূল বিষয় হচ্ছে অল্প বয়সে বিয়ে যেন রাকিবের জীবনে কাল হয়ে দাঁড়ালো |
---|
রাকিবের ফ্যামিলিতে রাকিব এ ছিল বড় সন্তান। তার আরও তিনটি ভাই আছে। তারা চার ভাই তাদের এবং তাদের শৈশবকাল অনেক কষ্টে কেটেছে অভাব-অনটনের ভিতর দিয়ে।ছোটবেলায় মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দেয়া হল এতিমখানায় এবং সে সেখান থেকেই মানুষ হলো কিন্তু দুঃখের বিষয় সে সেখানে বেশিদিন থাকে নাই। চাউল আনতে যেত পাড়ায় পাড়ায় এবং তার পক্ষে সেটা মেনে নিতে কষ্টকর হয়েছে বলে সে ওখান থেকে পালিয়ে এসেছে আবার সে জেনারেল এ ভর্তি হল।তারা মেজো ভাই ছিল তার নাম মমিন এবং তারা এভাবেই বেড়ে উঠছে দুজন কিন্তু আরো পরপর দুইটা সন্তান হল রাজীব এবং সাব্বির এর ফলে তার মা মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে একটা সময় পাগল হয়ে গেছিল। চার সন্তান মানুষ করা যে কতটা কষ্ট।সবার ভিতর অনেক ভয় কাজ করছিল তাদের ভিতর এত অল্প বয়সে মাকে হারানোর একটা শোকের ছায়া তাদের ভিতর যেন আমি দেখতে পাচ্ছিলাম |
---|
তারপর একটা সময় তার মা তার ছোটছেলেকে ফেলে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে। একদিন সে কোলে করে সেটাকে নিয়ে যাচ্ছে দিয়ে মানুষজন দেখে ফেলছে বলে কিছু করতে পারে নাই। তারপরে আবার ছেলে টাকে মা কাছে টেনে নিল আসলে মা কে দোষ দিয়ে কি হবে মাথার সমস্যার কারণে এমন পরিস্থিতি
🥺
একটা সময়ের পর তারা আম্মুকে 10 লাখ টাকা খরচ করে এবং চিকিৎসা করা হলো এবং মাথা কিছুটা ভালো হয়ে গেল তারপর তাদের ফ্যামিলি একটু শান্তির ছোঁয়া দেখতে পেল। ছেলেমেয়েগুলো ভালোভাবে মায়ের আদর পেল। এখন সবাই বড় হয়ে গেছে তখন পরিবারে আর ও অশান্তি আসলো। |
---|
রাকিব ছিল বেকার। সে কিছু করেনা তার বাবার একটি ব্যবসা ছিল এবং ব্যবসা করতো তাতে তাদের সংসার চলত। হঠাৎ একদিন তস্কে বলছে বিয়ের জন্য রেডি হতে। বাড়িতে অশান্তি কাজ করার জন্য কোনো মানুষ নাই। রান্না করে খাওয়ার মত কারো ক্যাপাসিটি নাই।খাওয়ার কোনো ঠিক নাই। পরিবারে অশান্তি তার বিয়ে দেয়ার জন্য সবাই ওঠে পড়ে লাগছে। |
---|
আসলে বিয়ে জিনিসটা তাড়াহুড়ো করে দেয়া ঠিক না কারণ একটা ছেলে আর মেয়ে সারা জীবন একসাথে কাটাবো তাই চিন্তাভাবনা করে দেয়া উচিত
তারপর হঠাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যাবেলায় বিয়ে ঠিক হয়ে গেল। আমরাও সকলে রেডি হয়ে গেলাম। বিয়ে খাওয়ার জন্য। অনেক আনন্দ উৎসব মুখর পরিবেশে বাড়ীতে তৈরি হয়ে গেল তারপর বিয়ে করে আনা হলো বউ দেখতে সবাই। আনন্দ এর ছায়া পুরা পরিবারের মুখে।তখন আমার খুব এ ভালো লাগছিল। |
---|
আমার মন বলছিল যে আসলে বিয়ে করে তাদের পরিবার একটু সুখের ছায়া দেখতে পেল।
তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলতে থাকল তারপর হঠাৎ তাদের জীবনে কেমন অশান্তি বয়ে আনলো কারণ মেয়েটি একটি ছেলেটিকে ভালোবাসতো। সে অনেক পাগলামি শুরু করল। সে রাকিবকে দেখতে পারত না। কথায় কথায় তাকে ঘৃণা করতো। তার কথায় কোনো দাম দিত না।
