দুঃখ বলার জায়গাটা কেমন হতে হয়?
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমরা সব সময় এমন কিছু মানুষ আমাদের জীবনে খুঁজে কিংবা চাই। যাদের কাছে আসলে আমরা আমাদের দুঃখগুলো এতোটাই খোলাখুলি ভাবে শেয়ার করতে পারবো যে ,আমাদের মনের মধ্যে ব্যাপার গুলো যেভাবে চলে ঠিক সেভাবেই যেনো আমরা সেই মানুষগুলোর সামনে উপস্থাপন করতে পারি। অর্থাৎ বলা চলে যে যেভাবে আমাদের মনের মধ্যে আমরা ভাবি। সেভাবেই যেনো সে ভাবনাগুলো আমরা তার সামনে তুলে ধরতে পারি ,তার সাথে শেয়ার করতে পারি। এই দুঃখ শেয়ার করার মতোন মানুষের বড্ড অভাব বলেই আমার মনে হয় আমাদের জীবনে।
দুঃখ বলার জায়গাটা হতে হবে খুব কমফোর্টেবল। যে মানুষটি আমাদের দুঃখ শুনতে চাইবে ,যে মানুষটি আমাদের কাছাকাছি আসতে চাইবে শুধু তাই নয়। যে মানুষটি আসলে আমাদের দুঃখগুলো নিজের মন থেকে উপলব্ধি করতে পারবে ,সেই মানুষগুলোর কাছে আসলে দুঃখ শেয়ার করা যায়। কারণ দুঃখ খুব একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার ,একান্ত সেনসিটিভ একটি ব্যাপার এবং এই সেনসিটিভ ব্যাপারটি শুধুমাত্র তার সামনেই খোলা যায় যে আমাদের ওই ব্যাপারটি নিতে পারে কিংবা ব্যাপারটিকে তারা সেভাবেই সম্মান করে। আসলে এই দুঃখ শোনার মতোন মানুষের বড্ড অভাব বোধ হয় আমার কাছে আমাদের সকলের জীবনে ।
দুঃখ শোনার জন্য অর্থাৎ আমরা যার সাথে আমাদের কষ্টগুলো শেয়ার করতে চাই। তার মধ্যে আসলে ওই কাকুতিটা থাকতে হবে। আমাদের কষ্টগুলো শোনার ,আমাদের কষ্টগুলো বোঝার ,আমাদের কষ্টগুলো লাঘব করার চেষ্টা করার আর এই ব্যাপারগুলো যদি না থাকে। তাহলে সে মানুষটির সামনে নিজের দুঃখগুলো খোলার কোনো মানে আছে বলে আমার মনে হয় না। কারণ সে শুধুমাত্র সেই দুঃখগুলোকে হাসি তামাশার পাত্রই করবে আর আমার মনে হয় না নিজেদের দুঃখগুলো অন্যের সামনে বলে হাসি তামাশার পাত্র করে তোলার কোনো প্রয়োজন আছে বলে। আর তাই আমরা আসলে সব সময় এমন একটা মানুষকে খুঁজে ফিরি ,যে আমাদের দুঃখগুলোকে নিজের মতন করে নেবে নিজের মতন করে ভাববে।

