আমরা বাংলা ব্লগের পরিবার গভীর শোকাহত😪
হ্যালো,
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি তবে গভীরভাবে শোকাহত আমাদের কমিউনিটির ফাউন্ডার ও কো-ফাউন্ডার দাদার বাবা মেসো মশাইয়ের মৃত্যুতে। আপনারা আমি আমরা সবাই গভীর শোকাহত। আসলে আমার বাংলা ব্লগের পরিবারের সবাই শোকাহত। আমরা সকলেই জানি আমাদের ফাউন্ডার দাদারও কো-ফাউন্ডার দাদার শ্রদ্ধেয় বাবা ইহলোকের মায়া মমতা ত্যাগ করে সৃষ্টিকর্তার ডাকে সারা দিয়ে পরলোক গমন করেছেন।আসুন আমরা সবাই প্রার্থনা করি ওনার শান্তি কামনাও সৃষ্টিকর্তা জেনো তার চরণে স্থান দেন।
আমি মেসোমশাইয়ের আত্নার শান্তি কামনা করছি ও স্বর্গ লাভ করুক সেই প্রার্থনা করছি।
প্রথমে যখন এনাউন্সমেন্টে দাদার বাবার মৃত্যুর খবর টি দেখলাম তখনই ভীষণ খারাপ লেগে গেছে । তারপর যখন দেখলাম দাদার অনুভূতি যে "আমার হৃদয়টা আজ শত টুকরো হয়ে গেলো।পিতৃ শোক যে এত তিব্র হয় " এই কথাটা পড়ার সাথে সাথে আমার মনটাও শত টুকরো হয়ে গেছে। পড়তে গিয়ে নিজের অজান্তেই চোখের কোনে জল চলে এসেছে। দাদার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সকলের প্রতি সমবেদনা।
বাবা এমন এক ব্যাক্তি যার ঝণ কখনো শোধ হয় না।মা এবং বাবা দুজনেই সন্তানের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।যার বাবা নেই সে বুঝতে পারে বাবার অভাব কেমন। একজন বাবা ছারা সন্তানের জীবন ছন্নছাড়া হয়ে যায়।বাবার স্নেহ ভালোবাসা, বাবার প্রতি সন্তানের শ্রদ্ধা সব মিলিয়ে সৃষ্টি কর্তার অপূর্ব মিল বন্ধন।
কারো বাবা যদি অসুস্থ হয়েও বিছানায় থাকে তবুও মনে হয় মাথার উপরে একটি ছাতা আছে।বাবা নামক ব্যাক্তিটি আমাদের জীবনে বটবৃক্ষকের ন্যায়।যতদিন বেঁচে থাকে ততদিন ছায়া দিয়ে যায়। ছোটবেলায় একমাত্র ভরসার নাম মা,বাবা।নিজে সখ আহ্লাদ বিসর্জন দিয়ে সন্তানকে সুখে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে।
বাবার কাছে প্রতিটি সন্তানেই ভীষন গুরুত্বপূর্ণ। বাবা হারা জীবন অনেক কষ্টের।যার চলে যায় সে বোঝে আপনজনের কষ্ট কতোটা তিব্র থেকে তিব্রতর হয়।দাদা ও ছোট দাদা কি ভাবে এই বেদনা কাটিয়ে উঠবে সেটাই বার বার মনের মাঝে উঁকি দেয়।আমার দাদূ যখন মারা গেছে তখন আমর বাবা,কাকাকে কাঁদতে দেখেছি এই কান্না হৃদয় চুরমার হওয়া এক কান্না।বাবাকে অনেক দিন ভালো কোন কাজে বলতে শুনেছি বাবা থাকলে তো এতো টেনশন করতে হতো না আমাকে। বাবা প্রতিটি সন্তানের জীবনের সঠিক পথ প্রদর্শনক।
বাবার স্মৃতি আমৃত্যু কাঁদায় বাবাকে হারানোর পর এটা উপলব্ধি করতে পারে সবাই।বাবা নামক ভালোবাসা জীবন থেকে হারিয়ে যাবে এটা কখনো কল্পনায় ও আনতে কষ্ট হয়।একজন ব্যাক্তি বাবা হওয়ার পর বাবার মূল্য বেশি বোঝতে শুরু করতে থাকেন। ছোট ছোট হাত ধরে হাঁটি হাঁটি পা পা করে বাবা সন্তান কে বড় করে তোলে।কতো আদরের শিশুটিকে নিজ হাতে স্কুলে নিয়ে যায়।বাবার হাত ধরে সন্তান আস্তে আস্তে বেড়ে ওঠে।বাবার কোলে ঘুমায়। শত ব্যাস্ততার মাঝেও সন্তানকে খুশি রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করে।
