শিশুর মানসিক বিকাশে বাবা-মার ভূমিকা
একটি সন্তান যখন পৃথিবীর মুখ দেখে তখন তার কাছে সব থেকে প্রিয় এবং আপন মানুষ হচ্ছে তার নিজের বাবা এবং মা। এই নিজের মা-বাবাকে ঘিরেই তার পৃথিবী গড়ে ওঠে সে যখন আস্তে আস্তে বড় হয়েতে শুরু করে তখন সে তার বাবা-মার আচার ব্যবহার এবং তাদের কথাবার্তা শিখেই কিন্তু পরবর্তীতে কথাবার্তা শেখেন এবং নৈতিক শিক্ষা লাভ করে।
কিন্তু বর্তমানে সমাজ ব্যবস্থায় এমন করুন হয়ে গেছে, যেখানে আসলে শিশুদের মানসিক যে বিষয়টা রয়েছে সেই বিষয়ে আমরা খুব একটা বেশি গুরুত্ব দেই না। দেখা যায়, শিশুর সামনেই স্বামী-স্ত্রীর অনেক ঝগড়া করছে অনেক জোরে জোরে কথা বলছে। এতে করে ছোটবেলা থেকেই যদি একটি শিশু এইসব বিষয় দেখে অভ্যস্ত হয়, তাতে করে তার মানসিক বিকাশে বিঘ্নতা করতে পারে এবং সেই শিশুটাও একটি মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এই বিষয়গুলো আমরা কেন যেন গুরুত্ব সহকারে দেখি না। তাইতো আজকালকার অনেক ছেলে পেয়ে ছেলেমেয়েদেরকে তারা বিয়ে করতে ভয় পায়।
শিশুদের সাথে সবসময় কোমল ভাবে ব্যবহার করতে হবে। তারা আজ যেন ভালো কিছু শিখতে পারে সেই কাজগুলোই বাবা-মার সব সময় করা উচিত। বিশেষ করে শিশুর সামনে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, কিভাবে মানুষের সাথে কথা বলতে হয়, কিভাবে সব ভালো ব্যবহার করতে হয়। এই বিষয়গুলো ছোটবেলা থেকেই শিশুদেরকে শেখানো উচিত। কোন কাজগুলো ভালো এবং কোন কাজগুলো মন্দ সেসব কাজগুলো শিশুদেরকে শেখানো উচিত। শুধুমাত্র শিশুদের কে শেখালোই হবে না বরংচ বাবা মা-র উচিত সেই কাজগুলো শিশুর সামনের বেশি বেশি করে করার চেস্টা করা। কারণ তারা বাবা-মাকে অনুসরণ করে এবং অনুকরণ করে।
আপনার লেখাটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। একটা শিশু যখন পৃথিবীতে আসে প্রথমে চেনে তার মা-বাবাকে। মা বাবা যে রকম আচরণ করবে তার সাথে সে ঐরকম আচরণই শিখবে এটাই স্বাভাবিক। যাহোক এরকম সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য এবং আমাদের পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ঠিক আছে ভালো থাকবেন আমি আপনার সর্বদা উন্নত ভবিষ্যৎ কামনা করি