মৃত্যু উপত্যকা কাশ্মীর
Raise Your Voice Against Terrorism"
বিস্তীর্ন সাদা বরফের রাজ্যে এক টুকরো সবুজ । পাহেলগাম । অপরূপ এক উপত্যকা । সারা ভারতবর্ষ থেকে পর্যটক আসে এই স্বর্গরাজ্যে । এমনকি ভারতের বাইরে থেকেও প্রতি বছর বহু পর্যটকের আগমন ঘটে এখানে । ভূস্বর্গ কাশ্মীর তাই ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের অবিরাম হাতছানি দিয়ে ডাকে । কিন্তু, বর্তমানে এই স্বর্গ এখন নরকে পরিণত হয়েছে ।
ঢেউ খেলানো বিস্তীর্ন সবুজ উপত্যকা এখন মৃত্যু উপত্যকা । সবুজের কার্পেটে গাঢ় লাল রক্তের হোলি খেলা হলো । নিরীহ ২৬ টা তাজা প্রাণের বলিদান হলো । আরো একবার ভয়াবহ জঙ্গী হামলার সাক্ষী থাকলো ভূস্বর্গ কাশ্মীর । বেছে বেছে শুধু হিন্দু ট্যুরিস্টদের টার্গেট করে মাস কিলিং করা হলো ।
নিন্দা জানানোর ভাষা নেই, চোখের জল ফেলারও আজ আর সময় নেই, সময় এখন শুধু প্রত্যাঘাতের । নিশ্চিহ্ণ করে দেয়া হোক সকল জঙ্গীদের, সেই সাথে সকল জঙ্গী প্রশ্রয় ও উস্কানীদাতাদেরও ।
সবুজ উপত্যকায় শকুনের বিচরণ,
রক্তের হোলি খেলায় মাতে যত সব বরাহনন্দন ।
ভূস্বর্গ কাশ্মীর- কিরীট আর শ্বেতশুভ্র নয়,
হিন্দুর তাজা রক্ত স্নানে লোহিত বর্ণময় ।
অশ্রু মোছো হে ভারতবাসী,
এ সময় কান্নার এখন নয়,
মসী ফেলো, অসি তোলো, প্রত্যাঘাতের এসেছে সময় ।
মৃতের স্তুপ জমে জমে কাশ্মীর মৃত শ্মশান ভূমি,
আমার বাইসারানকে আজ মৃত্যু উপত্যকা জানি ।
সত্যিই ভীষণ দুঃখজনক একটা ঘটনা ঘটে গেল। সবসময়ই বলির পাঠা হয় সাধারণ মানুষ গুলোই।
এ পৃথিবী ভিষণ অদ্ভুত। বয়স যত বাড়ছে ঘৃণা ততই বাড়ছে। ধ্বংস হোক এই হত্যাকাণ্ডের পিছনের শক্তি।
ভাবতেই কষ্ট লাগছে একজন স্বাভাবিক মস্তিষ্কের মানুষ কিভাবে এতগুলো মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করতে পারে?? সৃষ্টিকর্তা প্রতিটা পরিবারকে শান্ত হওয়ার তৌফিক দান করুক আমিন।
ব্যাপার টা খুবই দুঃখজনক দাদা। ঘটনাটা দেখার পর থেকেই খারাপ লাগছে। যারা ঘুরতে গিয়েছিল সময় টা তাদের কাছে সবচাইতে সুন্দর হতে পারত। কিন্তু না সেটা হয়নি। এমন নৈক্কারজনক ঘটনা নিন্দা জানায়।
নিরীহ মানুষকে হত্যা কোনভাবেই কাম্য নয় তাও আবার পর্যটক যাদের মাধ্যমে ঐ এলাকার মানুষের আয় হয়। পৃথিবীর সকল নিরীহ নিরপরাধ মানুষ হত্যার কঠোর শাস্তি হোক।
মানুষের জীবনের মূল্য কত কমে গেছে। চারিদিকে শুধু হত্যা হত্যা খেলা। একটা প্রাণ, একটা পরিবারের জন্য কত মূল্যবান, যে পরিবার থেকে প্রাণ হারায়, শুধু তারাই বুঝে। বন্ধ হোক সকল হত্যাযজ্ঞ, সুবুদ্ধি উদয় হোক সকলের। আমরা মারামারি, খুনাখুনি চাই না, আমরা চাই শান্তি।
কাশ্মীরের পহেলগামের ঘটনাটি শুনে ভীষণ খারাপ লেগেছিল। এমন ঘটনা কখনো কাম্য নয়। আমরা সবাই এর তীব্র নিন্দা জানাই। ধ্বংস হোক হিংসা-বিদ্বেষ, ধ্বংস হোক অহংকার। ধ্বংস হোক অন্যায় অবিচারের। এই মর্মান্তিক ঘটনাটির জন্য আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ধন্যবাদ।
এ কি শুধুই সন্ত্রাস? ভাবতে পারি না। স্তব্ধ হয়ে গেছি। তবে কাশ্মীর বরাবরই এমন। ২০১৬ তে গিয়েছিলাম, তখনও সোনমার্গে হামলা হয়েছিল। সেদিন আমরা গুলমার্গে। শ্রীনগর থেকে রাত দুটো নাগাদ কনভয় দিয়ে টুরিস্টদের জম্বু পর্যন্ত নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেও এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতা। রাস্তায় টায়ার জ্বলছে। মিলিটারিতে ছয়লাপ। তারপর থেকে কাশ্মীর বাকেট লিস্ট থেকে বয়কট করেছি।
এবারে যেটা হল তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ধর্ম দেখে হত্যা মেনে নেওয়া যায় না৷ এটা আসলেই তো মানুষ মারা নয়। ধর্মযুদ্ধ লাগানোর তুমুল প্রচেষ্টা।
Raise Your Voice Against Terrorism, সময় এখন উঠে দাঁড়াবার, সময় এখন বিদ্রোহ করার, সময় এখন সন্ত্রাসের বিপক্ষে দাঁড়াবার। সন্ত্রাসের কোন ধর্ম নেই, এরা ধর্মদ্রোহী।
গত কয়েকদিন থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যাপারটা দেখেছি, বিষয়টা তীব্র নিন্দা জনক ও বেদনাদায়ক।
সুন্দর একটা জায়গা মৃত্যু উপত্যকায় রুপ নিলো কিছু জঙ্গির কারনে। ২৬জন নিরীহ মানুষের প্রান গেলো। দিন দিন পৃথিবী অশান্ত হয়ে উঠছে। কোথাও যেন শান্তি নাই। এখনই সময় এ ধরনের কাজকে কঠোর হাতে দমন করার।