তারপর তার ফ্যামিলিকে জানানো হয় তারা ফ্যামিলি মেয়েটাকে ঠিক করতে পারল না। একদিন মেয়েটি ওই ছেলেটির জন্য হাত কেটে বসে থাকল ছেলেটির ফ্যামিলিতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়ে গেল। আসলে বিয়ে জিনিসটা জেনেশুনে দেওয়াই উত্তম বিয়ে কারো জীবনে সুখ আবার কারো জীবনে অভিশাপ বয়ে আনতে পারে।কে জানতো মেয়েটি প্রেম করে।তারপর হঠাৎ একদিন মেয়েটি ছেলেটিকে ডেকে নিয়ে গেলো তার বাড়িতে এবং ছেলেটির পরিবারের লোক তাকে যেতে মানা করছিল কিন্তু ছেলেটি গিয়েছিল আসলে ছেলেটিকে কিছু করার ধান্দা ছিল কিন্তু করতে পারেনাই ছেলেটি বাড়ি ফিরে চলে এসেছে ভালোভাবে। |
---|
তারপর তাদের ফ্যামিলিতে অশান্তি সৃষ্টি হয়ে যায় এবং দুই পরিবারের মীমাংসা করার জন্য ছেলেটির পরিবারকে মেয়েটির বাড়িতে ডাক দেয় এবং সেখানে মীমাংসার জন্য অনেক মানুষ গিয়েছিল। গিয়ে মেয়েটির ফ্যামিলি ছেলেদের অপমান করে এবং তারপর ছেলেটির মন ভেঙ্গে যায় ছেলেটি না পারে বাবা মার দিকে তাকাতে না পারে ন নিজের দিকে তাকাতেই। সে আসলেই অনেকটাই ভেঙে পড়েছিল আর বাবা মার কথা শুনে বিয়ে করে অল্প বয়সে তার ওপর বেকার। একটা জিনিস হচ্ছে বাবা-মা আর কতদিন দেখবে নিজেকে তো নিজের মতোই চালাতে হবে। ১ম তিন মাস তো সকলেরই ভালো লাগে তারপরও নিজের সবকিছু নিজেকে চালাতে হয়।অতঃপর ছেলেটি মেয়েটিকে বাদ দিয়ে দিল। |
---|
তারপর ছেলেটির জীবন যেন কাল হয়ে দাঁড়ালো সে যেন পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়ালো
সে কিন্তু পরিবারের কথা শুনে বিয়ে করেছিল আসলে মানুষের জীবন এমনই না বুঝে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক না। আসলে এখান থেকে একটা শিক্ষা পাওয়া যায় যে বুয়ে জিনিসটা জেনেশুনে করাই উত্তম কারণ সারা জীবন একসাথে থাকতে হবে।তারপর ছেলেটি সারাদিন কান্নাকাটি করতে থাকলো বাড়ি থেকে বিরত না তার ভিতরে অনেক টেনশন কাজ করতো।এবং সে পরিবারের বোঝা হতে লাগল। তাকে কেউ দেখতে পারতো না তারপর আসলেই এত কান্নাকাটি করতো ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছিল। |
---|
এইভাবে ছেলেটি মেয়েটিকে ছাড়া তিন মাস কেটে গেল অতঃপর যা ঘটল ভাষা হারিয়ে ফেললাম । |
---|
বিয়ে শুধুমাত্র একটা ইভেন্ট না।
এটা চিরজীবনব্যাপী অব্যাহত এক অটুট বন্ধন। তাই সবারই খুব ভেবে চিন্তে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। আর নির্দিষ্ট একটা সময় না আসা পর্যন্ত বিয়ে করলে অনেক কিছুই ঠিক সময় মতো বুঝে ওঠা যায়না।
খুবই সুন্দর করে আপনি লিখেছেন বিষয়গুলো নিয়ে।
অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাই
হ্যাঁ ভাইয়া ভাল বলছেন।আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাই অসাধারণ গল্প। আপনার গল্প পড়ে আমার এক ভাই এর কথা মনে হলো। সে ক্লাশ ৯ এ থাকতে বিয়ে করছিল। এখন সে বউ সহ গার্মেন্টস এ কাজ করে। আমাদের সব কাজ বুজে শুনে করা উচিত। এই জন্যই লোকে বলে, ভাবিয়া করিয় কাজ, করিয়া ভাবিও না।
