পেছনের গল্প( পর্ব: ৩৬ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
২০২২ সালের মে মাস। ঈদ কয়েকদিন হলো শেষ হয়েছে। চতুর্থ সেমিষ্টার শেষ হয়েছিল ঈদের আগে। ঐদিন পঞ্চম সেমিষ্টারের শুরু অর্থাৎ প্রথম ক্লাস। প্রথম ক্লাসে শিক্ষার্থীরা কমই আসে। তার উপর আবার ঈদ।আর ক্লাসের ব্যাপারে একেবারেই নিয়মিত ছিলাম। অর্থাৎ কখনোই মিস দিতাম না। প্রতি সেমিষ্টারে আমার উপস্থিতি থাকতো ৯০% এর উপরে। তো ঐদিন আমি গেলাম ক্যাম্পাসে। স্বাভাবিক ভাবেই খুব বেশি কেউ আসছিল না। হাতে গোনা আমরা চার পাঁচজন ছিলাম। আমি তুহিন দুই রাসেল এবং মেহেদি। তুহিনকে মূলত আমি একটু জোরপূর্বক নিয়ে যেতাম। আমাদের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার কারণে আমি ক্যাম্পাসে গেলে ওকে যাওয়াই লাগত। ও চাইলেও না করতে পারত না।
তো প্রথম দিন চলে গেলাম। রুটিন দেখে ক্লাস রুমে গিয়ে বসলাম। কিন্তু স্যার ম্যামদের কোন খোঁজ নাই। তারা নিজেরাও ক্যাম্পাসে আসে না। ম্যামের কাছে ফোন দেওয়ার পরে উনি প্রথমেই বলে কতজন আসছ। যখনই আমরা সংখ্যা টা বলি ম্যাম বলে এইকজন কে ক্লাস নিব না। অন্যদের থেকেও যে উওরটা এমনকিছুই আসবে সেটা আমাদের জানা ছিল। তো তখন কী করব ভাবছি। এরই মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল। একটু স্মরণীয় ভাবে বলতে গেলে ঐটাই ছিল ক্যাম্পাসে আমার প্রথম বৃষ্টি উপভোগ। বৃষ্টির সাথে বেশ বাতাস ছিল। যাইহোক বৃষ্টি শুরু হলে আমি বাইরে গিয়ে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে সেই উপভোগ করছিলাম। মোটামুটি একা একা দাঁড়িয়ে আছি। ঐসময় ওখানে আমার আর দুই বন্ধু রাসেল এবং তুহিন এসে উপস্থিত হয়।
আমাদের ক্যাম্পাসের পরিবেশ বরাবরই সুন্দর। ক্যাম্পাসের মধ্যে রয়েছে অনেক গাছপালা। বিশেষ করে বলতে হয় ফুলগাছ। বৃষ্টির পরে সেগুলো
আর বেশি ভালো লাগছিল। যাইহোক এরপরে আমরা ক্লাসে চলে আসলাম। ক্লাসে এসে আরও যে তিন চারজন ছিল সাগর, মেহেদী রাসেল ওদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলি আড্ডা দেয়। সবাই রেজাল্ট নিয়ে কথা বলছিলাম। কার কেমন পরীক্ষা হয়েছে কোন সাবজেক্ট ভালো হয়েছে কোনটা খারাপ হয়েছে। এবং খারাপ হলেও কেন হয়েছে এসব নিয়ে যথারীতি আলোচনা চলছিল আমাদের। এভাবে বেশ অনেক টা সময় আমরা কাটিয়ে ফেলি। কিন্তু আর কতক্ষণ এভাবে বসে থাকব সেটাই চিন্তা করছিলাম।
এরপরে সবাই গেলাম ডিপার্টমেন্টের দিকে। ইউনিভার্সিটিতে এসে যদিও এটাকে এখন ফ্যাকাল্টি বলি আর কী। যাইহোক ডিপার্টমেন্টে গিয়ে লেখি রোকেয়া ম্যাম এসেছে। আমাদের দেখেই ম্যামের মুখে একটা স্মিত হাসি ফুটে উঠল। এবং বলল এই কজন আসছ। যাইহোক এরপরে ম্যামের সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে মোটামুটি ঠিক করলাম আগামীকাল থেকে ক্লাস হবে সংখ্যা কোন বিষয় না। এরপর বাইরে বের হয়ে এসে আরও কিছুক্ষণ আমরা ক্যাম্পাসের ভেতরে ঘোরাঘুরি করি। বলতে গেলে ঐ সেমিষ্টার টা শুরু হয়েছিল একটু অদ্ভুতভাবে। এবং ঐ সেমিষ্টার টা আমার জীবনের অনেক বড় একটা টার্নিং পয়েন্ট ছিল। যেটার পরে অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।