শপিং এবং সাথে রয়েছে কিছু ফটোগ্রাফি
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
ইউ কে তে এখন ক্রিস্টমাসের আমেজ।চারিদিকে সাজসজ্জা, লাইটিং পুরো শহর আলোকিত।এমন কোন বাড়ি পাওয়া যাবে না যেখানে ক্রিস্টমাসের সাজসজ্জা নেই।কোন কোন বাড়ি তো একেবারে বিয়ে বাড়ির মত সাজিয়ে রেখেছে লাইটিং করে।সকলের বাড়িতেই ডেকোরেশন করা খ্রিস্টমাস ট্রি রয়েছে, কারও বাড়িতে ছোট, আবার কারও বাড়িতে বড়।আর এ লাইটিং সাজসজ্জা থাকে ৩/৪ দিন পর্যন্ত যেহেতুএখন ক্রিস্টমাসের ছুটি চলছে তাই বাচ্চাদের স্কুলও বন্ধ রয়েছে।দরকারি কিছু কেনাকাটা ছিল তাই বাচ্চাদেরকে নিয়ে চলে গেলাম শপিং এ। আর বাচ্চারাও শপিং এর নাম শুনলেই খুবই এক্সাইটেড হয়ে যায়।আরেকটি কথা বলে রাখি, এখন ইউ কে তে চারিদিকে শুধু সেল এর ছড়াছড়ি।চারিদিকে এখন সবকিছুই সেল এ পাওয়া যাচ্ছে, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স, কাপড়-চোপড়, আসবাবপত্র সহ আরও অনেক কিছুই এখন সেল এ পাওয়া যাচ্ছে।আর এই সেলগুলো থাকে ক্রিস্টমাসের ২ দিন পর থেকে প্রায় তিন চার দিন। যেহেতু বাচ্চাদের কিছু কাপড়-চোপড় এবং আমাদের আরও দরকারি কিছু জিনিসপত্র কেনার দরকার ছিল তাই এই সুযোগটি আমরাও কাজে লাগিয়ে ফেললাম।
সকালবেলায় সাড়ে ৬:৩০ সময় ফজরের নামাজ পড়ে নাস্তা করে আমরা সকলে বের হয়ে পড়লাম।কারণ এই সেল এর সময় একটু আর্লি যেতে হয়।মানুষজন তো এ সময় অন্ধকার থাকতেই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকে শপিং করার জন্য। সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে নেক্সট শপিং সেন্টারে।কারণ এখানে কাপড় চোপড় গুলো সবচেয়ে বেশি এক্সপেন্সিভ থাকে সব সময়।আর এই সেল দেওয়ার কারণে সকলে হুমড়ি খেয়ে পড়ে এই শপগুলোতে।এই সেল উপলক্ষে প্রায় 40 থেকে 70% পর্যন্ত অফ থাকে কাপড় চোপড় সহ অন্যান্য প্রডাক্টগুলো।আর এ সময় শপগুলোতে প্রচুর ভিড় থাকে।কে কোনটা নিবে সেটা নিয়ে অস্থির হয়ে যায়।অনেকেই তো শুধু রেনডমলি শুধু ব্যাগে ভরতেই থাকে। কোনটা রেখে কোনটা নিবে তা না বুঝতে পারেনা। এ কারণে বাসায় গিয়ে পছন্দমত রেখে আবার ফেরত দিয়ে যায়।এ দেশের শপগুলোতে ফেরত দেয়ার সিস্টেম রয়েছে।প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত ঘরে রাখা যাবে।২০ দিনের বেশি হলে আর ফেরত দেওয়া যাবে না।
মার্কেটের ভেতরে রেইন্ডার এবং তার চারিপাশে ডেকোরেশন।
কান্টি মলের ভিতরে।
কান্টি মলের ভেতরে ফুড বিক্রেতা খাবার নিয়ে বসে রয়েছে।
এই শপে ৭০ পার্সেন্ট এর মত অফ চলছে কাপড়চোপড় গুলোতে।
এখানে ৫০ পার্সেন্ট এর মত অফ চলছে।
বড় মেয়ের জন্য এক জোড়া জুতো কিনে নিলাম। কিন্তু জুতোতে কোন সেল ছিল না, মাত্র ৫% এর মত অফ ছিল। টোটাল ৫৫ পাউন্ড এর মত ছিল জুতার মূল্য।
টোটাল চারটি শপিং ব্যাগ ভরে ফেললাম। এরপর গ্রসারি শপ থেকে আমাদের দরকারি আরো কিছু জিনিসপত্র কিনে নিলাম।
এত গাড়ি ছিল ওখানে যে আমাদের গাড়ি কোথায় পার্ক করেছিলাম তা খুঁজে পেতে পেতে বেগ পেতে হয়েছিল। তাহলে চিন্তা করে দেখুন এ সময় মানুষ কি হারে শপিং করে।যাইহোক ৩ ঘন্টা ধরে আমাদের শপিং শেষ করে অবশেষে বাসায় ফিরলাম।
আজ তাহলে এতটুকুই, আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব আপনাদের মাঝে।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

শপিং করেছেন এবং শপিং করা লোকেশন থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটো ধারণ করেছেন সব মিলিয়ে অসাধারণ ছিল আপনার আজকের পোস্ট। বেশ অনেক কিছু দেখার পাশাপাশি জানার সুযোগ করে দিয়েছেন এই পোস্টে।
আপু তো দেখছি সব কিছুতেই কম বেশী ডিসকাউন্ট পেয়েছেন। বেশ ভালোই হলো। শপিং ও হলো, আবার ফটোগ্রাফিও হলো। এমন সুন্দর মূহূর্ত আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
প্রডাক্ট ফেরত দেওয়ার সিস্টেম আছে জেনে ভালো লাগলো আপু। অনেক সময় কোনো প্রোডাক্ট কেনার পর বাসায় গিয়ে আর পছন্দ হয় না। আর সেটা যদি ফেরত দেওয়া যায় তাহলে কিন্তু দারুণ হবে ব্যাপারটা। আর বাংলাদেশে তো সাইজ না হলেও চেঞ্জ করে দিতে চায় না সহজে। ক্রিস্টমাস উপলক্ষে দেখছি অনেক ডিসকাউন্ট চলছে। আপু আপনি শপিং করেছেন আর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
এটা জেনে ভালো লাগলো কাপড়চোপড় কিনলে ব্যাক দেয়া। বাংলাদেশে তো আপু মারামারি লেগে যেত! যাইহোক, ক্রিসমাস উপলক্ষে পুরো ইউকে তাহলে নতুন সাজে সেজেছে। এমন সময় শপিং করার মজাটাই অন্যরকম।
শপিংমলে এমন সেল থাকলে ইচ্ছেমতো শপিং করতে ইচ্ছে করে। আপনারা বেশ ভালোই শপিং করেছেন দেখছি। ক্রিস্টমাস ডে উপলক্ষে সব জায়গা অনেক সুন্দর করে সাজানো হয় বলে, দেখতে আসলেই দারুণ লাগে। যাইহোক ফটোগ্রাফি গুলো দারুণভাবে ক্যাপচার করেছেন আপু। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।