একজন বাবা সাধ্যের মধ্যে সন্তানের সবটুকু চাহিদা পুরন করতে পিছু পা হয় না।মৃত্যুর স্বাদ প্রতিটি মানুষকে পেতে হবে এটাই একমাত্র সত্যি ও বাস্তবতা কিন্তুু তবুও আপনজনকে হারানোর বেদনায় হৃদয় টুকরোটুকরো হয়ে যায়।মেনে নিতে কষ্ট হয়।চাপা কান্না সারাজীবন বয়ে বেরাতে হয় বাবা হারা সন্তান কে।সব কিছুর মাঝে কোথাও একটা অপূর্ণতা থেকে যায় সন্তানের মনের গভীরে।
ভালো থাকুন পৃথিবীর সব বাবারা। ভালো থাকুক দাদার পরিবারের প্রতিটি সদস্য এবং দুই দাদা কে সৃষ্টিকর্তা ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দেবেন। এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।দাদার পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ও নিরাপদ থাকবেন।
টাটা
| পোস্ট | বিবরণ |
|---|---|
| পোস্ট তৈরি | @shapladatta |
| শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
| ডিভাইস | OppoA95 |
| লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।





আসলে পৃথিবীতে যার বাবা নেই, সেই বুঝে বাবা হারানোর কতটা যন্ত্রণা। আসলে প্রতিষ্ঠাতা দাদা আমাদের সবাইকে সব সময় বিভিন্ন ভাবে খুশি রাখার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আমরা দাদার এই শোকে একটু শোক ভাগ করে নিতে পারছি না। আমরা শুধু দাদা এবং দাদার পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া এবং আশির্বাদ প্রার্থনা করবো, যেন মহান সৃষ্টিকর্তা তাদের কে ধৈর্য্য ধারণ করার তৌফিক দান করেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া দাদার পরিবারের প্রতি দূর থেকে প্রার্থনা করতে হবে।ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
দাদার লেখা কথাটি পড়ে সত্যি অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। আমার মনে হচ্ছিল যেন আমার ভিতরটাও টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। আসলে এই কষ্টটা কখনো মেনে নেওয়ার মতো নয়। বাবা হারানোর কষ্ট খুবই বেশি। আপনি আপনার লেখার মাধ্যমে খুবই সুন্দর করে নিজের অনুভূতি তুলে ধরেছেন।
দাদার লেখাটা সত্যি ভীষণ আবেগঘন। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
দাদার এই অনূভুতি টা আমি খুব ভালো বুঝতে পারছি। আজ দশ বছরের বেশি বাবাকে হারিয়েছি। আমি জানি এই শোক এই শূণ্যতা আসলে কেমন। বাবা নামক বটগাছ মাথার উপর না থাকলে পৃথিবী টা চেনা যায়। খবর টা শুনে খুব খারাপ লেগেছিল। দাদা কে ধৈর্য্য ধারণ করতে বলা ছাড়া আর কিছু বলার নেই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাবা নামক বট গাছটি না থাকলে পৃথিবীটা চেনা যায়।
যে মানুষটা আমাদের সব সময় ভালো মন্দ দেখাশুনা করেন। আমাদের খুশি থাকার জন্য নানান পদক্ষেপ নেন। আজ তিনি নিজেই অনেক কষ্টে আছেন। জানিনা এ শোক উনি কখনো ভুলতে পারবেন কিনা। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতো ভাষাও আমার নেই। তবে চাইবো দাদা যেন খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। উনার বাবা যেন পরপারে ভালো থাকেন এটাই চাওয়া।
ধন্যবাদ সাবলীল মন্তব্য করার জন্য।