কাজের সময় শূন্য!
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
কিছু কিছু মানুষের স্বভাব দেখলে, সত্যি কথা বলতে, আমার বেশ বিরক্ত লাগে। আর বিরক্ত লাগার আসলে যথেষ্ট কারণ রয়েছে, অর্থাৎ শুধু শুধু যে বিরক্ত লাগে, ব্যাপারটি তেমন নয়। এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করে যে, পরিস্থিতিতে সকলেরই অস্বাভাবিক লাগাটাই স্বাভাবিক। আসলে, আমি যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইছি, সেটা হলো কিছু কিছু মানুষকে সবসময় দেখবেন, যে আপনি যদি কোনো কাজ করতে দেন কিংবা তাকে যদি কোনো কাজের দায়িত্ব দেন, তাহলে কিন্তু সে প্রথমে অনেক বেশি সিরিয়াসনেস দেখাবে।
অর্থাৎ, সেই কাজে দায়িত্ব আপনি তাকে দেওয়ার পরে, সে আপনাকে এমনভাবে প্রিটেন্ট করবে কিংবা আপনাকে এমনভাবে ভরসা দেবে, যে আপনার মনে হবে, ওই লোকটি দ্বারা শুধুমাত্র এই কাজটি করা সম্ভব।অন্য কোনো মানুষ এর দ্বারা এই কাজটি করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু পরবর্তীতে আসলে দেখবেন, যে কাজের কাজে একেবারেই শূন্য, অর্থাৎ কাজের বেলায় একেবারে কোনো কিছুই নেই। একেবারেই সর্বোচ্চ ফাঁকি দিয়ে কথার ফুলঝুড়ি বসায়। তাদের আমি একেবারেই পছন্দ করি না, কারণ তারা শুধুমাত্র কথা দিয়েই এগিয়ে থাকে, কাজে কোনোভাবেই তারা সফল হতে পারেনা।
আর তাদের এই কথার ফাঁদে পড়ে, আমরা যারা তাদের উপর ভরসা করি, তাদের উপর ভরসা করে, তাদেরকে কোনো কাজ দেই, আমরা আসলে তখন বিপদে পড়ে যাই এটাই ভেবে যে, আসলে এমন কেন হলো? কারণ, আমরা আসলে সত্যি কথা বলতে সবসময় চাই, যে আমরা যাদের সাথে কাজ করবো, তারা যেন সেই কাজটি খুব সিরিয়াসভাবে, সুন্দরভাবে করে। কিন্তু যারা শুধুমাত্র কথার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চায় এবং কথার মাধ্যমে এগিয়ে থাকে, তাদের দ্বারা কোনো কাজ করানো সত্যি বেশ মুশকিল। এর একটি ব্যাপার, কারণ শুধু কথাই বড় হলেই হবে না, কাজেও বড় হতে হবে। কাজে যদি শূন্য হয়, তাহলে কিন্তু এত কথা বলে কোনো লাভ নেই।

