বৈষম্য রয়েই যায়!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা এই বিংশ শতাব্দীতে এসেও সব সময় এটা জাহির করতে চাই কিংবা সবসময় এটা দাবি করি যে ,বর্তমানে ছেলে-মেয়ে উভয়েই সমান। অর্থাৎ যতটা ছেলের চাহিদা কিংবা যতটা ছেলের প্রাপ্য অধিকার রয়েছে। ঠিক ততটাই মেয়ের রয়েছে আমাদের সমাজে। কিন্তু আমরা যে কতখানি ভুল ,সেটা হয়তো আমরা নিজেরাও জানি না। কিন্তু আমরা সেটা কোনো ভাবেই স্বীকার করতে চাই না। কারণ স্বীকার করলেই আসলে ওই ব্যাপারটিকে মেনে নেওয়া হবে। আর আমরা বেশিরভাগ সময় আসলে নিজেদের দোষ ভুলগুলোকে মেনে নিতে পারি না। আর মেনে নিতে পারি না বলেই কিন্তু এই ব্যাপারটি সত্য হওয়া সত্ত্বেও আমরা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি এবং মিথ্যা বলার চেষ্টা করি। কারণ আমরা নিজেরাও জানি যে ,আমরা আসলে পুরোপুরি ভুল।
আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রের দিকে আমরা যদি তাকাই। সেটা হোক চাকরির ক্ষেত্রে ,সেটা হোক পরিবারের ,আসলে গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে সকল দিকেই মেয়েরা এখনো পর্যন্ত অবহেলা শিকার। আর এখনো পর্যন্ত এই বৈষম্য আসলে চলমান। কিন্তু কেউই যেনো এই বৈষম্য যে রয়েছে স্বীকার করতে চায় না এবং আসলে এটাকেই জাস্টিফাই করার চেষ্টা করে যে ,এখানে আমাদের সমাজের এখন মেয়েদের কেউ সমানভাবে গুরুত্ব চোখে দেখা হয়। কিন্তু এটা যে কতখানি ভুল, সেটা আমরা সকলেই জানি। কারণ আজও আসলে আমাদের সমাজে মেয়েদেরকে অনেক হেয় করা হয় এবং মেয়েরা যদি কোনো ভালো কাজ করে। তবে তাতে প্রথমেই হাজার খানেক দোষ বের করা হয়।
অর্থাৎ সেই কাজটিতে যে তার অনেক বেশি এফোর্ট রয়েছে সেদিকে খুব একটা নজর দেওয়া হয় না। আসলে এই জায়গাটি অস্বীকার করার কোনো কিছু নেই এবং কোনো কারণ নেই। কারণ আপনি যখন কাউকে বৈষম্যের শিকার করছেন কিংবা কারো সাথে বৈষম্য করছেন। সেটা কিন্তু আপনার অবশ্যই স্বীকার করতে হবে।কারণ আপনি মুখে স্বীকার না করলেও ,সেটা যে কাজে স্বীকার হচ্ছে না এমন কিন্তু কিছু নয়। অর্থাৎ বৈষম্য আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে এখনো রয়ে গিয়েছে। আমরা শুধুমাত্র নামেই আমাদের জীবনে ডিজিটালাইজেশন বলে কিংবা সভ্যতা বলি ,এই শব্দগুলোর ব্যবহার শিখেছি। কিন্তু এই শব্দগুলোর কি মাহাত্ম কিংবা এই শব্দগুলোর সঠিক ব্যবহার কি। সেটা আমরা আজ পর্যন্ত শিখতে পারিনি এবং সে কারণেই ওই নারী পুরুষের বৈষম্যটা আমাদের মনের মধ্যে থেকে গিয়েছে। আর সেটা যদি হয় বাঙ্গালীদের ব্যাপার। তাহলে তো আরো কথাই নেই। কারণ এটা তাদের একেবারেই একটা খুব প্রিয় বস্তু বলা চলে ,যেখানে নারীদের অবজ্ঞা করা হয়।