আপনি খুবই সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাইয়া। আমাদের আগে ভাবতে হবে তারপরে কাজ করতে হবে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আসলে বিয়ে কোনো ছোটখাটো বিষয় নয়। যে বললেই হয়ে যাবে। সেটার জন্য অবশ্যই ভেবে চিন্তে ডিসিশন নিতে হবে। যে মানুষটার সাথে সারাজীবন কাটাতে হবে তার সম্পর্কে আগেই জেনে নেয়া ভালো। আর সবকিছুর জন্য একটা নির্দিষ্ট বয়স থাকে। বয়সের সাথেই সবকিছু সম্পর্কে ভালো ধারণা হয়। খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন ভাইয়া। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
সত্যিই আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। বিয়ে করার জন্য আসলে একটা মানুষকে আগে চিনতে হবে
অতিরিক্ত চাপিয়ে দেওয়া কোনো কিছুর ফল ভালো হয় না।গল্পটির মধ্যে অনেক বেদনা ফুটে উঠেছে।পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।সুন্দর লিখেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। এত মন্তব্য করার জন্য।
আসলে বিয়ে বিষয়টা ভেবেচিন্তে দেওয়া উচিত। অন্ততপক্ষে বিয়ের কাজটা তাড়াহুড়ো করা উচিত নয়। আপনার এই লেখা থেকে আমরা শিক্ষা পেলাম। বাস্তবধর্মী লেখা থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কাজে দেবে। সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনি সঠিক কথা বলেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন ভাই। আসলে বিয়ে কোন তাড়াহুড়ো করে দেয়ার বিষয় না। তরিহরি করে বিয়ে করে এখন রাকিবের পরিবারে অশান্তি নেমে এসেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই।
হুম ভাইয়া।ধন্যবাদ
আপনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট করেছেন। আসলেই বিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, প্রতিটা মানুষের জীবনে বিয়ের কে প্রাধান্য দিতে হবে অনেক। আর এই বিয়েটা তাড়াহুড়া করে করা যাবে না। ভেবে চিন্তে করতে হবে, তাড়াহুড়া করে বিয়ে এবং অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়ার কারণে অনেক জীবন নষ্ট হয়ে যায়। আপনি খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
|
আপনার মন্তব্য এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
|আসলে একটা মানুষের জীবনে বিয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তাই এটিকে খুব তাড়াহুড়ো করে নেওয়াটা বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।দুটি জীবনের জীবন নির্ভর করে দুটি জীবনের উপর।তাই সব কাজই করে বিয়ে নামক এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কখনোই ঠিক হয়না।
আপনার গল্পটিকে বাস্তবতা ছুঁয়ে গেছে গল্পটি শুনে চোখে পানি চলে এল।ছোট্ট একটি ভুল সারা জীবন এর মাশুল দিতে হয়।জীবন দিয়েও যেন শুধরানো যায়না।।♥♥
হুম আপু। বিয়ে জিনিস টা দেখে শুনে দেওয়ায় উত্তম