ভয় আজীবনের নয়!

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

কিছু কিছু মানুষ দেখবেন অন্য মানুষকে ভয় পাওয়াতে অর্থাৎ ভয় লাগাতে অনেক বেশি পছন্দ করে। সত্যি কথা বলতে আমার কথা যদি বলি। আমি সত্যিই জীবনে এমন অনেক মানুষ দেখেছি। যারা অন্যকে ভয় লাগাতে অনেক বেশি আনন্দ পায়। অর্থাৎ বলা চলে যে একটা পৈশাচিক আনন্দ তাদের মধ্যে কাজ করে। আসলে এটা তারা ভুলে যায় যে তারা যে মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। কিংবা তাদেরকে যে মানুষ ভয় পাচ্ছে। এটা কিন্তু কখনোই আজীবনের নয়। আজকে সেই একটি ব্যাপার নিয়ে আপনাদের সাথে লেখালেখি শেয়ার করতে এসেছি। আশা করছি আপনাদের ভালোই লাগবে।

আসলে আমাদের সমাজে সত্যিই এমন কিছু কিছু নরপিশাচ আছে। যারা আসলে সব সময় মানুষের ক্ষতি করে এবং তারা যে মানুষের ক্ষতি করে সে কারণেই কিন্তু মানুষ তাদের অনেক ভয় পায়। এখন মানুষ যে তাদের ভয় পায় এটাকেই তারা তাদের মূল হাতিয়ার করে ফেলে। কারণ এটা একটা ব্যাপার খেয়াল করে দেখবেন যে, মানুষ যখন আসলে অন্য মানুষকে ভয় পাওয়া শুরু করে। সেই মানুষ কিন্তু ততোটাই মেনুপুলেট করার চেষ্টা করতে থাকে। কারণ একটা মানুষ যদি একবার বুঝে যায়। অর্থাৎ কিছু কিছু মানুষ যদি একবার বুঝে যায় যে, তাকে মানুষ ভয় পাচ্ছে। তখন সে সেটা এনজয় করা শুরু করে।

কিন্তু তারা এটা কিছুতেই বুঝে না যে কোনো মানুষ কিন্তু কোনো মানুষকে আজীবন ভয় পায় না। অর্থাৎ একটা সময় যদি তার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যায় এবং একটা সময় যদি সে নিরুপায় হয়ে যায়। তখন কিন্তু হিতে বিপরীত হয়ে যায়। অর্থাৎ সেই মানুষটি এতোদিন ভয় পেতো। আর সেই মানুষটি এখন এমন ভাবে রুখে দাঁড়াবে যে, আসলে তাকে ফেস করাটাই অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে। তাই আসলে কখনোই মানুষের উইক পয়েন্ট নিয়ে মানুষকে ভয় দেখানো কিংবা মানুষকে কষ্ট দেওয়া কখনোই উচিত নয়। কারণ ওই যে বললাম, ভয় আজীবনের নয়। একদিন ভয় কেটে গেলে অবশ্যই সে এসে আমার মুখোমুখি হবে। তাই নিজের মান সম্মান বাঁচাতে হলে অহেতুক মানুষকে কষ্ট দেওয়া কিংবা ভয় দেখানো উচিত নয়।